সারাদেশ

ইসির মামলায় এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর জামিন

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসির মামলায় এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর জামিন

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।

এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে ৪র্থ আদালতের বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, নির্বাচনের আগে মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় অনুদানের চেক বিতরণ করায় এমপি বাচ্চুর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। এ অভিযোগে কমিশনের সিদ্ধান্তে নির্বাচনের ৯ দিন পর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালত ৪-এ মামলা করেন।

মামলায় আদালত পরে সমন জারি করেন। সমনটি ফেরত আসায় আদালত থেকে পরবর্তী ধাপ হিসেবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-১০ (খুলশি-ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি নগরের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-১০ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি আইনের ২০০৮-এর বিধি ৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি ২০০ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড ও রিটার্নিং অপরাধ আমলে নিয়ে সমন জারি করে সংসদ সদস্যকে বৃহস্পতিবার সশরীরে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। তবে তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের আগে গেল বছরের ২২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের দিন মহিউদ্দিন বাচ্চু এলাকার সব মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ব্যক্তিগতভাবে এক হাজার টাকা করে দেন। এছাড়া ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের মাদানি মসজিদে এক লাখ টাকার চেক দেন। বিষয়টি ওই মসজিদের ইমাম জুমার নামাজের আগে খুতবায় মুসল্লিদের অবহিত করেন। একইভাবে ২৪ ডিসেম্বর লালখানবাজারে প্রধান নির্বাচনি কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সব মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ৬০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ করেন, যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ লঙ্ঘন।

এরপর একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলম। ২৮ ডিসেম্বর মহিউদ্দিন বাচ্চু প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগের জবাব দেন। পরে গত ৪ জানুয়ারি মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর ১৬ জানুয়ারি ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মু. মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে একই আদালতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছিলেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট।

;

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ চৌধুরীর জামিন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রমনা মডেল থানার নাশকতার মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ইতোপূর্বে কয়েকটি মামলায় জামিন পেলেও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় এবং আরেক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি।

গত ৪ নভেম্বর ভোরে রাজধানীর উত্তরা থেকে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করে র‌্যাব। গত ৫ নভেম্বর আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

;

কারামুক্ত হলেন ফখরুল-খসরু

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারামুক্ত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তারা। 

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

তিনি বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। সব মামলায় আদালত থেকে তিনি জামিন পান। কারাগারে জামিননামা পৌঁছানোর পর আজ বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধেও বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়।

তিনি জানান, একই দিন ১০৫ দিন কারাভোগের পর তিনিও জামিন পেয়েছেন।

এরআগে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ১১টি মামলার মধ্যে ১০টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। গতকাল প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। 

মির্জা ফখরুলের জামিন আদালতের বিষয়: কাদের গত ২৯ অক্টোবর গ্রেফতার হয়ে সেদিন থেকে সাড়ে তিন মাস সময় ধরে কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল।

অন্যদিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর আগে তিনি ৯টি মামলায় জামিন পান। গতকাল তিনিও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পান।

২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় আমীর খসরুকে গত ২ নভেম্বর রাতে গ্রেফতার করা হয়।

;

সিরাজগঞ্জে অস্ত্র রাখার দায়ে যুবকের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

ছবি: বার্তা ২৪.কম

সিরাজগঞ্জে অস্ত্র রাখার দায়ে জেলাল হোসেন শেখ (৪৪) নামে এক যুবককে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক নাদিরা সুলতানা দুইটি ধারায় এই কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত জেলাল হোসেন শেখ জেলার বেলকুচি উপজেলার বয়রা মাছুম গ্রামের আজিজল শেখের ছেলে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি মো. চাঁদ আলী এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সুত্রে জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে র‍্যাব-১২ কামারখন্দ উপজেলা ও তার আশ পাশের এলাকায় টহল ডিউটি করছিল। এ সময় র‍্যাবের কাছে খবর আসে বেলকুচি উপজেলার জেলাল হোসেন শেখ কামারখন্দ উপজেলার আলোক দিয়ার মধ্যে পাড়া গ্রামে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র‍্যাব-১২ সদস্যরা।

এ সময় জেলাল হোসেন শেখকে আটক করে র‍্যাব সদস্যরা। পরে তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে একটি লোহার তৈরি পিস্তল, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় র‍্যাব-১২ এর ডিএডি ইউনুস আলী বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৮৭৮ সালের ১৯ (এ) ধারার অপরাধে ১০ বছর ও ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করেন বিচারক।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *