মেঘনা পিইটি ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক জবি শিক্ষক শেখ মাশরিক
ডেস্ক রিপোর্ট: দ্বিতীয়বারের মতো ভিন্ন ভিন্ন উদ্ভাবনীর সম্মেলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব-২০২৪।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কুবি সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে সারা দিনব্যাপী এই বিজ্ঞান উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন এর উদ্বোধন করেন।
এবারের বিজ্ঞান মেলায় কুমিল্লাসহ আশেপাশের স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছেন ৷ প্রায় ১৭০০ জন এতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৷ তাদের উদ্ভাবনের ও মডেলগুলো প্রদর্শনের জন্য স্টল রাখা হয়েছে ৭৬ টি।
বিজ্ঞান উৎসবের প্রজেক্ট প্রদর্শনকারী কুমিল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুস সাদ আব্দুল্লাহ বলেন, অনেক ভালো লাগছে, দীর্ঘদিন পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এরকম একটা বড় সাইন্স ফেস্টের আয়োজন করেছে। প্রায় ১৭০০ শিক্ষার্থী এটাতে অংশগ্রহণ করেছে। সাইন্স নিয়ে এরকম কার্যক্রম কুমিল্লাতে অনেক কম হয়। এটা থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞানকে প্র্যাক্টিকালি ইমপ্লিমেন্ট করার সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি তারা রোবটিক্সসহ আরও অনেক আইডিয়া নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। এর মাধ্যমে তাদের ব্রেইন ডেভেলপ হচ্ছে।
কুবি সায়েন্স ক্লাবের মডারেটর সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, এই বিজ্ঞান মেলাকে ঘিরে কুবিতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে ৷ বিভিন্ন ইভেন্টে এখনো কার্যক্রম চলছে ৷ বিকেলে কায়কোবাদ স্যার শিক্ষার্থীদের সাথে একটি সেশন করবেন। এবারের প্রধান উদ্দেশ্য হলো কুবির আশেপাশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোর সাথে যাতে সমোঝোতার সাথে ভালোভাবে কাজ করতে পারি। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য বিজ্ঞানকে ভিত্তি হিসেবে ধরে তা ছড়িয়ে দেওয়াই কুবি সায়েন্স ক্লাবের এই উদ্যোগ।
অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি দেখে খুবই আনন্দিত। এখানে প্রায় ১৭০০ স্টুডেন্ট রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। কুমিল্লা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বিভিন্ন স্কুল এবং তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসেছে। এখানে অলিম্পিয়াড হচ্ছে, সাইন্স প্রজেক্ট হচ্ছে। এগুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কয়েকটি কাজ করে তার মধ্যে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শিক্ষায় মানুষের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এটা একটা প্রচেষ্টা বিশেষ করে স্কুল, কলেজের তরুণ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয়ত, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজের যোগাযোগ বৃদ্ধি। এর মাধ্যমে একে অপরের অংশগ্রহণমূলক কাজ বৃদ্ধি পাবে। তৃতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে একটা নিজস্বতা আছে, বিজ্ঞান শিক্ষায় যে বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধ সেটারও একটা প্রমাণ দিচ্ছে। সুতরাং এসব দিক থেকে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইভেন্ট।
এদিন একইসাথে প্রদর্শনী, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, ফটোগ্রাফি কন্টেস্ট, সায়েন্স প্রজেক্ট প্রদর্শনী, রুবিক কিউব শো সহ অনেক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছে ৷
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।