সারাদেশ

চবি সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট: চবি সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) ২০২৩ কার্যকরী পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় সমিতির নতুন সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত হয় এই সভা।

চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবিসাসের সাবেক নেতৃবৃন্দ।

সভায় বক্তব্য রাখেন চবিসাসের সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর সিনিয়র রিপোর্টার ওমর ফারুক, প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার সুজন ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বার্তা২৪.কমের স্পেশাল করেসপন্ডেট তাসনীম হাসান, প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর সিনিয়র রিপোর্টার হুমায়ুন মাসুদ, এখন টিভির স্টাফ রিপোর্টার আশহাবুর রহমান শোয়েব, সৈয়দ মোহাম্মদ বায়েজিদ ইমন ও আবদুল্লাহ আল মামুনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

এর আগে বেলা ১১টায় শুরু হয় চবি সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা। সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু ও অর্থ, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক রোকনুজ্জামান।

চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, সাংবাদিক সমিতি প্রতিবছর ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের উদ্বুদ্ধ করতে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করে থাকে। বিজ্ঞ বিচারকরা প্রতিবেদনগুলো মূল্যায়ন করেন। প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতায় অনেকেই অংশগ্রহণ করেন, তবে নিয়মানুযায়ী আমরা সেরা প্রতিবেকদেরই পুরস্কৃত করি। যারা পুরস্কার পেয়েছেন, তারা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করবেন। এটাই প্রত্যাশা আমাদের।

এবার বছরব্যাপী ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় অনুসন্ধান ও ফিচার ক্যাটাগরিতে ৪ জনকে পুরস্কার দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- অনুসন্ধান ক্যাটাগরিতে বাংলানিউজের ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট মোহাম্মাদ আজহার ও বার্তা২৪. কমের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রেদওয়ান আহমেদ এবং ফিচার ক্যাটাগরিতে দৈনিক প্রথম আলোর চবি প্রতিনিধি মোশাররফ শাহ ও দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার চবি প্রতিনিধি শাহরিয়াজ মোহাম্মদ সেরা প্রতিবেদক নির্বাচিত হন।

ঊর্দু বিভাগ আছে জানেন না কেউ, খবর রাখেন শুধু শিক্ষকেরা!

ছবি: সংগৃহীত

‘ঊর্দু বিভাগটা কোনদিকে জানেন নাকি’, এমন প্রশ্নে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম যেন আকাশ থেকে পড়লেন। অনেকটা নিশ্চিত হয়েই বললেন, ‘আমাদের কলেজে তো ঊর্দু বিভাগই নেই।’

পরে কলেজের প্রশাসনিক দপ্তরে গিয়ে ভুল ভাঙার পর মাহমুদুলের চোখে-মুখে অপার বিস্ময়! বললেন, ‘এত বছর ধরে কলেজে পড়ছি। পুরো ক্যাম্পাস আমার নখদর্পণে। কিন্তু কোনোদিন তো শুনিনি ঊর্দু বিভাগের কথা’!

এই বিস্ময় শুধু মাহমুদুল করিমের একার নয়, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়, এই প্রতিবেদকের। তাদের কেউ জানেন না, কলেজে ঊর্দু বিভাগ নামে কোনো বিভাগ আছে। বললেন, এই প্রথম ঊর্দু বিভাগের বিষয়ে জানলেন।

চট্টগ্রাম তো বটেই, দেশের সবচেয়ে পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম- চট্টগ্রাম কলেজ। ১৮৩৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা স্কুল হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম। প্রতিষ্ঠালগ্নের ৩৩ বছর পর ১৮৬৯ সালে একে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। তখন থেকেই এটি- চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ বা চট্টগ্রাম কলেজ নামে পরিচিত হয়। কলেজে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাশাপাশি এখন মানবিক ও বিজ্ঞান বিষয়ে ২০টি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।

তবে কবে এই কলেজে ঊর্দু বিভাগ সংযুক্ত করা হয়েছে, সেটি কেউ বলতে পারেননি। আর সর্বশেষ কবে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলেন, সে সম্পর্কেও কারো কোনো ধারণা নেই। কেউ বলেছেন ৪০ বছর আগে সর্বশেষ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। কেউবা আবার বলেছেন, স্বাধীনতার পর এই বিভাগে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হননি।

কলেজের ওয়েবসাইটেও সে বিষয়ে কোনো কিছুই উল্লেখ নেই। কোনো নথিপত্রেও এই বিভাগের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু লেখা নেই। প্রখ্যাত ঊর্দু কবি ও পণ্ডিত সৈয়দ ইকবাল আযম এই বিভাগের একসময় প্রধান ছিলেন। বর্তমানে কোনো শিক্ষক-ছাত্র না থাকলেও কাগজে-কলমে থাকা ঊর্দু বিভাগের নামে দুটি পদ (সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক) বরাদ্দ আছে।

খবর রাখেন শিক্ষকেরা
কলেজে ঊর্দু বিভাগ আছে, সেটি শিক্ষার্থীদের অজানা হলেও ঠিকই খবর রাখেন শিক্ষকেরা। কেননা, এই বিভাগের অধীনে থাকা দুটি পদকে কাজে লাগান তারা। বিভাগের নামে কোনো কক্ষ, সাইনবোর্ড না থাকলেও নিয়মিতই দুই পদের অধীনে শিক্ষক পদায়ন হচ্ছে। যদিও ওই শিক্ষকেরা কেউ ঊর্দু বিভাগের শিক্ষক নন।

মূলত বিভাগটিতে শিক্ষকদের শূন্যপদের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন কলেজের অন্য বিভাগের শিক্ষকেরা বদলি হয়ে আসেন চট্টগ্রামের এই শীর্ষ কলেজে। পরবর্তীতে নিজস্ব বিভাগে শিক্ষক পদ শূন্য হলে সেখানে চলে যান। সর্বশেষ, সহকারী অধ্যাপক পদে ঊর্দু বিভাগে যোগ দেন ড. মোহাম্মদ আরিফুল হক। পরবর্তীতে তিনি নিজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে চলে যান। অবশ্য তিনি এখন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বদলি হয়েছেন। একইভাবে প্রভাষক পদে যোগ দেন মিজানুর রহমান। কিছুদিন পর নিজের পরিসংখ্যান বিভাগে পদ শূন্য হলে তিনিও সেখানে চলে যান। এখন ঊর্দু বিভাগের দুটি পদই শূন্য আছে।

কলেজের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজ বৃহত্তর চট্টগ্রামের একটি শীর্ষ কলেজ। স্বাভাবিকভাবেই এই কলেজে যোগদান করতে শিক্ষকদের একটা বাড়তি আগ্রহ থাকে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী, পদ তো কম। সেজন্য ঊর্দু বিভাগের শূন্যপদ দুটিতে অনেকেই পদায়নের চেষ্টা করেন। আর এক্ষেত্রে যেহেতু বাধা নেই, অনেকে এই বিভাগের শূন্যপদে যোগদান করেন। তবে ক্লাস নেন নিজের বিভাগে। আর পদ শূন্য হলেই নিজের বিভাগের অধীনে চলে যান তারা।’

কলেজের প্রধান অফিস সহকারী গোলাম কিবরিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বিভাগের অধীনে দুটি পদ আছে। এই পদের বিপরীতে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকেরা যোগদান করেন। তবে বর্তমানে পদ দুটি শূন্য রয়েছে। কয়েকদিন আগেও মন্ত্রণালয় থেকে ফোন করে পদ শূন্য থাকার কারণ জানতে চেয়েছে।’

শিক্ষার্থী না-থাকলেও শিক্ষকদের জন্য কেন পদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে, এমন প্রশ্নে গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এই বিভাগে সর্বশেষ কখন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলেন, তা কেউই জানেন না। এই বিষয়ে কোনো নথিও নেই। আমরাও শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। শিক্ষকদের পদ রাখার বিষয়টি তাই মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরাও ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের ঊর্দুর বিষয়ে কোনো কিছু বলি না। কাউকে এই বিভাগে ভর্তির বিষয়েও উৎসাহিত করি না। কারণ, এই বিষয়ের শিক্ষকই নেই। শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে কী করবেন এখানে’।

শিক্ষার্থীদের আগ্রহ না থাকলে ঊর্দু বিভাগ রাখার বিষয়ে পক্ষপাতী নন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র জাতি, যারা ভাষার জন্য বুকের রক্ত দিয়েছিলাম। তবে সব ভাষাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু যে ভাষা শেখার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ নেই বহু বছর, সেই বিষয়ে কেন একটা বিভাগ থাকবে’!

;

জাবিতে ‘বি’, ‘আইবিএ’ ও ‘ই’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

ছবি: বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ৫ শিফটে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিট, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ-জেইউ) ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৭৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, আইবিএ-জেইউ’তে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৬৭ শতাংশ ও ‘ই’ ইউনিটে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ‘বি’ ইউনিটের ছাত্রীদের ভর্তি পরিক্ষা ১ম শিফটে এবং ছাত্রদের পরীক্ষা ২য় শিফটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ৩য় শিফটে আইবিএ-জেইউ এর ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা ও ৪র্থ শিফটে ‘ই’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা এবং ৫ম শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক বশির আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ৩৮৬টি। আবেদন জমা পড়েছিল ছাত্রদের ৭ হাজার ৮৩০টি এবং ছাত্রীদের ৯ হাজার ৮৮৬টি। এর মধ্যে ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৪৪০ জন ও ছাত্রীদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন ৭ হাজার ২৪৭ জন। ছাত্রদের উপস্থিতির হার ৮২ দশমিক ২ শতাংশ ও ছাত্রীদের উপস্থিতি ৭৩ দশমিক ৩ শতাংশ। সে হিসেবে সর্বমোট উপস্থিতির হার ৭৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।

ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক অধ্যাপক কে এম জাহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, আইবিএ-তে ৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী ছাত্র সংখ্যা ২ হাজার ২৬০ জন এবং ছাত্রী ১ হাজার ২৮৬ জন। ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ৩৮২ জন। সে হিসেবে মোট উপস্থিতি ৬৭ শতাংশ।

ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক মো. ইউসুফ হারুন বার্তা২৪.কমকে জানান, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটে ১০০টি ছাত্র এবং ১০০টি ছাত্রী আসনের বিপরীতে ৭ হাজার ১৫৪ জন ছাত্র এবং ৫ হাজার ৫২৯ জন ছাত্রী আবেদন করেছেন। ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৮৬ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ছাত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৮১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এদিকে সকালের দ্বিতীয় শিফটে মাইক্রোবায়োলজি ও রসায়ন বিভাগ ভবনের কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম। এ সময় উপাচার্যের সাথে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, রেজিস্ট্রার মোঃ আবু হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে নিরলসভাবে পরিশ্রম করায় উপাচার্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রক্টর অফিস, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, পুলিশ, আনসার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আগামী ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত কলা ও মানবিকী অনুষদের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং ৫ মার্চ চারুকলা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং ফলাফল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে (ju-admission.org) এ পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে জাবির ৫টি ইউনিটে ১ হাজার ৮৪৪টি আসনের বিপরীতে জাবির ভর্তি পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫৯ জন। সে হিসেবে আসনপ্রতি লড়বেন ১০৮ জন।

;

চবির ‘বর্ষসেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিক’ বার্তা২৪-এর রেদ্ওয়ান

ছবি: বার্তা ২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) বর্ষসেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিক নির্বাচিত হয়েছেন বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম কার্যালয়ের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রেদ্ওয়ান আহমদ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত চবিসাসের বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবিসাসের সাবেক নেতৃবৃন্দ।

সভায় বক্তব্য রাখেন চবিসাসের সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান, ওমর ফারুক, সুজন ঘোষ, হুমায়ুন মাসুদ, আশহাবুর রহমান শোয়েব, সৈয়দ মোহাম্মদ বায়েজিদ ইমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাসনীম হাসান, আবদুল্লাহ আল মামুনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

এবার বছরব্যাপী ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় অনুসন্ধান ও ফিচার ক্যাটাগরিতে ৪ জনকে পুরস্কার দিয়েছে চবিসাস। অন্যান্য পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- অনুসন্ধান ক্যাটাগরিতে বাংলানিউজের ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট মোহাম্মাদ আজহার, ফিচার ক্যাটাগরিতে প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশাররফ শাহ ও পূর্বদেশের শাহরিয়াজ মোহাম্মদ।

রেদ্ওয়ান আহমদ নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, একজন শিক্ষার্থী, আবার সাংবাদিক হিসেবে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা কঠিন এক কাজ। তবুও, ভালোবাসা থেকে যুক্ত হয়েছি। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার মাধ্যমে উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হালচাল, খুঁটিনাটি। চবিসাসের ’বর্ষসেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিক’ পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা। সেই সাথে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের প্রতি, বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যারা আমার পাশে স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে সাহস যুগিয়েছিলেন।

;

ঢাবি উপাচার্যের বাংলোর সীমানা থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের বাংলোর সীমানার ভেতর থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রোকেয়া হল স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন উপাচার্যের বাংলোর ভেতর থেকে নবজাতকের লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে উপাচার্যের বাংলোর কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হক বলেন, দুপুর ১২ টার দিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা হঠাৎ দেয়ালের অন্য পাশে রাস্তা থেকে কিছু পড়ার শব্দ পান। তারা সবাই গিয়ে দেখেন একটি ব্যাগ পড়ে আছে সেখানে। প্রথমে তারা ভয় পান যে বোমা বা অন্যকিছু কিনা। পরে লাঠি দিয়ে ব্যাগটা একটু খুললে নবজাতকের মাথা বেরিয়ে আসে। তারপর তারা আমাকে ডেকে আনে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো.মাকসুদুর রহমান বার্তা ২৪.কমকে বলেন, রোকেয়া হলের স্টাফ কোয়ার্টারের দিক থেকে কেউ একজন বাচ্চাসহ ব্যাগটিকে দেয়ালের উপর দিয়ে উপাচার্যের বাংলোর মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সাধারণত পাশেই মেডিকেল হওয়ায় এই ধরণের মরদেহ আমরা বিভিন্ন সময় পেয়ে থাকি। এবার হয়তো তারা মেডিকেলের আশে পাশে ফেলতে না পেরে এদিকে এসে সুযোগ পেয়ে মৃতদেহ রাখা ব্যাগটি ভেতরে ফেলে দিলে পরিচ্ছনতাকর্মীরা সেটি উদ্ধার করে।

তিনি আরো জানান, মরদেহটি দেখে মনে হয়েছিল সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু। স্টাফরা সেটি দেখার পর পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে মরদেহটি নিয়ে যায়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *