২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে যেসব সড়কে বন্ধ থাকবে যান চলাচল
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক। আর স্মার্ট নাগরিক হতে হলে আমাদের বেশি বই পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এম এ মালেক।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় চরমান বইমেলার ‘গণমাধ্যম সম্মিলন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এম এ মালেক বলেন, দেশে যত রকমের মেলা হয়, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বইমেলা। বইমেলায় গিয়ে আমরা খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারি ভালো ভালো বই। অমর একুশে বইমেলা আমাদের মেধাবিকাশের ক্ষেত্রে রাখছে অনন্য ভূমিকা। বাঙালির ভাষা, সংস্কৃতি বোধ ও ঐতিহ্য হলো অমর একুশে বইমেলার ভিত্তি। প্রাচীন এতিহ্য ধারণ করে এ মেলাকে ঘিরেই বাঙালি জাতির সাহিত্য ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটছে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে সত্যের ধারক ও বাহক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ঢাকার রাজপথ শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল তখন দৈনিক আজাদীতে কবি মাহবুবুল আলমের ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ কবিতা প্রকাশ করে তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতনের স্বীকার হয়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম সমাজ ও রাষ্ট্রের ভালো-মন্দ তুলে ধরে যেমন সমালোচনা ও জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরি করে ঠিক তেমন ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী প্রচার ও প্রকাশ করে থাকে।
এম এ মালেক বলেন, স্যোশাল মিডিয়া আসার পর থেকে গণমাধ্যমের ধারণা আরও বিস্তৃত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরও নির্ভরযোগ্য তথ্যের উৎস হিসেবে কাজ করছে মূলধারার মিডিয়ার পেজগুলো এবং এসব মিডিয়া কার্যক্রম বেশ জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। শত-শত ভাষার যে কোনো তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে। মানব সভ্যতার এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গণমাধ্যমকে তাই আরও বেশি শক্তিশালী ও সার্বজনীন করা প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথি আবু সুফিয়ান বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না। আয়নায় যেমন নিজের অবয়ব স্পষ্ট হয়ে উঠে গণমাধ্যমেও সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠে। সেই ছবি ফুটিয়ে তোলার দায়িত্ব গণমাধ্যম কর্মীদের।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেব দুলাল ভৌমিক বলেন, গণমাধ্যম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ। একটি রাষ্ট্রের স্তম্ভ যত শক্ত ভিত পাবে সে রাষ্ট্রের সমগ্র কাঠামো তত শক্তিশালী হবে। রাষ্ট্রের এই স্তম্ভটি শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে স্বাধীন গণমাধ্যমের বিকল্প নেই।
দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুশের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইমেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু।
আলোচনা সভা শেষে রুমিলা বড়ুয়ার সঞ্চালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন রেওয়াজ সঙ্গীত নিকতন, মাধুরি নৃত্য কলা একাডেমি, নৃত্য নিকেতন, বেতার ও টিভি শিল্পী জলি মুখার্জি, শুক্লা পাল কণিকা,রিমি সিনহা ও মুন্নী আকতার।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।