সারাদেশ

গৃহকর্মীর মৃত্যু: স্ত্রীসহ ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের জামিন নামঞ্জুর

ডেস্ক রিপোর্ট: গৃহকর্মীর মৃত্যু: স্ত্রীসহ ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের জামিন নামঞ্জুর

ছবি: সংগৃহীত

গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও আশরাফ উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সস্ত্রীক ৪ দিনের রিমান্ডে আদালতে যা বললেন ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রী গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। প্রীতি ওড়ান নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই ভবনের বাসিন্দা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করতো।

এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি সৈয়দ আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ ওড়ান। এরপর তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত ৭ জানুয়ারি আদালত আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

১৩ ফেব্রুয়ারি ফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শেষে তাদের ফের কারাগারে পাঠানো হয়।

শিশু আয়ানের মৃত্যু: তদন্তে নতুন কমিটি করে দিলেন হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নতুন কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

কমিটিতে তিনজন চিকিৎসক, দুইজন সিভিল সোসাইটির ব্যক্তি ও একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে রাখা হয়েছে। কমিটি এক মাসের মধ্যে আয়ানের মৃত্যুর পুরো ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে। শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের অবহেলা আছে কি না, তার মৃত্যুর ঘটনায় কারা দায়ী, এই কমিটি তা খুঁজে বের করবে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। রিটের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতাল গুলশান ও সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল দুটি প্রতিষ্ঠান। রিট পিটিশনার গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালকেও মামলায় পার্টি করেছেন। আমরা আজ ইউনাইটেড হাসপাতাল গুলশানের পক্ষে ওকালতনামা দাখিল করে আদালতে শুনানি করেছি। আজ আমরা আট সপ্তাহ সময় প্রার্থনা করে সব পক্ষকে শুনে আদালতের কাছে আদেশ প্রার্থনা করেছিলাম। আদালত বিষয়টি নিয়ে আরও একটি তদন্ত কমিটি করে আদেশ দিয়েছেন। নতুন এই কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ২০ মার্চ আদালতের সামনে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এর আগে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট লোক দেখানো (আইওয়াশ) ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।

শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। পরে শিশু আয়ানের বাবা রিটে পক্ষভুক্ত হন। নতুন করে রিটে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।

গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যায় শিশু আয়ান। এর আগে তাকে বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নাতে খতনা করানোর জন্য নেওয়া হয়েছিল। সেখানে অজ্ঞান করার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা যায় শিশুটি।

;

বাবুল চিশতীর অর্থ আত্মসাৎ মামলায় চার্জ শুনানি পেছাল

ছবি: সংগৃহীত

ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) নিরীক্ষা (অডিট) কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার্জ শুনানির পিছিয়ে আগামী ১৩ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বদরুল আলম ভূঞার আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ছিলো। কিন্তু এ দিন আসামিপক্ষ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৩ মার্চ চার্জ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফজলুর রহমান এতথ্য জানান।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেসার্স রিমি এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মোস্তফা কামাল, দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও চৌধুরী মোস্তাক আহমেদ, পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের হেড ব্যাংকিং অপারেশন ডিভিশন (অবসরপ্রাপ্ত) প্রকাশ চন্দ্র মোদক এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের জেনারেল সার্ভিস ডিভিশনের এভিপি ও প্রধান মো. মনিরুল হক। আসামিদের মধ্যে বাবুল চিশতি কারাগারে আছেন। অপর চার আসামি জামিনে আছেন।

২০১৩ ও ২০১৪ সালে চাঁদপুরের কচুয়া শাখা, জামালপুরের বকশীগঞ্জ শাখা, শেরপুরের শ্রীবরদী শাখা ও শেরপুর শাখা চারটি উদ্ধোধন করা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে কোনো রকম প্রাক্কল এবং প্রাক্কলিত মূল্য নিরূপণ না করে প্রচলিত বাজার দরের চেয়ে অধিক মূল্যে এই চার শাখার ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ওয়ার্কের জন্য সাজানো দরপত্র প্রকাশ ও কার্যাদেশ দেখিয়ে অতিরিক্ত বিল পরিশোধিত দেখিয়ে ৭০ লাখ ৬১ হাজার ৮২৩ টাকা আত্মসাৎ করে।

এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ ২০২০ সালের ১১ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী মামলাটি তদন্ত করে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ২৯ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ১৩ মার্চ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় গুলিতে নিহত সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে আগামী ১৩ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন ছুটিতে থাকায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে ১৩ মার্চ ধার্য করা হয়। এর আগেও এক দফা রায়ের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

গত ১২ ডিসেম্বর মামলার পাঁচ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী , জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মন্ডল।

মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী।

২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, সগিরা মোর্শেদ তার পরিবার নিয়ে আউটার সার্কুলার রোডে একটি বাসায় বসবাস করতেন। সগিরা মোর্শেদরা থাকতেন দ্বিতীয় তলায়। সগিরার ভাসুর তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীনকে নিয়ে থাকতেন ওই বাসার তৃতীয় তলায়। শাহীন তিন তলা থেকে প্রায় সময় ময়লা-আবর্জনা ফেলতেন, যা সগিরা মোর্শেদের পেছনের রান্না ঘর ও সামনের বারান্দায় পড়ত। এ নিয়ে সগিরার সঙ্গে শাহীনের প্রায় ঝগড়া হতো। ওই তুচ্ছ কারণেই শাহীন সগিরাকে শায়েস্তা করার জন্য স্বামী ডা. হাসানকে দিয়ে তার রোগী তৎকালীন সিদ্ধেশ্বরী এলাকার সন্ত্রাসী মারুফ রেজাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করে। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

;

আরও তিন মামলায় দুদুর জামিন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

দুদুর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিনের বিষয় নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু জামিন পেয়েছেন। এ নিয়ে ৮ মামলায় জামিন পেলেন তিনি।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালত তার পাঁচ মামলায় জামিনের আদেশ দেন।

গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে দুদুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ সদস্য হত্যার অভিযোগের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *