ইসির সংলাপে ‘না’ বাংলাদেশ জাসদের
ডেস্ক রিপোর্ট: ইসির সংলাপে ‘না’ বাংলাদেশ জাসদের
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৪৪ টি রাজনৈতিক দলের সাথে আগামীকাল (শনিবার) সংলাপ করার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। তবে সেই সংলাপে যাচ্ছে না বাংলাদেশ জাসদ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাসদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংলাপে না যাওয়ার কথা জানানো হয়।
দলটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসি যে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, বাংলাদেশ জাসদ তাতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, দলটি মনে করে, এই সভা কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকাই রাখবে না। উপরন্তু বিভিন্ন দলের উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেফতার এবং অনেক দলের সম্ভাব্য অনুপস্থিতির কথা জানার পরও এই সভা আহ্বান নিয়ে ইসি সম্পর্কে বিদ্যমান বিতর্ককে আরও গভীর করে তুলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জাসদ আরও বলেছে, নির্বাচনকালীন গ্রহণযোগ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার কাজ অগ্রসর করা ছাড়া ইসির এ ধরনের সভা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে কোনো অবস্থাতেই সহায়ক হবে না। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাসদ এই সভায় যোগ দেবে না।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ জাসদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক ছিল। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলটি জোটে আর সক্রিয় থাকেনি। একপর্যায়ে তারা জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয়। বর্তমানে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে রাজপথে আছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে মিলে কিছু যুগপৎ কর্মসূচিও পালন করেছে।
উল্লেখ্য, শরীফ নূরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাসদ গঠনের পর থেকে ইসির নিবন্ধন পেতে চেষ্টা চালায় দলটির নেতারা। গত জুনে আদালতের নির্দেশে দলটি নিবন্ধন পায়।
ভাইরাল হতে নিজের গাড়ি পোড়ালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
ছবি: বার্তা২৪
নিজের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার পুড়িয়ে আলোচনা, সমালোচনায় উঠে এসেছে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মঈন দেওয়ান। তিনি নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবেও দাবি করেন।
তবে তার এই কর্মকাণ্ডের বিষয়ে দলের অন্যান্য নেতারা বলেন, তিনি দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এটা পরিকল্পিত ভাবে করেছেন। যদি তিনি পরিশ্রমী ও ভালো নেতা হতেন তবে এ ঘটনায় দলের কেউ না কেউ তার পাশে দাঁড়াতেন। এতেই বোঝা যায় তার নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণেই দলে তার মূল্য নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি বিএনপি-জামায়াতের মিছিল থেকে ভাঙা হয় ওই প্রাইভেটকার। সেসময় ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হন ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিজেও। তার অভিযোগ ঘটনাটি দলের নেতাদের জানানোর তিন দিনেও কোনো নেতা তার খোঁজ নেননি। এর জেরেই রাগে ক্ষোভে নিজের ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারটি উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘর এলাকার ফসলের মাঠে আগুনে পুড়িয়ে দেন তিনি। আলোচিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মঈন কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘর এলাকার ইব্রাহিম দেওয়ানের ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় মঈন ডিজিটাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী হিসেবেও কাজ করেন বলে জানা যায়।
দলকে দায়ী করে নিজেকে ভাইরাল করতে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় এই নেতা একদিকে যেমন আলোচলায় এসেছে অন্যদিকে সুশীল সমাজে সমালোচিতও হচ্ছেন। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্য প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ বলছেন ঘটনার ৩/৪ দিন পর হাসি মুখে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার গাড়িটি ফসলের জমিতে নিয়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরানো একজন নেতার সুন্দর গুণাবলির মধ্যে পড়ে না। তিনি প্রতিবাদ হিসেবে দল থেকে পদত্যাগ করতে পারতেন।
তবে এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মঈন দেওয়ান বলেন, এতদিন ধরে রাজনীতি করি, ছাত্রলীগ করেছি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ করছি। ছোট্ট একজন কর্মী হিসেবে রাস্তায় নির্যাতনের শিকার হলাম। তবুও কেউ খবর নেয়নি। সে কারণেই আমার গাড়ি ক্ষোভে পুড়িয়েছি।
কালিয়াকৈর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন সরকার বলেন, সে তার গাড়ি পুড়িয়েছে এটি একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি আমাদের কমিটির কেউ নন। মঈন দেওয়ান যে অভিযোগ করেছেন সেটি আমাদের বিব্রত করার জন্য।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। তার ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্যও জানা গেছে। দেখা যাক কি হয়।
;
‘ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন’
ছবি: বার্তা২৪
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকেও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে পারেনি। তাই সাধারণ জনগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শুক্রবার ৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে জামালপুরের ইসলামপুর পৌর শহরের কাচারিপাড়া পৌর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আসলে উনার জনপ্রিয়তা নেই। যদি জনপ্রিয়তাই থাকতো তাহলে একই দলের ৮ থেকে ১০জন প্রার্থী কিভাবে হয়। তারা সবাই দাবি করছেন জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। আসলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী) তাদের অবস্থা ঠুনঠুনে।
জাপা নেতা মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, ইসলামপুরবাসী লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টি প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে শক্তিশালী অবস্থা সৃষ্টি করেছে। আগামীতে জনগণ যদি সুযোগ পায়, তবে লাঙ্গল প্রতীকই ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে, এতে কোনো ধরনের সন্দেহ নেই।
কর্মী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, হারুনুর রশিদ হারুন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বিপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল্লাহ ও জুয়েল সরকারসহ আরও অনেকেই।
;
নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী আটক
ছবি: বার্তা২৪
সাতক্ষীরায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে বিএনপির ১৩ জন ও জামায়াতের ১৭ জন নেতাকর্মী রয়েছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক ইয়াছিন আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিকালে জেলা পুলিশের দেয়া তথ্যে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানা যায়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৩ জন, পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২জন, তালা থানা থেকে ২ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৮ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৩ জন ও শ্যামনগর থানা থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিএনপির ১৩ জন ও জামায়াতের ১৭ জন নেতাকর্মী রয়েছে।
;
কুষ্টিয়ায় জামায়াত-বিএনপির ১৬ নেতাকর্মী আটক
ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়ায় পুলিশের অভিযানে জামায়াতের আমীরসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশের অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত নেতাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর কুষ্টিয়া জেলা আমীর অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন ও খোকসা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম (৪৫) রয়েছেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) পলাশ কান্তি নাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘অবরোধের নামে নাশকতা সৃষ্টি করে গাড়িতে আগুন, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলাচলে বাঁধা সৃষ্টিসহ নানা অপরাধের অভিযোগে ওই জামায়াত-বিএনপির নেতাদেরকে আটক করা হয়। পুলিশ জনগণের যানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কুষ্টিয়ায় কাজ করে যাচ্ছে। যারায় নাশকতা কর্মকাণ্ড চালাবে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আটককৃত ১৬ জনের মধ্যে রয়েছেন, জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা আমীর অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন (৭২), জামায়াত সমর্থক মাসুদ রানা (২৪), কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের আমীর মোঃ রাজী উদ্দিন শাহিন (৫৫), কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের রোকন আব্দুর রহিম ( ৪০), পৌর ১৮ নং ওয়ার্ড জামায়াতের রোকন মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৭৩), শহর জামায়াতের রোকন আবুল কাশেম (৬৭), কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের রোকন ইউনুস আলী (৫২)। এদেরকে জগতি রেল স্টেশন মসজিদ থেকে নাশকতা সৃষ্টির প্রস্তুতিকালে পুলিশ ৭ জনকে আটক করে।
অপর দিকে, খোকসা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম (৪৫), কুমারখালী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাব্বির হোসেন (২৩). ভেড়ামারা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ডাবলু (৫৮), ভেড়ামারা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেরুল ইসলাম (৪৬)সহ বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।