সারাদেশ

ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্পেন থেকে বাংলাদেশে

ডেস্ক রিপোর্ট: পালক নেয়ার আড়াই মাস পর এক শিশুকে পুলিশ সদস্যের হেফাজত থেকে উদ্ধার করেছে বগুড়ার ধুনট থানা পুলিশ। শিশুটির মায়ের দায়ের করা মানব পাচার আইনে মামলায় পুলিশ শিশুটিকে রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের হেফাজত থেকে উদ্ধার করে। এর আগে সন্তান জন্মের পরপরই মা আয়েসা খাতুন তার সন্তানকে ওই পুলিশ দম্পতির কাছে পালক দিয়েছিলেন। পরে সন্তান চুরি করে পাচার করার অভিযোগ এনে মামলা করেন তিনি।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উদ্ধার করা শিশুটিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে হাজির করেন। তবে আইনজীবীর মৃত্যুজনিত কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য ইয়াছির আরাফাতের হেফাজত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা গেছে, ধুনট উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী আয়েসা খাতুন ২৮ নভেম্বর শেরপুরের একটি ক্লিনিকে পুত্র সন্তান প্রসব করেন। সন্তান গর্ভধারণের পরপরই তার স্বামী নিরুদ্দেশ হওয়ায় সন্তানের ভরণপোষণ করতে পারবেন না আশঙ্কায় ৩ ডিসেম্বর আয়েসা খাতুন এফিডেভিডের মাধ্যমে সন্তানকে ধুনট উপজেলার পিরহাটি গ্রামের বাসিন্দা রাজশাহীতে কর্মরত পুলিশ সদস্য ইয়াছির আরাফাত ও জেসমিন দম্পতিকে পালক হিসেবে দেন। এরপর থেকে শিশুপুত্রটি ইয়াছির আরফাত দম্পতির কাছে লালন পালন হতে থাকে।

এদিকে শিশুটির মা আয়েসা খাতুন ১৩ ফেব্রুয়ারি ধুনট থানায় মানব পাচার আইনে চারজনের নামে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তাকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে শেরপুর ক্লিনিকে ভর্তি করে।সেখানে ২৮ নভেম্বর অপারেশন করে পুত্র সন্তান প্রসবের পর আসামিরা নবজাতককে চুরি করে পাচার করে দেন। মামলা দায়ের হলে পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

শিশুটি এফিডেভিডের মাধ্যমে পালক হিসেবে নেয়া পুলিশ সদস্য ইয়াছির আরাফাত বলেন, আয়েসা খাতুনের সন্তান কেউ চুরি করে পাচার করেনি। তিনি নিজে আদালত চত্বরে এসে আইনজীবীর চেম্বারে কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে এফিডেভিড করে সন্তানকে পালক হিসেবে আমার কাছে হস্তান্তর করেন। সেই থেকে সন্তান লালন পালন করছিলাম। এখন মামলা করায় সন্তান ফিরিয়ে দিয়েছি।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) সৈকত হাসান বলেন, আয়েসা খাতুনের মামলায় তার সন্তান উদ্ধার করে তার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তবে তদন্তে এভিডেভিড মূলে স্বেচ্ছায় সন্তান পালক হিসেবে দেয়ার বিষয়টির সত্যতা রয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *