সারাদেশ

ময়লার ভাগাড়ে মিলল নবজাতক 

ডেস্ক রিপোর্ট: ময়লার ভাগাড়ে মিলল নবজাতক 

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি নালার কালভার্টের নিচের ময়লার ভাগাড় থেকে পলিথিনে মোড়ানো মুখ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় এক কন্যা নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে জেলা শহরের মেড্ডা পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে এই কন্যা নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে স্থানীয় পাহারাদারের কানে একটি শিশুর কান্না ভেসে আসছিল। কান্না শব্দে শহরের একটি নালার কালভার্টের নিচে পলিথিনে মোড়ানো এক কন্যা নবজাতক পাওয়া যায়। নালায় ফেলে দেওয়ায় নবজাতকের মুখের একাংশ ইদুর পোকামাকড় কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে। এই অবস্থায় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ গিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, পুলিশ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে এনআইসিতে ভর্তি করেছে। সেখানে বাচ্চাটি চিকিৎসাধীন আছে। পাশাপাশি নবজাতকের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

চট্টগ্রামে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেটে অবস্থিত মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অস্থায়ী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বেজে চলেছে একুশের গান। ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে হাতে ফুল, কালো পোশাক, ব্যাজ ধারণ করে ধীর পায়ে এগিয়ে চলেছেন অসংখ্য মানুষ। প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয় এ শ্রদ্ধা নিবেদন।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর শহীদ মিনারের বেদি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি) নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার (এসপি), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নগর, জেলা কমান্ড ও দলীয় নেতারা।

এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন। এ সময় একুশের আলোয় আলোকিত হয় পুরো এলাকা। সময় যত গড়াচ্ছে মানুষের ভিড়ও যেন তত বাড়ছে।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাবার সঙ্গে প্রথমবারের মতো শহীদ মিনারে এসেছে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহিয়া ও তার ছোট ভাই নাবিল। চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা থেকে আসা তাহিয়া বার্তা২৪.কমকে বলে, আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। শহীদ মিনারে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। তাদের বাবা আনোয়ার বলেন, প্রথমবারের মতো তাদেরকে নিয়ে এসেছি। তারা যেন বাঙালি চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়, সেটাই চাওয়া।

দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে নগরের চকবাজার থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা আসমা আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের কথা আমাদের কখনোই ভোলা উচিত নয়। তবে, ভাষা দিবসে শুধু ফুল দিয়েই সীমাবদ্ধ না থেকে বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের প্রচুর যত্নশীল হওয়া উচিত। নয়তো ভাষা শহীদদের প্রতি বেইমানী করনা হবে।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ হারুণ বলেন, পরশু দিনও নবনির্মিত শহীদ মিনারের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। এবার সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে পারিনি। এ দেশের প্রগতিশীল নাগরিক হিসেবে দাবি জানাই, যাতে শহীদ মিনারটি জনবান্ধব করা হয়।

;

বমি করে ছিনতাই চক্রের ‘গুরু’ চোরা স্বপন গ্রেফতার

স্বপন প্রকাশ ওরফে চোরা স্বপন

রাজধানীর গণ পরিবহনে যাত্রীদের শরীরে বমি করে ছিনতাই চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি ছুরি ও ছিনতাইয়ের টাকা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও থানার ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার মো. স্বপন প্রকাশ ওরফে চোরা স্বপন (৫২) বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার সন্তোষপুর গ্রামের মৃত আয়নাল ফকিরের ছেলে।

পুলিশ বলছে, গণ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে বমি করে যারা ছিনতাই করে তাদের কাছে ‘গুরু স্বপন’ নামে পরিচিত চোরা স্বপন।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মঙ্গলবার ফার্মগেটে থেকে স্বপন তার দুই সহযোগী নিয়ে বাসে ওঠেন। তারা সেখানে বমি করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে যাত্রীরা দেখে ফেলেন। এসময় দুই জন পালাতে সক্ষম হলেও স্বপনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ স্বপনের কাছ থেকে একটি ছুরি ও ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।

ওসি বলেন, স্বপন একসময় চুরি করতেন। চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকবার আটকও হন। এ কারণে গ্রামে তাকে চোরা স্বপন নামেই চিনে। গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে তিনি ছিনতাই শুরু করেন। প্রথমে অন্য দলের সঙ্গে থাকলেও পরে নিজেই দল গঠন করেন। এরপর তিনি নিজেই ‘বমি পার্টি’ করেন। তার দলের সদস্যরা বিভিন্ন বাসে উঠেন। বাসে প্রথমে কৃত্রিম জটলা তৈরি করেন, এরপর কেউ একজন বমি করেন। বমি করার পর বাসের মধ্যে এক ধরণের হৈ-হুল্লোড় তৈরি হয়। সে সুযোগে এই গ্রুপের সদস্যরা যাত্রীর মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, চকলেট এবং পানির বিশেষ মিশ্রণে এই কৃত্রিম বমি করা হয়। কৃত্রিম এই বমি সবাই করতে পারে না। এই বমি করার ‘প্রশিক্ষণ’ দেন স্বপন। তাই তাকে এই ধরনের ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা গুরু স্বপন নামেই ডাকেন।

তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

অবৈধ দখল থেকে অর্ধশত কোটি টাকার কৃষি জমি উদ্ধার

ছবি: বার্তা ২৪

যুগযুগ ধরে প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে থাকা প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলা প্রশাসন।

হাওর বেষ্টিত এই উপজেলায় এরআগে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে জমি উদ্ধার অভিযানে নেমেছিল প্রশাসন। নেতৃত্বে ছিলেন মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ্ আলম মিয়া ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.টি.এম আরিফ।

গত বছরের শেষদিকে প্রশাসনের রাজস্ব সভা থেকে গৃহীত হয়েছিল জমি উদ্ধারের এই সিদ্ধান্ত, অভিযানের নামকরণ করা হয়েছিল ‘মৃত্তিকা অভিযান’।

মদন উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.টি.এম আরিফ বার্তা২৪.কমকে জানান, মৃত্তিকা অভিযানে মদনের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ২২৪ দশমিক ৫৭ একর সরকারি কৃষি খাস জমি। হিসেব মতে জমির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৯ কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

মদন উপজেলার চাঁনগাঁও ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরপুর তহশিলের হাসকুড়ি মৈধাম মৌজা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ দশমিক ৯৭ একর জমি। মদন ইউনিয়নের মদন মৌজা থেকে ৯ দশমিক ৮৫ একর, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের গোবিন্দশ্রী মৌজার থেকে ১৪৫ দশমিক ৩২ একর, মনিকা মৌজা থেকে ৪০ দশমিক ২৫ একর, পদমশ্রী মৌজা থেকে ৬ দশমিক ৫৪ একর, মাঘান ইউনিয়নের রানীহালা মৌজা থেকে ১৩ দশমিক ১১ একর, তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাঘমারা মৌজা থেকে ০.৭৯ একর ও ফতেপুর ইউনিয়নের হাসনপুর তহশিলের ফতেপুর মৌজা থেকে ৩ দশমিক ১৩ একর।

উদ্ধার হওয়া এসব জমিতে স্থানীয় কৃষকরা করেছেন চাষাবাদ। কেউ রোপণ করেছেন ধান, আবার কেউ চাষ করেছেন শীতকালীন সবজি। তবে এসব জমি পর্যায়ক্রমে কাগজপত্রে পাকাপোক্তভাবে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে, জানান এই সহকারী কমিশনার।

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ্ আলম মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, উদ্ধার করা জমিগুলো প্রকৃত দরিদ্র অসহায় কৃষক ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে বন্দোবস্ত করা হবে। বিষয়টি জানতে পেরে গরীব অসহায় যারা জমি নিতে চান এরইমধ্যে তাদের আবেদনও পড়েছে প্রায় একশো। যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অসহায়দেরকেই জমি দেওয়া হবে।

;

আ.লীগের ঝুলিতে আর কিছুই নেই: রিজভী

ছবি: বার্তা ২৪

আওয়ামী লীগের ঝুলিতে আর কিছুই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। 

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তাদের (আ.লীগের) ঝুলিতে আর কিছুই নেই। তারা মানুষের কাছে আর কি কথা বলবে! তারা (আ.লীগ) গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হত্যা করেছে, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিরুদ্দেশ করেছে, তারা আর কি বলবে! তারা (আ.লীগ) এখন বিভিন্নভাবে আবোল-তাবলোল কথা বলে বিভ্রান্ত তৈরি করছে। 

তিনি বলেন, আমরা আমাদের জাতীয়তাবাদের প্রথম অনুভূতি লাভ করি ৫২’র একুশে চেতনার মধ্য দিয়ে। একুশে চেতনার মূল উপাদান হচ্ছে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা, এই অঞ্চলের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। 

আমরা অনেক রক্ত ঝরিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু আজকে আমরা কি পেয়েছি? আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি না। আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারি না। আমাদের কন্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রশক্তি আমাদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের প্রতীক, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ ছয়-সাত বছর বন্দী। অর্থাৎ, সাধারণ মানুষের সকল অধিকারকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একুশের চেতনাই আমাদেরকে প্রেরণা দেয়। একুশের চেতনাই আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে। এই যে ঝুলুম, নিপিড়ীন, ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখা, বন্দী করে রাখা, তারপরেও আজকে যখন তারা বেরিয়ে আসছে তখন তারা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে নতুন সংগ্রাম, নতুন আন্দোলন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, বন্দী গণতন্ত্রকে মুক্ত করতেই হবে, প্রাণ খুলে কথা বলতে চাই, সোচ্চার হয়ে কথা বলতে চাই, নির্বিঘ্নে কথা বলতে চাই, সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা ৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়ে যাবো, আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সফল হব।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *