জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক

ডেস্ক রিপোর্ট:

 জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বর্হিঃবিভাগে রোগী দেখার সময় রোগী কর্তৃক চিকিৎসককে মারধর ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বানদীঘি গ্রামের জসিম উদ্দিন (৫৬) ও তার ছেলে জুয়েল হোসেন (৩২)।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় বর্হিঃবিভাগে রোগী দেখার সময় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, দুপুর পৌনে একটার দিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় বর্হিঃবিভাগে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জাকা কাইফ রোগী দেখছিলেন। এ সময় ঘরের বাহিরে শতশত রোগী লাইনে দাঁড়ানো ছিল। হঠাৎ করে দুজন ব্যক্তি রোগীর সিরিয়াল অতিক্রম করে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় এ যুবক কর্তব্যরত চিকিৎসককে তার বাবাকে দেখতে বলেন। তাদেরকে সিরিয়াল মেনে প্রবেশের কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়।

এক পর্যায় ডাক্তার ঘরের ভেতর থেকে বের হতে চাইলে বাবা-ছেলে দুজনই চিকিৎসককে মারধর করে। এ সময় তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। উপস্থিত ও হাসপাতালের লোকজন তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাবা-ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আহত ডাক্তার পৃথক দুটি মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন।

জয়পুরহাট সদর থানার এস আই নোমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসককে মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনায় বাবা-ছেলেকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আহত চিকিৎসক ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলার প্রস্ততি চলছে।

জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জাকা কাইফ বলেন, আমি বর্হিঃবিভাগে রোগী দেখছিলাম। হঠাৎ করে দুজন লোক সিরিয়াল অমান্য করে জোরপূর্বক রুমে প্রবেশ করে। এ সময় তাদেরকে সিরিয়াল মেনে আসতে বললে তারা অতর্কিত আমার ওপর হামলা করে এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। পরে জানতে পারি তারা দুজনে বাবা-ছেলে।

জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সরদার মো. রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা দেন। সেই চিকিৎসককে যদি রোগী ও তাদের স্বজনরা মারপিট করে সরকারি সম্পদ ভাঙচুর করে তাহলে চিকিৎসা দিতে ডাক্তাররা ভয় পাবে। তাই আজ হাসপাতালে বাবা-ছেলে মিলে যে অনাকাংঙ্খিত অপরাধ করেছে তাদের শাস্তির আওতায় এনে বিচারের দাবিতে পৃথক দুটি মামলার প্রস্ততি চলছে।

মো: হারুনুর রশীদ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় ডেইলি জয়পুরহাট-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *