সারাদেশ

শান্তি সমাবেশে কুয়াকাটা পৌর মেয়রের উপর হামলা: আহত ১০

ডেস্ক রিপোর্ট: শান্তি সমাবেশে কুয়াকাটা পৌর মেয়রের উপর হামলা: আহত ১০

ছবি: সংগৃহীত

আওমায়ী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটার পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের উপর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বারেক মোল্লার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, শান্তি সমাবেশ বর্জন করানোর জন্য বারেক মোল্লার বাহিনী আমাদের উপর হামলা করেন।  এতে আমি সহো আরো ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছি।

এবিষয়ে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বারেক মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা।

মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্য মোঃ ফেরদৌস আলম খান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমির খসরু গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের নিজ বাসা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর রাত ১টা ১৫ মিনিটে আমীর খসরুকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তবে কোন মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানাননি তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। দলটির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠকে তাঁকে দেখা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গুলশান এলাকা থেকে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে গ্রেফতারের কথা জানানো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার এজাহারনামীয় আসামি ১ হাজার ৫৪৪ জন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ঢাকা শহরে নাশকতার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।

এসব মামলার আসামি হিসেবে এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

;

বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে, বিএনপি-জামায়াতের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী সাতক্ষীরার তালায় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে তালা উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম হিল্লোলের সঞ্চালনায় সমাবেশে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জামায়াত সমাবেশের নামে সাধারণ জনগণ, সাংবাদিক, পুলিশের উপর হামলা, অ্যাম্বুলেন্স ও গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা আবারও দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখনই তাদের প্রতিহত করতে হবে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, যুগ্ম সম্পাদক মীর জাকির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মীর মহাসীন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, উপজেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার, সাধারণ সম্পাদক জি এম শফিউর রহমান ডানলাপ। এছাড়া সমাবেশ বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শুরুর আগে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

;

বাসে অগ্নিসংযোগসহ ৭ নাশকতা মামলায় গ্রেফতার ২

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নিরিবিলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ও নাশকতার একাধিক মামলার আসামি বিএনপি নেতা রকি দেওয়ান ও সোলায়মান দেওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আশুলিয়া থানায় আনা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় ঢাকার হাতিরঝিল মধুবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি রকি দেওয়ান এবং তার আপন বড় ভাই আশুলিয়া থানাধীন পাথালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সোলায়মান দেওয়ান। তারা আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের মৃত আলিম উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, আশুলিয়া থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি রকি দেওয়ানের বিরুদ্ধে অন্তত ৭ টি নাশকতার মামলা রয়েছে। তার মধ্যে নিরিবিলি এলাকার বাসে অগ্নিসংযোগ অন্যতম। এছাড়া সোলায়মান দেওয়ানের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।

তারা রাজধানীর হাতিরঝিল মধুবাগ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) মিজানুর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা আছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

;

চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ

ছবি: বার্তা২৪.কম

অবরোধের তৃতীয় দিনে চট্টগ্রামে ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। তাছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলেও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে নগর বিএনপির দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের শত বাধা বিপত্তির মধ্যেও দুপুরে হাটহাজারী নাজিরহাট রেল লাইনের অক্সিজেন এলাকায় মহানগর যুবদল নেতা আলিফ উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্বে ও ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ফতেহাবাদ, চৌধুরী হাট ও লালিয়ার হাট এলাকায় কর্মসূচি পালন করেন ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার কর্মী সমর্থকেরা।

তাছাড়া বিকেলে বায়েজিদ লিংক রোড়ের এশিয়ান উমেন ইউনিভার্সিটি এলাকায় মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা উদয় কুসুম বড়ুয়া ও উত্তর জেলা বিএনপি ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড়ে পাহাড়তলী থানা যুবদল ও বায়েজিদ লিংক রোডে বায়েজিদ থানা যুবদল, আসাদগঞ্জ, শুঁটকি পট্টি ও চামড়ার গুদাম এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল ও সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কোতোয়ালি থানা বিএনপি নেতাকর্মীরা।

তবে পুলিশ বিএনপির এসব শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির আরও ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে পতেঙ্গা থানা পুলিশ ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ইলিয়াছ ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবদুল হামিদকে গ্রেফতার করেছে। তাছাড়া কোতোয়ালি থানা পুলিশ এনায়েত বাজার ওয়ার্ড যুবদল নেতা সাদাত হোসেন আবুল, বাগমনিরাম ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি নাছির উদ্দীন ও যুবদল নেতা গোলাম হক্কানি সহ ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

নগর বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী জানান, অবরোধ হরতাল জনগণের অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচি। অথচ এই হরতাল, অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা মনে করি, সরকার পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটিয়ে এর দায়ভার বিএনপির উপর চাপানোর চক্রান্ত করছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *