সারাদেশ

ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে রাশিয়া যাচ্ছেন ৯৫ বাংলাদেশি 

ডেস্ক রিপোর্ট: ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে রাশিয়া যাচ্ছেন ৯৫ বাংলাদেশি 

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে মানবিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ থেকে ৯৫ জন তরুণ সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে ৫৩ জনের সব খরচ বহন করবে রাশিয়া। অন্যান্যদের ফ্লাইটের টিকিটের খরচ নিজেদের বহন করতে হবে। এর মধ্য থেকে ৩২ জন যুব প্রতিনিধি রিজিওনাল প্রোগ্রামে সুযোগ পাবেন।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ব যুব উৎসব রাশিয়ার জাতীয় প্রস্তুতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন হায়দার।

এই উৎসবে অংশ নিতে এবার ১৮৮টি দেশের ৩ লাখ ৯ হাজার ৫৪২টি আবেদন জমা পড়েছিল। এরমধ্যে ১৮০টি দেশের ১০ হাজার বিদেশি এবং ১০ হাজার রাশিয়ান এতে অংশ নেবেন। কর্মদক্ষতা, এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস, সাংস্কৃতিক অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক কার্যক্রম, শিক্ষা, প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়।

তিনি বলেন, আশা করছি, উৎসব থেকে ফিরে অর্জিত শিক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন। উৎসবে রাশিয়ান সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রদর্শনী, বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী তুলে ধরা হবে। থাকবে খেলাধুলা, কর্মশালা, আলোচনা ইত্যাদি। সেখানে বাংলাদেশের স্টলে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, পর্যটন, লোক ও হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, পাটের থলে, মুদ্রা, মিষ্টি, খাবার। একদিন অংশগ্রহণকারী পরবেন শাড়ি ও পাঞ্জাবি। তাদের হুডি পোশাকে স্মৃতিসৌধ ও রিকশাচিত্র থাকবে।

বিশ্ব যুব উৎসব রাশিয়ার জাতীয় প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান তারেক মাহমুদ বলেন, ২০১৭ সালে এ প্রোগ্রাম হয়েছিল। এবার ২৭-২৯ ফেব্রুয়ারি ফ্লাইটে অংশগ্রহণকারী ৯৫ জন যাবেন রাশিয়ায়। এর মধ্যে ১০ জন চট্টগ্রামের। এ ছাড়া ১০ জন সাংবাদিক যাচ্ছেন নির্বাচন কাভার করতে। এটি আমাদের জন্য গৌরবের।

রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, রাশিয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থী, বিশেষজ্ঞদের নেওয়া হয় উৎসবে। এখানে অর্জিত দক্ষতা দিয়ে তারা দেশের উন্নয়নে জন্য কাজ করতে পারবেন। রাশিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতাকাল থেকে আন্তরিক বন্ধু। আশাকরি, যারা এ উৎসবে যাবেন তারা দেশের দূত হিসেবে কাজ করবেন। তাছাড়া, রাশিয়া সরকার বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতে ১৪২টি বৃত্তি দিচ্ছে। আগামীতে আরও বাড়ানোর প্রচেষ্টা আছে।

দেশের ৫০০ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী

ছবি: বার্তা২৪.কম

অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রাথমিকভাবে ৫শ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেনী সার্কিট হাউসে পরিবেশ ও বন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, অতীতে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে এ ধরনের ইটভাটা বন্ধ করা হলেও পরবর্তী আবার তারা কার্যক্রম শুরু করেছে। এবার যেন সেগুলো আর চালু হতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কয়টা ইটভাটা আছে, আমরা কয়টা অভিযান পরিচালনা করলাম, এখন আমরা এই আলোচনায় থাকতে চাই না। আমরা চাইবো, সবগুলো ভাটা বন্ধ হয়ে যাক।

তিনি বলেন, ফেনীর ইটভাটাগুলো নিয়ে আমি যতটুকু জানি, যখন ভাটাগুলো স্থাপন করা হয় তখন আশেপাশে কোনো বসতি কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন হয়ে গেছে। এসব কারণে ইটভাটাগুলোর নবায়ন করা হচ্ছে না।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সরকার ব্লক ইটে যেতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ধীরে ধীরে পুরোপুরি ব্লক ইটে যেতে চায়। এজন্য সরকারি বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে। ইটভাটা মালিকরা এ সুযোগগুলো নিতে পারে। ব্লকের অন্যতম সুবিধা হলো এখানে কৃষি মাটির ব্যবহার হবে না। এছাড়া এ প্রক্রিয়ায় বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব। এজন্য যত দ্রুত ব্লকে যাওয়া যাবে সেটি আমাদের জন্য মঙ্গল।

দূষণ রোধে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আমরা একটি ডিজিটাল ম্যাপিং করছি। এটির মাধ্যমে কোন জায়গায় জলাধার, নদী ও খাল রয়েছে সেটি আরও স্পষ্ট হবে। তখন আরও তদারকি জোরদার করতে পারব। শুধু সমস্যার কথা বলতে চাই না, আমরা সমাধানের দিকে যেতে চাই। রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। তবে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে গেলে বিষয়গুলো সমাধান হবে।

সভায় বন বিভাগের পরিচালক (ভূমি পরিমাপ) আনিস মাহমুদ, ফেনী জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এবং পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। এ সময় ফেনীর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রীর সাথে কথা বলেন তারা।

;

দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রতিমন্ত্রী

ছবি: বার্তা২৪.কম

দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
মো. মহিবুর রহমান।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানীতে ডিএনসিসি সুপার মার্কেটে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির মহড়া’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভৌগোলিক কারণে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়তে হয়। তাই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশকে মেনেই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আজকে একটি মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আজকে বিশ্বের অনেক দেশ অনুসরণ করে।

আজকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্যোগ মোকাবিলার যে মহড়া দেখিয়েছে তাতে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডে আমাদের এই ফায়ার সার্ভিস তাদের সক্ষমতা দেখিয়েছেন। আমি মনে করি তাদের এই দক্ষতাকে আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এবং ভবিষ্যতে আমাদের যেকোনো দুর্যোগে প্রস্তুত থাকতে হবে। ঢাকা শহরে অনেক অপরিকল্পিত ভবন রয়েছে এসব ভবনে যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ডের বা দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমাদের আরও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আমরা যে সক্ষম তা আমাদের প্রমাণ করতে হবে।

মহড়া অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ফগার মেশিনের মাধ্যমে ধোঁয়া সৃষ্টি, ড্রামের ভেতর আগুন সৃষ্টি, এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করে ড্রামের আগুন নির্বাপণ করা,পানিবাহী গাড়ি দিয়ে আগুন নেভানো, কমান্ড পোস্ট স্থাপন, ফাস্ট এইড পোস্ট স্থাপন, আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার, জাম্বু কুশন, রোপ র‍্যাপলিং, টিটি এল (টার্ন টেবিল লেডার) এর ব্যবহার ইত্যাদি মহড়ায় প্রদর্শন করে।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসে যুক্ত হওয়া টিটিএল বা টার্ন টেবিল লেডার বর্তমানে ২৪ তলা অর্থাৎ ৬৮ মিটার পর্যন্ত উঁচুতে উঠে যেকোনো বিপদগ্রস্ত মানুষকে নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম।

অতীতে মাত্র ২০৪টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলেও বর্তমানে এর সংখ্যা ৫০৬টি। উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৩১টি। সব মিলিয়ে ভবিষ্যতে এর সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৩৫টি।

;

বিচারহীনতায় দিন দিন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে

ছবি: বার্তা২৪

বিচারহীনতায় দিন দিন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের অতীত ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু বিচার হয়নি। সাংবাদিকদের ওপর হামলার, এমনকী বর্বর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়ও বিচার পাওয়া যায়নি!

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক খন্দকার হাফিজুর রহমান বিপ্লবের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ফোরাম এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

প্রধান বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার চেয়ে আমরা কয়েকবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু এরপরও বিচার হয়নি। এটি দুঃখজনক’!

তিনি বলেন, ‘বিচারহীনতার জন্যই বার বার সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে’।

সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘সাংবাদিক হামলা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হলেই আমরা এসব ঘটনা প্রতিহত করতে পারবো’

ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন, ঢাকা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ বলেন, ‘সাংবাদিকরা জনগণের জন্য কাজ করেন। এদেশের মানুষের জন্য কাজ করেন। সাংবাদিকরা কখনো কোনো ব্যক্তির জন্য কাজ করেন না। খন্দকার হাফিজুর রহমান বিপ্লবের ওপর যে হামলা করা হয়েছে, আমরা সেটির তীব্র নিন্দা জানাই। যতক্ষণ পর্যন্ত হামলাকারীর শাস্তি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ আমাদের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না’।

তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা যাতে কোনো সাংবাদিকদের ওপরে হামলা করতে না পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের ওপরে হামলা কখনোই সহ্য করবেন না’।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ‘হামলাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। আমরা আল্টিমেটাম দিচ্ছি, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে হামলাকারী রাশেদুল হাসানকে গ্রেফতার করা না হলে, আমরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করবো’।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক নির্বাহী সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব বলেন, বিপ্লব একা নয়! তার সঙ্গে পুরো সাংবাদিক সমাজ আছে। যারা সাংবাদিকদের ওপরে মামলা করেছে, প্রধানমন্ত্রীকে রিকোয়েস্ট (অনুরোধ) করবো, আপনি তাদের অতি শিগগির উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যে কোনো সাংবাদিককে যে কোনো জায়গায় হামলা করা হলে আমরা সেটির প্রতিবাদ করবো। বিপ্লবের ওপরে যে হামলা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। যতক্ষণ পর্যন্ত হামলাকারীর বিচার না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকবো এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

সাংবাদিক নেতা এম শাহজাহান সাজু’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য জাফর, মীর আফরোজ্জামানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

;

কয়লা নিয়ে পশুরে কার্গো ডুবি, ১১ নাবিক জীবিত উদ্ধার

ছবি: বার্তা ২৪

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে নৌ চ্যানেলে ৯৫০ মেট্রিকটন জ্বালানি কয়লা নিয়ে ‘এম ভি ইশরা মাহমুদ’ নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এসময় জাহাজের ১১ নাবিক সাঁতরিয়ে কিনারে উঠে গেলে প্রাণে বেঁচে যান তারা।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পশুর নদীর সিগনাল টাওয়ার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বন্দরের ৬ নম্বর মুরিং বয়ায় অবস্থান করা মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী মার্চেন্ট শিপ ‘এমভি পারাস’ থেকে কয়লা বোঝাই করেছিল ওই কার্গো জাহাজ। যশোরের নওয়াপাড়ায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে নেওয়া হচ্ছিল এই জ্বালানি কয়লা।

কার্গো জাহাজ এমভি ইশরা মাহমুদের মাষ্টার কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্য যাচ্ছিলেন। ওইদিন পশুর নদীর বানিশান্তা বাজার বয়ায় নোঙ্গরে রাখে তার কার্গো জাহাজ। এরপর জাহাজটিতে তলাফেটে পানি ঢুকতে শুরু করলে সেখান থেকে দ্রুত ছেড়ে এসে পশুর নদের চরকানা এলাকায় আসা মাত্রই ডুবতে থাকে। এসময় জাহাজে থাকা ১১ নাবিক দ্রুত সাঁতরিয়ে কিনারে উঠে প্রাণ বাঁচান।

এরপরই ডুবে যাওয়া এমভি ইশরা মাহমুদ কার্গো জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণ করে পাশে অবস্থান করা একটি বার্জে রাখতে শুরু করে মালিকপক্ষ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের উপ পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, কয়লা নিয়ে কার্গো জাহাজটি পশুর নদীর চরে ডুবে যাওয়ায় বন্দরের নৌ চ্যানেল নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। দুর্ঘটনার পর পশুর চ্যানেলে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কয়লা নিয়ে জাহাজ ডুবির ঘটনায় সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, কয়লা একটি বিষক্ত ময়লা। এই কয়লা জোয়ার ভাটায় নদীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে জলজ প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হবে। তাই দ্রুত এই কয়লা অপসারণ করাসহ কয়লাবাহী জাহাজের চালকদের আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *