সারাদেশ

শ্বশুরবাড়ির কাছে পড়ে ছিল যুবকের মরদেহ

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ থেকে ৭২ বছর আগের একুশের ফেব্রুয়ারিতে মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা শহীদরা। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবার ও বন্ধু নিয়ে অনেকেই এসেছেন নতুন বইয়ের খোঁজে। মায়ের ভাষা বাংলায় লেখা বই কিনতে, বাংলা ভাষার বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডারে ডুব দিতে, একুশে ফেব্রুয়ারির এইদিনে বইমেলা কানায় কানায় দর্শনার্থীদের ভিড়ে পরিপূর্ণ।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বইমেলার প্রবেশ মুখ খুলেছে যা চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত।

বাংলা একাডেমি বর্ধমান হাউজ থেকে শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মেলার প্রতিটি বইয়ের স্টলেই বইপ্রেমীদের ভিড় চোখে পড়ার মত।

বেসরকারি চাকরিজীবী হুমাইয়ারা বেগম স্বামী, সন্তান নিয়ে শহীদ মিনারে ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বইমেলায় এসেছেন। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বই মেলাতে পরিবার নিয়ে এসেছি, যাতে বিভিন্ন বই দেখে তারা অনেক কিছু শিখতে পারে। দেশের ইতিহাস ও ভাষা শহীদদের সম্পর্কে যেন তারা জানতে পারে।

স্ত্রীকে বই মেলা থেকে একটি উপন্যাসের বই কিনে দিয়েছেন মো. হায়দার। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা সকাল থেকেই মেলায়। স্ত্রী বই পড়তে পছন্দ করেন। আর হুমায়ুন আহমেদ তো কথাই নেই। তাই স্যারের “নবনী” উপন্যাসটি কিনে দিয়েছি।

চারুলিপি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী বার্তা২৪ জানান, মেলায় আজকে সবচেয়ে বেশি পাঠক আসছে। বই বিক্রিও ভালো হচ্ছে। মেলার অন্যদিন গল্প-উপন্যাসের চাহিদা বেশি থাকলেও আজকে ভাষা দিবস সম্পর্কিত বইয়ের আগ্রহ ছিল দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশি।

মেলায় জলছবি প্রকাশনের এক প্রকাশক অচিন্ত্য চয়ন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারের বই মেলা জমজমাট। গত কয়েক বছর করোনার ভয় ছিল। তবে এবার সেটা কাটিয়ে উঠেছে মানুষ। অন্যান্য দিনের চেয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি হওয়ায় আজ মেলায় ভিড় বেশি। এবার সন্তুষ্টির জায়গাটাও রয়েছে প্রকাশক হিসেবে।

বইমেলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বরাবরের মতোই জোরদার রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অরাজকতার ঘটনা ঘটেনি। বইমেলায় দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শ্রী চিত্তরঞ্জন সাহা বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের সামনের বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলা শুরু করেন। এই ৩২টি বই ছিল চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বর্তমানে মুক্তধারা প্রকাশনী) থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশি শরণার্থী লেখকদের লেখা বই।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *