আন্তর্জাতিক

ইনস্টাগ্রামে নাভালনিকে নিয়ে ইউলিয়ার পোস্ট, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’

ডেস্ক রিপোর্ট: রাশিয়ার সদ্য প্রয়াত বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির মুত্যুর পর তার স্ত্রী ইউলিয়া ইনস্টাগ্রামে নাভালনির সঙ্গে তার একটি ছবি পোষ্ট করে ছবিটির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি তোমাকে ভালবাসি।’

রয়টার্স জানিয়েছে, ৪৭ বছর বয়সি নাভালনি গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কারাগারে হাঁটার পরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং মারা যান।

নাভালনি আর্কটিক সার্কেল থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি নির্জন কারাগারে বন্দি ছিলেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রুশ কারা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছিল বিবিসি।

এক বিবৃতিতে ইয়ামালো-নেনেটস জেলার কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার হাঁটার পরে হঠাৎ নাভালনি অসুস্থ বোধ করেন। অসুস্থ বোধ করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এমন অবস্থায় তাৎক্ষণিক জরুরি মেডিকেল টিমকে ডাকা হয়। তারা এসে চেষ্টা করলেও নাভালনিকে বাঁচাতে পারেননি।

রুশ সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, এরইমধ্যে নাভালনির মৃত্যুর বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানানো হয়েছে। তার মৃত্যুর কারণ খুঁজে করতে তদন্ত হচ্ছে।

নাভালনির সমর্থকদের দাবি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা বন্ধ করতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাভালনিকে গ্রেফতার ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ২০ আগস্ট সাইবেরিয়ার টমসক শহর থেকে মস্কো যাওয়ার পথে উড়োজাহাজে অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি সাইবেরিয়ার ওমস্কে জরুরি অবতরণ করে। সেখানকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানির বার্লিনে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি ধীরে ধীরে সেরে ওঠেন।

তখন জার্মানির চিকিৎসকরা জানিয়ে ছিলেন, নাভালনিকে নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছে বলে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ফ্রান্স ও সুইডেনের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করেও নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের প্রমাণ মিলেছে।

এদিকে নাভালনির দলের অভিযোগ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে, বিষ প্রয়োগের এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন। একই সঙ্গে রাশিয়ার দাবি, তাদের চিকিৎসকরা বিষের উপস্থিতি পাননি।

অন্যদিকে, নাভালনির ওপর রাসায়নিক প্রয়োগের ব্যাপারে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

ক্রেমলিনের হুমকি উপেক্ষা করে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরেন নাভালনি। দেশে নামার পর বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরের মাসেই অর্থ আত্মসাতের পুরোনো একটি মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *