সারাদেশ

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের সেবাকে নিশ্চিত করতে হবে: জনপ্রশাসন সচিব

ডেস্ক রিপোর্ট: সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের সেবাকে নিশ্চিত করতে হবে: জনপ্রশাসন সচিব

ছবি: বার্তা ২৪.কম

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, সরকারের উদ্দেশ্য সুশাসন নিশ্চিত করা। এখানে কেউ সেবাদাতা কেউ সেবাগ্রহীতা। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আজ যিনি সেবা দিচ্ছেন আগামীকাল হয়তো অন্য দপ্তর থেকে সেবা গ্রহণ করছেন। তাই সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পালন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহ নগরীর এড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত “সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের অংশগ্রহণে” সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব এসব কথা বলেন।

মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আগামীর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়ন কাঠামো তৈরি করতে হবে। জনগণকে সে প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেবা গ্রহণের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। জনগণ কিভাবে সেবা পেতে চায় তা উপলব্ধি করে সে পথ খুলে দিতে হবে। তাতেই জনগণ লাভবান হবে।

তিনি বলেন, জনগণকে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে হবে। ‘জনগণের সেবক’- এ তত্ত্ব কর্মচারীদের মধ্যে ধারণ করতে হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আইন প্রয়োগে সমান দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে হবে।

সভায় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত বিভাগের প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি এ বিভাগের সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত ৬টি অনুষঙ্গ- জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, সিটিজেন চার্টার, এপিএ, ই-নথি, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা ও তথ্য অধিকার নিয়ে বিভাগের অবস্থান তুলে ধরেন। এরপর মুক্ত আলোচনায় সেবা গ্রহীতারা বিভিন্ন সেবা নিয়ে আলোকপাত করেন।

এ সময় ভূমি সেবা, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, এলজিইডি, সড়ক বিভাগ, শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন সেবা নিয়ে সেবাগ্রহীতারা তাদের প্রতিক্রীয়া ব্যক্ত করেন। পরে কর্মকর্তারা তাদের পরিসেবা আরো কার্যকর ও জনকল্যাণমুখী করার বিষয়ে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। এ পর্যায়ে এসিল্যান্ড, ইউএনও, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, বিভাগীয় প্রধানগণ প্রত্যয়ী হলে সোনার বাংলা, সোনালী প্রজন্ম গড়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র। নিজের বুকের মধ্যে দেশকে ধারণ করতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের সেবা গ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুরে মাদরাসায় দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি: বার্তা ২৪.কম

গাজীপুরে জোলারপাড় বালিকা দাখিল মাদরাসায় দুর্নীতিসহ নেতিবাচক নানা কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন মাদরাসার দাতা, অভিভাবক সদস্য ও এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের জোলারপাড় এলাকার বালিকা দাখিল মাদরাসার সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় এলাকাবাসী মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. হাছেন আলী ও কার্যকরি কমিটির সভাপতি আব্দুস সালামের অপসারণ দাবি করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৮৭ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি ৩৭ বছর যাবত নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই মাদরাসা সুপার ও সভাপতির পদ আকড়ে ধরে আছেন অভিযুক্তরা। সম্প্রতি কারও অনুমতি ছাড়া উঠতি বয়সী মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কক্সবাজারে ৩ দিনের শিক্ষা সফর করেন তারা। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও দাতা সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মাদ্রাসা সুপার ও সভাপতি পরস্পর যোগসাজসে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থ লোপাট করেছে। এছাড়াও মেয়েদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়েছে অভিযুক্তরা।

এ নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে প্রায় ৩০০ জনের স্বাক্ষরিত স্বারকলিপি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দেন এলাকাবাসী।

;

বীমা শিল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সকল নাগরিকের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার প্রয়াসে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। সেকারণে বীমা সেক্টর ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গ্রাহকসেবা উন্নত করা সম্ভব হবে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতিতে প্রভূত উন্নতি সাধিত হলেও, বীমাশিল্পে পেনিট্রেশনের হার কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। বীমা শিল্পের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

এ বছরের বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, “করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আর্থিক খাত সংস্কারের অংশ হিসেবে বীমা শিল্পকে জাতীয়করণ করেন।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বীমা খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বীমা মানুষের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। মূলত: আজকে বাংলাদেশের বীমা শিল্পের যে প্রসার ও ব্যাপ্তি তার শক্ত ভিত রচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে সামিল করা। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’; যেখানে দেশের প্রতিটি মানুষ বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে সক্ষম হবে। এ লক্ষ্যে উন্নত দেশের ন্যায় জিডিপিতে বীমার অবদান বৃদ্ধি করতে হবে। এ অভিষ্ট সামনে রেখে আমাদের সরকার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

সরকার প্রধান বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক একচ্যুয়ারি সৃষ্টির লক্ষ্যে বৃত্তি প্রদান করে ইতোমধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থীকে যুক্তরাজ্যে প্রেরণ করা হয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পণ্য বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতিমালা জারি করা হয়েছে। ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হলে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বীমার আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়া প্রবাসী কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ‘প্রবাসী কর্মী বীমা’, অভিভাবকদের অকাল মৃত্যুতে শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন ঝরে যাওয়া রোধকল্পে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বীমাশিল্পের মান উন্নয়নে সর্বোত্তম গ্রাহকসেবার মাধ্যমে দ্রুত বীমা দাবি নিষ্পত্তি করতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলাসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য ক্ষুদ্র বীমা, কৃষি বীমা, গবাদি পশু বীমা, স্বাস্থ্য বীমা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বীমার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে বীমা খাত; যা জাতীয় সম্পদের ও নাগরিকদের জীবনের ঝুঁকি প্রশমনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।

বীমার শুভ বার্তা দেশের সকল নাগরিকের নিকট পৌঁছে যাক, দেশের সকল মানুষ এবং সম্পদ বীমা সেবার আওতায় আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

;

চট্টগ্রামে নিরাপদ ও দখলমুক্ত ফুটপাতের দাবিতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম নগরীতে নিরাপদ ও দখলমুক্ত ফুটপাতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর সাতটি পয়েন্টে মানববন্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দুই শতাধিক শিক্ষকও অংশ নেন। এসময় পথচারীরাও শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে সহমত পোষণ করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফুটপাতের মালিক জনগণ। কিন্তু অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে রাখায় শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় হাঁটতে হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুলে যেতে চায়, নিরাপদে ঘরে ফিরতে চায়। অবৈধ দখলদারদের কারণে কোন মাকে যাতে সন্তানহারা হতে না হয়। কোন শিক্ষার্থীকে যাতে পঙ্গু হতে না হয় সে বিষয় দায়িত্বশীলদের নিশ্চিত করতে হবে।

এদিন নগরীর রাইফেল ক্লাব থেকে জিপিও মোড় পর্যন্ত অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কৃষ্ণ কুমারী সিটি সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষাথীরা মানবন্ধন করে।

একই সময়ে ফিরিঙ্গি বাজার মোড় থেকে আলকরণ হয়ে দোস্ত বিল্ডিং পর্যন্ত আলকরণ নুর আহমদ সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়, আলকরণ সুঃ আহমদ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা মানবন্ধনে অংশ নেয়। এছাড়াও পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে নতুন রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনী সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় এবং লালদিঘী থেকে কোতওয়ালী পর্যন্ত পাথরঘাটা মেনকা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাথরঘাটা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।

এছাড়া আন্দরকিল্লা থেকে লালদিঘী পর্যন্ত পাথরঘাটা সিটি কর্পোরেশন কলেজ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কায়সার নিলুফার কলেজ এবং আন্দরকিল্লা মোড় থেকে চেরাগী পাহাড় মোড় পর্যন্ত জামালাখান কুসুম কুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গুল-এজার বেগম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চেরাগী পাহাড় থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত কদম মোবারক সিটি কর্পোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয় এবং সরাইপাড়া সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।

এ বিষয়ে চসিকের শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, ‘ফুটপাত দখলমুক্ত করতে আমাদের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অনেকদিন ধরেই দাবি করে আসছিল। ফুটপাতগুলোতে হকাররা বসে থাকায় তারা রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হত। এতে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওড়না বা কাপড় গাড়ির সঙ্গে লেগে ছিঁড়ে গিয়েছে। এরকম অনেক অভিযোগ আছে।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের মেয়র তাদের সব অভিযোগ শুনে চট্টগ্রাম নগরীকে হকারমুক্ত করতে রাস্তায় রাস্তায় অভিযান চালাচ্ছে। তবুও কিছু কিছু জায়গায় আবারও হকার বসছে। তাদেরকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করার দাবিতে সিটি করপোরেশনের সব স্কুল আজ মানববন্ধন করবে বলে শুনেছি। তবে সব স্কুল ও কলেজ নেমেছে কিনা সেটা বলতে পারব না।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর নিউমার্কেট মোড় থেকে নতুন রেলস্টেশন, রিয়াজউদ্দিন বাজার, পুরাতন রেলস্টেশন, ফলমণ্ডি, তামাকমুণ্ডি লেইন ও আমতলসহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে হাজারেরও বেশি হকার উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশন। এসব এলাকার ফুটপাত থেকে সড়কের একাংশ দখলে নিয়ে এসব হকার পোশাক, মোবাইল, জুতা, তৈরি খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আসছিল। ফুটপাত ও সড়কে বিভিন্ন অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের কারণে এসব এলাকায় নিয়মিত যানজট লেগে থাকতো।

উচ্ছেদ অভিযানের সময় হকাররা বিক্ষোভ করেছিলেন। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ নিয়ে হকাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। পর দিন হকারদের কেউ কেউ আবারও বসতে চাইলে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন। এরপরও হকাররা সড়ক ও ফুটপাতের বিভিন্ন অংশ দখলে নিতে শুরু করলে ১২ ফেব্রুয়ারি ফের অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। এ সময় হকারদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় সিটি করপোরেশনের যানবাহন। পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় হকারদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এ অবস্থায় উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পুনর্বাসনের দাবি তোলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। হকাররাও ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে।

;

ত্রিশালে পৌরসভা নির্বাচন: মেয়র প্রার্থীগণের সাথে ইসি সচিবের মতবিনিময়

ছবি: বার্তা২৪.কম

আসন্ন ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো: জাহাংগীর আলম এর সাথে মেয়র প্রার্থীগণের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের অফিস কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রিটার্নিং অফিসার মোঃ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিগণ, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মেয়র প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় মেয়র পদপ্রার্থীগণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেন।

এ সময় মেয়র পদপ্রার্থী শামীমা আক্তার বলেন, আমরা চাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত এ নির্বাচনও একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। তবে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট হওয়ার কারণে জনগণের মধ্যে কিছুটা অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের আগে যদি এ সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয় তাহলে ভোটারদের সন্তুষ্টি ও ভোটে আরো আগ্রহী করে তোলা সম্ভব।

মেয়র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ত্রিশাল পৌরসভা এলাকার পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক।‌ নির্বাচন পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সহযোগিতার আহ্বান করেন।

আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন পদপ্রার্থী রয়েছেন। এ সময় ইভিএম, অবৈধ অর্থের ব্যবহার, পেশীশক্তির ব্যবহার, নির্বাচন-আচরণ বিধি সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রার্থীগণ মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।

প্রার্থীদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি সচিব জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান সুস্পষ্ট। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই।

তিনি প্রার্থীগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের কাজ হচ্ছে জনগণের কাছে যাওয়া, জনগণকে ভোটের ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলা। জনগণই আপনাদের ভোটের ফলাফল নির্ধারণ করবেন।

ইসি সচিব আরও বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট প্রদান সহজ ও নির্ভরযোগ্য। এতে ভোট কারচুপি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আগামী ৬ মার্চের পর থেকে পৌর এলাকার ৯টা ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ইভিএম ব্যবহারের প্রদর্শনী করা হবে। যাতে করে ভোটাররা সহজেই তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন। এছাড়াও নির্বাচনকালীন সময়ে দুই ঘণ্টা পর পর কেন্দ্রের ভোটের পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশন মনিটরিং করবে।

ইসি সচিব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন এর স্বার্থে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। নির্বাচনে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা এড়াতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *