সারাদেশ

তিউনিসিয়া উপকূলে নিহত ৯ জনই বাংলাদেশি: আইওএম

ডেস্ক রিপোর্ট: তিউনিসিয়া উপকূলে নিহত ৯ জনই বাংলাদেশি: আইওএম

ছবি: সংগৃহীত

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌযানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৯ অভিবাসীর সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশি নাগরিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ৯ জনের পরিচয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি উদ্ধার করা ২৬ বাংলাদেশিকে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি টিম তিউনিসিয়ার উপকূল এলাকা জারজিসের উদ্দেশে রওনা করেছে। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি  লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জনের একদল অভিবাসী সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে তাদের বহনকারী নৌকাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটি থেকে ৯ অভিবাসীর মরদেহ এবং ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। যে ৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে তারা বাংলাদেশি বলে ধারণা করছে আইওএম।

তিনি বলেন, জীবিত অবস্থায় উদ্ধার অভিবাসীদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের দূতাবাসের একটি টিম ইতোমধ্যে জারজিসের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। তারা আইওএম ও রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি জীবিত বাংলাদেশিদের সহযোগিতা করবেন। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া মাত্র দূতাবাস সবাইকে জানিয়ে দেবে।

আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষ; নিহত ১, পুলিশসহ আহত ২০

আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১জন নিহত হয়েছেন। এ সময় ৩ জন এসআই, ৫ জন পুলিশের কনেস্টলসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মোল্লারকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম পান্না মোল্লা (৪০)। তিনি মোল্লারকুল গ্রামের তৈয়ব আলী মোল্লার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মোল্লারকুল গ্রামের খাঁকি ও কাজী বংশের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রাসেলুর রহমান, মোল্লারকুল গ্রামে স্থানীয় খাঁকি ও কাজী বংশের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ বেশ পুরানো। সেই বিরোধের জেরে রোববার বিকেলে মোল্লারকুল হাটে কাজী বংশের দুই সমর্থকের সঙ্গে খাঁকি বংশের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা আলাদা আলাদাভাবে ঢাল, ইট পাটকেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়েও হামলা চালায় তারা। এতে দুই পক্ষই বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে কাজী বংশের সমর্থক পান্না মোল্লা নামে একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে পুলিশের ছয়জন সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আহতদের স্থানীয় মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রাসেলুর রহমান আরও বলেন, পান্না মোল্লা গুলিতে না দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই এলাকায় নতুন করে সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

;

মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য জখম

ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় আসামি ধরতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে দুই পুলিশ সদস্য জখম হয়েছেন। এসময় মাদকসহ আটক করা হয় ওই আসামিকে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে জেলার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর-সন্তোষপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

জখম দুই পুলিশ সদস্য হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কনস্টেবল মো. আসাদুল ইসলাম ও মো. সাকিব। আটক মাদক ব্যবসায়ী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পবহাটি গ্রামের শ্রী দিলীপ বিশ্বাসের ছেলে রাজন বিশ্বাস (২৮)। তাদের সবাইকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে জীবননগর থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় মনোহরপুর-সন্তোষপুর সড়কে মাদক ব্যবসায়ী রাজন বিশ্বাসকে দাঁড় করালে তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে পুলিশের এক কনস্টেবলের পেটে আঘাত করে। এসময় ধস্তাধস্তিতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকেই মাদকসহ আটক করা হয় ওই মাদক ব্যবসায়ীকে। পরে আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দেয়া হয়।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এস এম আতাউর রহমান বলেন, এক পুলিশ সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসে। তার পেটে নাভির নিচে ধারালো ছুরির আঘাতের জখম ছিল। ক্ষতস্থানে দুটি সেলাই দেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক পরিদর্শক (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদক বিরোধী অভিযানে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মাদকসহ রাজন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তবে কী পরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়েছে, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। তিনি জানান, এজাহার দায়েরের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

;

পালক দেয়ার আড়াই মাস পর মায়ের কোলে সন্তান, দাবি পাচারের

পালক দেয়ার আড়াই মাস পর মায়ের কোলে সন্তান

পালক নেয়ার আড়াই মাস পর এক শিশুকে পুলিশ সদস্যের হেফাজত থেকে উদ্ধার করেছে বগুড়ার ধুনট থানা পুলিশ। শিশুটির মায়ের দায়ের করা মানব পাচার আইনে মামলায় পুলিশ শিশুটিকে রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের হেফাজত থেকে উদ্ধার করে। এর আগে সন্তান জন্মের পরপরই মা আয়েসা খাতুন তার সন্তানকে ওই পুলিশ দম্পতির কাছে পালক দিয়েছিলেন। পরে সন্তান চুরি করে পাচার করার অভিযোগ এনে মামলা করেন তিনি।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উদ্ধার করা শিশুটিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে হাজির করেন। তবে আইনজীবীর মৃত্যুজনিত কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য ইয়াছির আরাফাতের হেফাজত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা গেছে, ধুনট উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী আয়েসা খাতুন ২৮ নভেম্বর শেরপুরের একটি ক্লিনিকে পুত্র সন্তান প্রসব করেন। সন্তান গর্ভধারণের পরপরই তার স্বামী নিরুদ্দেশ হওয়ায় সন্তানের ভরণপোষণ করতে পারবেন না আশঙ্কায় ৩ ডিসেম্বর আয়েসা খাতুন এফিডেভিডের মাধ্যমে সন্তানকে ধুনট উপজেলার পিরহাটি গ্রামের বাসিন্দা রাজশাহীতে কর্মরত পুলিশ সদস্য ইয়াছির আরাফাত ও জেসমিন দম্পতিকে পালক হিসেবে দেন। এরপর থেকে শিশুপুত্রটি ইয়াছির আরফাত দম্পতির কাছে লালন পালন হতে থাকে।

এদিকে শিশুটির মা আয়েসা খাতুন ১৩ ফেব্রুয়ারি ধুনট থানায় মানব পাচার আইনে চারজনের নামে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তাকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে শেরপুর ক্লিনিকে ভর্তি করে।সেখানে ২৮ নভেম্বর অপারেশন করে পুত্র সন্তান প্রসবের পর আসামিরা নবজাতককে চুরি করে পাচার করে দেন। মামলা দায়ের হলে পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

শিশুটি এফিডেভিডের মাধ্যমে পালক হিসেবে নেয়া পুলিশ সদস্য ইয়াছির আরাফাত বলেন, আয়েসা খাতুনের সন্তান কেউ চুরি করে পাচার করেনি। তিনি নিজে আদালত চত্বরে এসে আইনজীবীর চেম্বারে কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে এফিডেভিড করে সন্তানকে পালক হিসেবে আমার কাছে হস্তান্তর করেন। সেই থেকে সন্তান লালন পালন করছিলাম। এখন মামলা করায় সন্তান ফিরিয়ে দিয়েছি।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) সৈকত হাসান বলেন, আয়েসা খাতুনের মামলায় তার সন্তান উদ্ধার করে তার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তবে তদন্তে এভিডেভিড মূলে স্বেচ্ছায় সন্তান পালক হিসেবে দেয়ার বিষয়টির সত্যতা রয়েছে।

;

সমস্যা সমাধানের নামে প্রতারণা, ১৯ ‘দরবেশ বাবা’ গ্রেফতার

ছবি: বার্তা২৪.কম

সমস্যা সমাধানের নামে প্রতারণার অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দরবেশ বাবা পরিচয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার কথা বলে প্রতারণা করত তারা।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সিআইডির পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দরবেশ বাবা পরিচয়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের নামে প্রতারণা করতো একটি চক্র। বিশেষ অভিযান চালিয়ে চক্রের ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি হেডকোয়ার্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *