সারাদেশ

মধ্যরাতেই ইলিশ শিকারে পটুয়াখালীর জেলেরা

ডেস্ক রিপোর্ট: মধ্যরাতেই ইলিশ শিকারে পটুয়াখালীর জেলেরা

ছবি: বার্তা২৪.কম

জালে রুপালী ইলিশ মেলার আশায় বুক বেধে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বেকার বসে থাকার পর ২ নভেম্বর মাঝ রাতেই নদী এবং সাগরে ইলিশ শিকারে নেমে পড়েছে পটুয়াখালীর কয়েক হাজার জেলে।

জেলেরা বলেন, সরকারে নির্দেশনা মেনে আমরা মাছ ধরা বন্ধ রেখেছি। তাই ধার দেনা করে আমাদের সংসার চালাতে হইছে। এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় রাতেই ইলিশ ধরার জন্য রহনা দিলাম।  আশা করি এবার অনেক মাছ পাবো।

কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন,  রাতেই শত শত নৌকা ইলিশ ধরার উদ্দেশ্যে রহনা দিয়েছে। বাকি যেগুলো আছে ওইগুলোর বরফ নেয়া শেষ হলে সাগরের উদ্দেশ্যে রহনা দিবে। নৌকাগুলো ফিরে এলে বোঝা যাবে সাগরে কি পরিমাণ মাছের উৎপস্থিতি রয়েছে। তকে আজ থেকেই বাজারে স্থানীয় নদীর মাছ পাওয়া যাবে। 

পটুয়াখালী জেলা মৎস কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘১১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে ২ নভেম্বর রাত ১২ টার পর। এরপর থেকে জেলেদের নদী ও সাগরে মাছ ধরতে কোন বাধা নেই। আশা করি এবার জেলেরা বোট বোঝাই করে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে ফিরবেন।’ 

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন  পদ্মার মোড় এলাকায় সড়কে টায়ারে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাজবাড়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে  হঠাৎ অবরোধকারিরা স্লোগান দিয়ে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় সড়কে তারা ইট ফেলে কিছু সময় অবরোধ করে। অবরোধ করার সময় ককটেলের বিকট আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে  পুলিশ আসার আগেই তারা পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। হঠাৎ করে অজ্ঞাতনামা কিছু লোকজন পদ্মার মোড় এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েকটি ককটেল ফুটিয়েছে ও সড়কে ইটপাটকেল রেখে তারা অবরোধর পক্ষে স্লোগান দেয়। 

ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি চকলেট বোমার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’ 

;

৩ নভেম্বর: কলঙ্কিত জেল হত্যা দিবস

জাতীয় চার নেতা

আজ ইতিহাসে কলঙ্কিত সেই তেশরা নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর স্বাধীন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করার লক্ষ্যে একই বছরের এই দিনে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে খুনিচক্র। সেদিনের সেই হত্যাযজ্ঞের ফলে দিনটি জাতির কাছে ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে কলঙ্ক বহন করে ফিরে আসে প্রতি বছর। 

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশের নেতৃতস্থান যখন দিশেহারা ঠিক তখনই দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই চার জাতীয় নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁরা হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলী। 

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারারুদ্ধ থাকাকালে জাতীয় চার নেতা দৃঢ়তার সাথে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

পঁচিশে মার্চের শেষ রাত এবং ছাব্বিশে মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালী কারাগারের নির্জন সেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিনগুলোয় সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় চার নেতা দেশের মানুষকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন।

মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী ৩ নভেম্বরের জেল হত্যা। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বেদনাবিধূর ও কলঙ্কময় একটি দিন। দেশের আপামর জনতা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মাত্র নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করেছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন। এ দেশের জনগণকে একত্রিত করে ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে বিজয়ের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছেন, সেই জাতীয় চার নেতাকে চরম নির্মমতার সাথে হত্যা করে খুনিবাহিনী। তাঁদেরকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা ও ৩ নভেম্বর জেলহত্যা একসূত্রে গাঁথা। মূলত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই ৭৫-এর ৩ নভেম্বর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল খুনিচক্র। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র এবং তাদের হত্যার রাজনীতিকে পরাজিত করেছে।

;

কিশোরকে যৌন নির্যাতনের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এক কিশোরকে যৌন নির্যাতনের দায়ে করা মামলায় মোঃ আব্দুর রহিম (৫৮) নামের ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইবুনাল। একই রায়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭’র বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইবুনালের বেঞ্চ সহকারি কফিল উদ্দিন।

দণ্ডিত মোঃ আব্দুর রহিমের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। তবে তিনি পতেঙ্গা থানার দক্ষিণ পতেঙ্গা গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিক্টিম পতেঙ্গা থানার দক্ষিণ পতেঙ্গা ১৪ নম্বর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ১৩ বছরের এক কিশোর। হোটেলের কাজ শেষে রাতে সেখানেই থাকত সে। ঘটনা ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর। মোঃ আব্দুর রহিম ওই কিশোরকে যৌন নির্যাতন করে। এ সময় কিশোরের চিৎকার শুণে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। সবাই আব্দুর রহিমকে গালমন্দ করে। তিনি ভবিষ্যতে এই রকম কর্মকাণ্ড করবে না বলে ক্ষমা চেয়ে চলে যান।

পরে দোকানের মালিক, বাবা-মায়ের পরামর্শে ওই কিশোর থানায় মামলা করে। তদন্ত শেষে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র জমা দিলে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ছয়জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এমএ নাসের বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কিশোরকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোঃ আব্দুর রহিমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় মোঃআব্দুর রহিম ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

নির্মাণসামগ্রী পরিক্ষণ গবেষণাগার চালু করল চসিক

ছবি: সংগৃহীত

সড়কে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রীর মান পরীক্ষা করতে গবেষণাগার চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। 

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সাগরিকায় অত্যাধুনিক এ গবেষণাগার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী।

এসময় মেয়র বলেন, কোটি টাকা ব্যয়ে কোর কাটার মেশিন, ওভেনসহ ৩৩টি বিভিন্ন অত্যাধুনিক মেশিনে সড়কসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহৃত সামগ্রী পরীক্ষা করা হবে এ গবেষণাগারে। আবার প্রকল্প শেষ হলে সে প্রকল্প থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে কাজের মান পরীক্ষা করা হবে। ফলে একদিকে চট্টগ্রামের রাস্তার মান বাড়বে, অপরদিকে আগে এ পরীক্ষাগুলো বাইরে করতে গিয়ে যে ব্যয় হতো তা সাশ্রয় হয়ে চসিকের আয় বাড়বে এবং সময় সাশ্রয় হবে। 

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর মোঃ ইসমাইল, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, পিএসসি, বিএল, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, শাহিনুল ইসলাম, আবু ছিদ্দিক, নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল বারী ভূঁইয়া, আনোয়ার জাহান, আশিকুল ইসলাম, মীর্জা ফজলুল কাদের, ফারজানা মুক্তা, তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *