সারাদেশ

সুগন্ধাকে বঙ্গবন্ধু বিচ নামকরণের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট: এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে যেমন নতুন সুযোগের দ্বার উম্মোচিত হবে, তেমনি চলমান স্বল্পোন্নত দেশের অনেক সুযোগ সুবিধা কমে আসবে বাংলাদেশের। এরূপ পরিস্থিতিতে প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক ও অন্যান্য শিল্পপণ্যের বাজার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পসমূহের আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়নোয় কাজ করা জরুরি বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা ড. মাসরুর রিয়াজ।

সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে যা বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সুবিধাসহ বেশকিছু সুযোগের দ্বার উম্মোচন হবে। এতে করে দেশের অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে। তবে এলডিসি উত্তরণের মূল চ্যালেঞ্জ বেসরকারি খাতের। আর সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জ রফতানি খাতে। দেশীয় শিল্প তথা এসএমই খাতও এ চ্যালেঞ্জের বাইরে থাকবে না। স্বল্পোন্নত দেশের সকল সুযোগ সুবিধা কমে আসবে। বিশেষ করে সরকার প্রদত্ত নগদ ও রফতানি প্রণোদনা, ট্যারিফ স্ট্রাকচার কমিয়ে আনতে হবে। এরূপ পরিস্থিতিতে প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক ও অন্যান্য শিল্পপণ্যের বাজার সমুন্নত রাখতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সাথে স্থানীয় শিল্পসমূহকেও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

অপরদিকে সরকারকে ব্যবসায়িক খরচ কমিয়ে আনতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ স্থাপনে বিশেষ প্রণোদনা ও উৎসাহ প্রদান, প্রযুক্তি হস্তান্তরে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প স্থাপনে ভূমি, ইউটিলিটি সহ অন্যান্য নীতিগত সুবিধা সহজলভ্য করা, শিল্প ভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি তৈরি, লজিস্টিক সাপোর্ট, বন্দর ব্যবস্থাপনার উন্নতকরণ, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপন ইত্যাদি বিষয়ে বেসরকারি খাতকে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ আবুল কাসেম খান বলেন, অনেক দেশ এলডিসি গ্র্যাজেুয়েশন করেছে, আমরাও পারবো। সরকারও এ বিষয়ে ব্যাপক গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশের রফতানির ক্ষেত্র অনেক সীমিত এবং এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কমিটির চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে সম্মান অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক তৈরি হবে। তবে এ রূপান্তরের কারণে সহজ ছাড়গুলো বন্ধ, ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সিং বা উন্নয়ন অর্থায়ন আরও ব্যয়সাধ্যসহ বিভিন্ন শর্ত সামনে আসবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলকে নিয়ে আগাতে হবে।

আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন এফবিসিসিআইর পরিচালক সো. সাইফুল ইসলাম। এজন্য স্বল্পমূল্যে অর্থায়ন, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সহ রফতানি প্রবৃদ্ধিতে কাজ করার কথা জানান তিনি।

এলডিসি উত্তরণ ও এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ জনবল তৈরি, লজিস্টিক খাতের উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের উপর জোর দেন এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ও এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা ড. মোস্তফা আবেদ খান, এফবিসিসিআইর পরিচালক সৈয়দ মো. বকতিয়ার, এমসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর ও কমিটির সদস্যবৃন্দ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক আজিজুল হক, কাওসার আহমেদ, মহাসচিব মো. আলমগীর প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *