সারাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ১৫ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক বন্ধের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট: লক্ষ্মীপুরে ১৫ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক বন্ধের নির্দেশ

ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষিত ১০ দফা নির্দেশনা মানতে লক্ষ্মীপুর শহরের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শহরের বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র না থাকায় ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিরাময় হাসপাতাল (প্রা:) ৫ হাজার টাকা, নিউ নিরাময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ২ হাজার টাকা ও ভূঁইয়া মেডিকেলের ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর জানান, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযান চলছে। অবৈধভাবে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক পরিচালনা করায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ।

স্বামীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজবাড়ীতে স্বামীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করায় স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছাঃ জাকিয়া পারভীন এ রায় প্রদান করেন। আদালতে রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত সাহিদা বেগম (৫৭) উপস্থিত ছিলেন।

আসামির বড় মেয়ে আফরোজা বেগম পিতাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ২০১২ সালে ৪ ডিসেম্বর মা সাহিদা বেগমকে আসামিকে করে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি সাহিদা বেগমের স্বামী আশরাফ সানার বাড়ি ছিল সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার ওকাপুর গ্রামে। তিনি সাহিদা বেগমকে বিয়ে করে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বংকুর গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করেন। এখানে বাড়ি করার পর তিনি আবার সাতক্ষীরা জেলার কলরোয়াতে আরেকটি বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে আশরাফ প্রথম স্ত্রী সাহিদা বেগমের সংসারে খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন।

মাঝে মধ্যেই সাতক্ষীরা থেকে এসে আশরাফ প্রথম স্ত্রী সাহিদার কাছে টাকা চেয়ে মারধর করতো। টাকা দিতে না পারলে বাড়ি বিক্রি দেওয়ার হুমকি দিত। ঘটনার দিন সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে আশরাফ জমি বিক্রি করার কথা বলে টাকা চেয়ে ঝগড়া করতে থাকে। একপর্যায়ে ঘর থেকে লোহার রড নিয়ে এসে আশরাফ স্ত্রী সাহিদা বেগমকে মারতে যায়।

তখন সাহিদা বেগম লোহার রডটি আশরাফের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে তাকেই মাথায় আঘাত করে। রডের আঘাতে আশরাফ চিৎকার করে বাড়ির পাশে ক্ষেতের মধ্যে পড়ে যায়। তখন সাহিদা বেগম গিয়ে আশরাফের মাথায় রড দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই আশরাফ মারা যায়। ঐ দিনই সাহিদা বেগমের বড় মেয়ে আফরোজা বেগম বাদি হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর সাহিদা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। সাহিদা বেগম ৯ মাস কারাভোগের পর থেকে রায় প্রদানের দিন পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। রায় প্রদানের সময় আদালতে উপস্থিত হলে আদালত সাহিদা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রাজবাড়ী জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি এ্যাড. উজীর আলী বলেন, আদালত রায় প্রদানের সময় বলেছে সাহিদা বেগম যে অপরাধ করেছে এর জন্য তার মৃত্যুদণ্ড হয়। কিন্তু আসামির বয়স বিবেচনায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। এই রায়ে আমি খুশি।

;

আশুলিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়ায় বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের পাশের একটি জমি থেকে পঞ্চাশোর্ধ এক অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এতথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন।

এর আগে বিকেলে আশুলিয়া বাজার সংলগ্ন ২নং ব্রিজের কাছে আশুলিয়ামুখী সড়কের বাম পাশে ধান ক্ষেতের পাশে ফাঁকা জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তির বয়স ৫০ এর কাছাকাছি হতে পারে। তার শরীরে নিচের অংশে লুঙ্গির মত কাপড় থাকলেও উপরিভাগে কিছু ছিল না।

স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

আশুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এই ব্যক্তি প্রায় ১০-১২ দিন আগে মারা গেছেন। তার শরীরে পোকা হয়ে গেছে। অর্ধগলিত হওয়ায় শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা তা বোঝা যায়নি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

;

ভেজাল মিষ্টি বিক্রি করায় মিষ্টি কাননকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ময়মনসিংহে রঙ মিশ্রিত, নষ্ট, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নোংরা পরিবেশে মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরির দায়ে মিষ্টি কানন নামে এক দোকানীকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নগরীর গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসীর হাসান।

তিনি বলেন, রঙ মিশ্রিত, মেয়াদ নেই, নষ্ট খাবার খাওয়ানো, নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও লেবেল ছাড়া মিষ্টি, দই বাজারজাত করার অভিযোগে গাঙ্গিনারপাড় মিষ্টি কানন দোকানের মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় খাদ্যে ভেজাল মেশানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে সেমিনার করা হয়। তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই ধরনের কাজ করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানে সহায়তা করেন র‍্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সদস্যরা।

;

‘লিটল কমরেড’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম আর নেই

রফিকুল ইসলাম

বীর মুক্তিযোদ্ধা ‘লিটল কমরেড’ নামে পরিচিত রফিকুল ইসলাম আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের সময় দুপুর দেড়টায় নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিং হসপিটালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে।

কমরেড রফিক ১৯৫২ সালের ১ এপ্রিল ঢাকা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি স্কুল জীবন থেকেই পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সচেতন কর্মী ছিলেন। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র রফিক তৎকালীন ছাত্রনেতা দাদা ভাই সিরাজুল আলম খানের নির্দেশে “বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর” শিরোনামে লিফলেট ছাপিয়ে ফেরার পথে গ্রেফতার হয়েছিলেন পাকিস্তান স্পেশাল ফোর্সের হাতে।

তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ (নূরে আলম সিদ্দিকী-শাজাহান সিরাজ) কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ও নিউক্লিয়াসের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে তিনি ১৯৭১-এ ফার্স্ট ব্যাচে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের ট্রেনিং নিয়েছিলেন আসামের হাফলং-এ। ট্রেনিং শেষে তিনি কামরুল আলম খান খসরুর গ্রুপে পলিটিক্যাল কমিশনার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের অবস্থান ছিল ডেমরা এলাকায় এবং যুদ্ধক্ষেত্র ছিল ঢাকা শহর। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে তিনি ছিলেন জাসদের একনিষ্ঠ সংগঠক। তিনি গণকণ্ঠের সাংবাদিক ছিলেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *