সারাদেশ

বিদেশ থেকে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্বামী, ঘাতক গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট: বিদেশ থেকে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্বামী, ঘাতক গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের উত্তর পাট্টা গ্রামে গৃহবধূ রোজিনা আক্তার আরজিনা (৩০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত মোঃ শিহাব শেখ (৪৫) নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

শনিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ।

গ্রেফতার মোঃ শিহাব শেখ পাংশা উপজেলার বাজেয়াপ্ত বাগলী গ্রামের হেকমত আলী শেখের ছেলে। নিহত রোজিনা আক্তার ওরফে আরজিনা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের উত্তর পাট্টা গ্রামের দুবাই প্রবাসী লিটন শেখের স্ত্রী।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোজিনার স্বামী দুবাই প্রবাসী। রোজিনা তার ছেলে রাসেল (১২) ও রাকা (৬) কে নিয়ে পাংশার পাট্টায় তার স্বামীর বাড়িতে থাকতো। রোজিনা তার ছেলেকে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার দিকে তার স্বামীর বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে এবং তার মেয়ে অন্য বাড়িতে দাদা-দাদির কাছে ছিলো।

অজ্ঞাতনামা আসামিরা গত ৮ই ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টা থেকে ৯ই ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬ টার মধ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রোজিনাকে হত্যা করে পাট্টা এলাকার ওসমান মোল্লার বাঁশ বাগানে দক্ষিণপাশে আম বাগানে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রোজিনার বাবা আবজাল খাঁ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পরে জেলা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে তদন্ত শুরু করে এবং গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মোঃ শিহাব শেখকে গ্রেফতার করে।

জেলা পুলিশ আরও জানায়, রোজিনার সাথে তার দুবাই প্রবাসী স্বামী লিটন শেখের পারিবারিক কলহ ছিলো। এছাড়াও রোজিনার স্বামীর একাধিক পরকিয়া ছিলো। এ বিষয়টি রোজিনা জানার পর তাদের মধ্যে আরও ঝামেলা শুরু হয়। মাঝেমধ্যেই লিটন শেখ তার স্ত্রী রোজিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এ কারণে রোজিনা তার ছেলে ও মেয়েকে বাবা বাড়িতেও চলে গিয়েছিল। পরে রোজিনা তার স্বামীর বাড়িতে আবার ফিরে আসে। এরপর লিটন শেখ দুবাই চলে যায়। সে দুবাইতে গিয়ে তার স্ত্রী কে হত্যার পরিকল্পনা করে। লিটন তার স্ত্রী রোজিনাকে হত্যা করার জন্য স্থানীয় শিহাব শেখ নামের এক ব্যাক্তিকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ঠিক করে। শিহাব লিটনের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরে আসামি শিহাব ও সহযোগীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রোজিনা কে সুকৌশলে তার বাড়ি থেকে বের করে এনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ও গাছের ডাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে মরদেহ বাগানে ফেলে রেখে যায়।

এ বিষয় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত শিহাব নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে রোজিনাকে হত্যা করে। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি শিহাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

ছবি: বার্তা২৪.কম

জনবল সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার এক যুগ পেরিয়ে গেলেও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন রোগীরা। এছাড়া পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় প্রয়োজনীয় সেবা ও চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীদের।

রোগী ও স্বজনরা বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি থেকে শুরু করে এক্স রে করতে হলে সেবা মেলে না ৫০ সজ্জা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে। এতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাইরে থেকেই নিতে হয় বিভিন্ন সেবা। ডিজিটাল এক্সরে মেশিন থাকলেও অপারেটর না থাকায় তা পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স সেবা, অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা প্রদানসহ আউট ডোর সেবায় নেই পর্যাপ্ত লোকবল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১১ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পঞ্চাশ শয্যা হাসপাতাল হিসেবে ১৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা হাসপাতালটিতে। বর্তমানে ৫ জন চিকিৎসক দিয়েই চলছে চিকিৎসা সেবা। হাসপাতালটিতে ২৫ জন নার্সের বিপরীতে ১৪ জন নার্স আছেন।

এছাড়া, হাসপাতালটিতে ৫ জন ক্লিনার থাকার কথা থাকলেও সেখানে নেই কোন জনবল। এক্সরে অপারেটরসহ প্রতিটি সেক্টরে জনবল সংকটে এক প্রকার নাজুক অবস্থা হাসপাতালের। এতে তিস্তা বেষ্টিত উপজেলাটির ৯ ইউনিয়নের প্রায় তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়ছেন বিশাল এই জনগোষ্ঠী। ফলে দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে সকল সংকট নিরসনের দাবি স্থানীয়দের।

শিশুর জন্য চিকিৎসাসেবা নিতে আসা দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকার মোসলেহা বেগম বলেন, আমার ৬ মাস বয়সী সন্তানের চিকিৎসা নিতে এসে শিশু বিশেষজ্ঞ শাহানা আফরিনের দেখা না পাওয়ায় জরুরি বিভাগের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছি।

সিঙ্গীমারী থেকে আসা সিরাজুল নামে একজন বলেন, হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার, এক্সরে মেশিন ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফসহ সব ধরনের ব্যবস্থা থাকলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে সংকট নিরসনের দাবি আমাদের।

আসমা বেগম নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালের চারদিকে ময়লা। ১০ বার ডাকলেও কোন নার্স আসে না। ডাক্তার তো ওই সকালে আসে না৷ 

এবিষয়ে জানতে চাইলে জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ হাসানুল জাহিদ বলেন, ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনবল চাহিদা পাঠানো হয়েছে এবং যোগাযোগ অব্যাহত আছে।

জনবল সংকটে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন অফিসার ডা: নির্মলেন্দু রায় বলেন, ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনবল চাহিদা পাঠানো হয়েছে এবং যোগাযোগ অব্যাহত আছে।

;

ঢাকাসহ ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা এবং খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা কমতে পারে।

;

প্রতিবন্ধী পরিবার নিয়ে আছিয়ার সংগ্রাম

ছবি: বার্তা২৪.কম

৬০ বছর বয়সী আছিয়া বেগম। তার দৃষ্টিহীন স্বামী, প্রতিবন্ধী পুত্র ও নাতির সঙ্গে মিলে এক অসহায় জীবন যাপন করছেন। যেখানে মাথা গোঁজার ঠিকানা পর্যন্ত নেই। এই পরিবারের কাহিনী যেন বলে দেয় সমাজের এক নিষ্ঠুর বাস্তবতা।

কোনো এক সময়ে অন্যের জমিতে একটি ছোট আশ্রয় হারিয়ে তারা এখন আকাশের নিচে এক মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জীবন যেন এক একটি সংগ্রামের গল্প।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে দেখা যায় অসহায় আছিয়া বেগমের সংগ্রামী জীবনচিত্র।

আছিয়া বেগমের পরিবারের কষ্টের কাহিনী আমাদের সামনে একটি প্রশ্ন রাখে—সমাজের এই অবহেলিত, নিপীড়িত মানুষেরা কি কোনোদিন ন্যায্য সামাজিক নিরাপত্তা পাবে? তাদের জীবনের এই অনিশ্চয়তা ও দুর্দশা কি কখনো শেষ হবে?

সমাজ ও সরকারের উচিত এই ধরনের পরিবারগুলোর প্রতি আরো সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট সহায়তা করা। আছিয়া বেগমের মতো পরিবারগুলো যাতে একটি মানসম্মত জীবন যাপন করতে পারে, তার জন্য প্রয়োজন সমাজের সবার একযোগে প্রচেষ্টা করা বলে মনে করছেন অনেকে।

সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এই পরিবারের লড়াই এবং তাদের অদম্য সাহস আমাদের সমাজের জন্য একটি শিক্ষা। তারা শুধু বেঁচে থাকার জন্য নয়, একটি সম্মানজনক জীবনের আশায় প্রতিদিন লড়াই করে চলেছে। তাদের এই লড়াই আমাদের সমাজের অন্যান্য সদস্যদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা এবং একসঙ্গে মানবতার জয়গান হোক।

এ বিষয়ে আছিয়া বেগম বলেন, নিরুপায় হয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্বামী, প্রতিবন্ধী ছেলে ও প্রতিবন্ধী নাতিকে নিয়ে ১৫ দিন থেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। খাওয়ার কিছুই নেই। ক্ষুধা লেগেছে তাই বাজার থেকে এক কেজি চাল ও এক কেজি বেগুন নিয়ে এসেছি। এগুলো এখন রান্না করছি। কোথায় যাব, কি করব, কিছুই বুঝতে পারছিনা।

তবে আছিয়া বেগম দাবি করেন, সরকার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ঘর দিচ্ছেন। সরকারিভাবে গুচ্ছ গ্রাম বা কোথাও একটু ব্যবস্থা করে দিলে প্রতিবন্ধী স্বামী, সন্তান ও নাতিকে নিয়ে বাকি জীবনে কিছুটা হলেও সুখ মনে করতাম।

এদিকে আছিয়া বেগমের মেয়ে ঝর্না বেগমের বিয়ে হয়ে স্বামীর সঙ্গে সংসার করছেন। ছেলে ইকবাল হোসেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করছেন। আরিফ হোসেন নামের আরেক ছেলেকে ২০১৮ সালে কে বা কারা যেন হত্যা করে মাঠের মধ্যে মরদেহ ফেলে রেখে গিয়েছিল। আতাউল হোসেন নামের আরেক সন্তান কয়েক বছর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তার সন্ধান আজও পায়নি। এ কথাগুলো বলতে বলতে আছিয়া বেগম হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন।

এ বিষয়ে আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, এর আগেও এখানে এসে কিছুদিন ছিল। আবারও হঠাৎ দেখছি ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে আছিয়া বেগম তার পরিবার নিয়ে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের থাকার কোন জায়গা নেই। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।

;

বেনাপোল কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন জুনে

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াতে বেনাপোল বন্দরে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১ একর জমিতে নির্মাণাধীন অত্যাধুনিক কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালটি আগামী জুন মাসে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে টার্মিনালটির ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এ টার্মিনালে একসাথে দুই হাজার পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিংসহ নানান সুবিধা পাবেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যেমন গতিশীল হবে তেমনি রাজস্ব আহরণ দ্বিগুন বৃদ্ধি পাবে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল কমিম জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের পাশে বেনাপোল বন্দরে ৪১ একর জাইগায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ কাজ। এখানে একসাথে ভারতীয় পণ্যবাহী ২ হাজার ট্রাক পার্কিং, ট্রাক চালকদের জন্য অত্যাধুনিক ৩টা টয়লেট কমপ্লেজ ও থাকা-খাওয়ার সু ব্যবস্থায় ব্রাক বিল্ডিং, ফায়ার সার্ভিস, কেমিকেল শেড, সিসি ও এসব কার্যক্রম পরিচালনায় অপারেশন বির্ডিং থাকবে। যেখানে বসে বন্দর কর্তৃপক্ষ বাণিজ্যিক গতিবিধি তদারকি করবে। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে টার্মিনালটির। যা চলতি বছরের জুনে উদ্বোধন হবে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি, রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, টার্মিনালটিতে সেবা শুরু হলে বন্দরে চলমান নানান সমস্যার ৯০ শতাংশ সমাধান হবে। তবে কাজের গুণগত মান যেন ভাল হয় সেদিকে কর্তৃপক্ষকে সুনজর রাখার আহবান জানান এ নেতা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহাবুদ বিপুল জানান, প্রতি বছর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে। যার ৮০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। তবে চাহিদা মত বন্দরের অবকাঠামো গড়ে না ওঠায় স্বাভাবিক বাণিজ্য পরিচালনা নানান ভাবে বিঘ্ন ঘটতো। দিনে ৬ থেকে ৭শ ট্রাক পণ্য আমদানির চাহিদা থাকলেও জায়গার অভাবে ৩০০ থেকে ৪০০ ট্রাকের বেশি পণ্য আমদানি সম্ভব হতোনা। রাসায়নিক পণ্যগারের অভাবে প্রায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছাড়াও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে দাবি ছিল জায়গা অধিগ্রহণ করে বন্দর আধুনিকায়নের। টার্মিনালটিতে সেবা শুরু হলে বন্দরে চলমান সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে।

ভারতীয় ট্রাকচালক রমেশ হালদার জানান, ট্রাক পার্কিং নিয়ে বড় সমস্যার মধ্যে ছিলাম। বাংলাদেশ সরকারের এই টার্মিনালে সে সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান জানান, প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ১০ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হয়। বন্দর আধুনিকায়নে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যেমন গতিশীল হবে তেমনি রাজস্ব আহরণ দ্বিগুন বৃদ্ধি পাবে।

টার্মিনাল নির্মাণ কাজে নিযুক্ত বন্দরের প্রকল্প প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, দ্রুত গতিতে কাজ এগোচ্ছে। কাজের মান ঠিক রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন অর্থ, পরিকল্পনা মন্ত্রালয় ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত কলকাতা দূতাবাস কর্মকর্তারা টার্মিনাল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *