সারাদেশ

আমির খসরুর গ্রেফতার প্রসঙ্গে যা বললেন ডিবি প্রধান

ডেস্ক রিপোর্ট: আমির খসরুর গ্রেফতার প্রসঙ্গে যা বললেন ডিবি প্রধান

ছবি: বার্তা২৪.কম

‘আমির খসরু মাহমুদ কে আমরা অনেক দিন ধরে খুঁজছিলাম। সে একটা বাসায় পালিয়ে ছিল। সেখান থেকে গতকাল রাতে আমরা তাকে গ্রেফতার করি। পল্টন থানার পুলিশ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর গ্রেফতার প্রসঙ্গে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান।

এর আগে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গুলশান-২ নম্বর এলাকার ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন ‘আপনারা জানেন প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুলিশ ভাইকে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এবং আরও পুলিশ ভাইয়েরা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে তারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আপনারা গেলে দেখবেন তাদের পরিবারের লোকজন কি আহাজারি করছে। একজন কোমায় চলে গেছে। এমন অবস্থায় মামলা রুজু হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যারা মামলার আসামি তাদের আইনের কাছে অবশ্যই সোপর্দ হতে হবে। নতুবা যারা পালিয়ে ছিলো তারা কিন্তু রক্ষা পায়নি। এবং যারা এখনও পালিয়ে আছে আমরা আইনের মাধ্যমে তাদেরকে ধরে এনে আদালতে সোপর্দ করবো।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমির খসরু মাহমুদ চার নাম্বার আসামি। এবং এই মামলায় তাকে দশ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ। তাদের নেতৃত্বে কারা কারা স্টেজে ছিল, কারা ইন্ধন জুগিয়েছে-সেসব খুঁজে বের করে বাকি যারা এফআইআর ভুক্ত তাদেরও আমরা গ্রেফতার করবো।’ 

বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান জানান, ‘২৮ তারিখ এবং পরবর্তী অবরোধের দিন গুলোতে পুলিশ-হাসপাতালের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে হামলা করা হয়েছে। ঢাকা শহরেরর বিচ্ছিন্ন এলাকায় তথাকথিত অবরোধের নামে তারা পুলিশের উপর আক্রমণ করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রত্যেকটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। এই তদন্তে, যারা জড়িত তাদের নাম আমরা পেয়েছি। তাদেরকে শীগ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।’ 

নতুন করে আবারও বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে তিনি জানান প্রত্যেক এলাকায় তাদের গোয়েন্দা সদস্য কাজ করছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: চলতি মাসেই পর্যবেক্ষক পাঠাবে কমনওয়েলথ

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কমনওয়েলথের প্রাক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষক আগামী ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। ইসি জানায়, তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তারা নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে একটি প্রি অ্যাসেসমেন্ট টিম পাঠানোর কথা বলেছে। আশা করি, তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণেও আসবে।

এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) প্রাক নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ টিম পাঠিয়েছিল। তারা পরে পূর্ণাঙ্গ টিম না পাঠিয়ে ছোট টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

সম্প্রতি বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করেছে ইসি। এক্ষেত্রে আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করতে চায় ইসি।

;

নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতার ওপর হামলার ভিডিও ভাইরাল

ছবি: বার্তা২৪.কম

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুমের ওপর হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার কালামুন্সি বাজারের তার নিজ দোকানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার মাসুম উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবু জাফর আবিরের অনুসারী।  

ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা মাসুম অভিযোগ করেন, কবিরহাট উপজেলা যুবলীগ ও পৌরসভা যুবলীগের কোন্দলের জের ধরে কবিরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের নির্দেশে তার অনুসারীরা এ হামলা চালায়।  

তবে অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন কবিরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান। 

গতকাল স্থানীয় যুবলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জের ধরে নোয়াখালীর কবিরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। পরে পৌর এলাকার বাহিরে সমাবেশ করে উপজেলা যুবলীগ। তবে পৌর যুবলীগের সমাবেশ স্থগিত করলেও তাদের হামলায় উপজেলা যুবলীগের ৪ নেতাকর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

;

গাজীপুরে হাসপাতাল থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেফতার ২

ছবি: বার্তা ২৪

গাজীপুর সদরে অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে গত বুধবার (১ নভেম্বর) অপহরণ হওয়া শিশু লাবিব (১) কে উদ্ধার করে জিএমপি সদর থানা পুলিশ।

এ সময় অপহরণকারী চক্রের ও শিশুটিকে ক্রয় করার জন্য আসা দুই নারীকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দুই নারী নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার বাউশী গ্রামের মোসা. সুলতানা খাতুন (২৬) ও ভোলা জেলা মনপুরা থানা হাজীরহাট গ্রামের আনসার মিয়ার মেয়ে মোসা. ফারজানা আক্তার (১৯)।

পুলিশ জানায়, অপহরণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগরীর পুবাইল থানা এলাকায় ও সদর থানাধীন ভোড়া (চৌকিদার বাড়ী) এলাকার অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশু লাবিব কে উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিএমপির সদর মেট্রো থানার কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম। তিনি আরও জানান, হাসপাতাল থেকে শিশুটি অপহরণের ঘটনা জানার পর থেকে পুলিশের কয়েকটি টিম বিভিন্ন স্থানে শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। এর ধারাবাহিকতায় আমরা গোপন একটি সূত্রে খবর পেয়ে মহানগরীর পুবাইল ও সদরের একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
এ ঘটনায় জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে অপহৃত শিশু মা হামিদা আক্তার (২২) তার বড় ছেলে হাবিব (৭) ও ছোট ছেলে লাবিব (১)কে নিয়ে চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। সেখানে গত বুধবার (১ নভেম্বর) বিকালে বোরকা পড়ে অজ্ঞাত একটি নারী তার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে কৌশলে হামিদা আক্তার কে অজ্ঞান করে ছোট ছেলে লাবিবকে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

;

জেল হত্যা দিবসে চার নেতার সমাধিতে ডিএনসিসি মেয়রের শ্রদ্ধা

ছবি: বার্তা ২৪

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ এবং শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (০৩ নভেম্বর ) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে এই শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতেও অংশ নেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে বেদনাবিধূর ও কলঙ্কময় একটি দিন। চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হচ্ছে ৩ নভেম্বর, জেল হত্যা দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া এই চার নেতাকে সুরক্ষিত স্থানে আটকে রেখে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

মেয়র আরও বলেন, জাতীয় চার নেতার অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং পাশাপাশি দাবি জানাচ্ছি যাদের নির্দেশে জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে এবং যারা হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছে সেসকল খুনিদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *