সারাদেশ

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর শুরু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর শুরু হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার পর থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন লাশ হস্তান্তরের জন্য নিহতদের স্বজনদের তথ্য চান। তথ্য সংগ্রহ সাপেক্ষে মরদেহ শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেইলি রোডের আগুন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জন মারা গেছে। দগ্ধ আরও বেশ কয়েকজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আন্তার্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স, এপি, আলজাজিরা, দ্য গার্ডিয়ানসহ প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এসেছে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হচ্ছে আগুনের খবর। দুর্ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘তাৎক্ষণিক খবর’ হিসেবে এটি প্রচার করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আগুনের ঘটনায় আহত বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা গুরুতর। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।

ফায়ার সার্ভিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। বেইলি রোডের বহুতল ওই বিল্ডিংয়ে প্রধানত রেস্তোরাঁর পাশাপাশি বেশ কিছু পোশাক এবং মোবাইল ফোনের দোকান ছিল জানায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৯টা ৫৬ মিনিটে। পরে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে আরও ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই।

;

বেইলি রোডে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

বেইলি রোডে আগুন

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ভবনে আগুনে পুড়ে নিহত বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। দগ্ধ আরও বেশ কয়েকজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এতথ্য জানিয়েছেন।

আইজিপি বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ১ জন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মরদেহ রয়েছে।

এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বার্ন ইন্সটিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছে।

সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে বেইলি রোডের আগুন, হতাহতের শঙ্কা মেয়ে-নাতিকে না পেয়ে দিশেহারা বাসনা রানী বেইলি রোডে আগুন: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন মন্ত্রী আরও বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন। তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। বাইরে কেউ আছে কি না এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঢামেক ১৪ জন ও বার্নে ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৯টা ৫৬ মিনিটে। পরে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে আরও ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই।

;

অগ্নিঝরা মার্চের শুরু

ছবি: সংগৃহীত

বাঙালি জাতির স্বপ্নসাধ যৌক্তিক পরিণতির মাস অগ্নিঝরা মার্চ আজ শুরু। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হচ্ছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয় এ মাসে। এই মাসেই জাতি এবার পালন করবে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী।

একাত্তরে এই মাসের ২৫ মার্চে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা হয়। আবালবৃদ্ধবনিতা যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে জাতি লাভ করে স্বাধীনতা।

এর আগে জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো- ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসর্কোস ময়দানে দেওয়া এই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় মুহুর্মুহু গর্জনে উত্তাল ছিল জনসমুদ্র। লাখো কণ্ঠের একই আওয়াজ উচ্চারিত হতে থাকে দেশের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ঢাকাসহ গোটা দেশে পতপত করে উড়ছিল সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্যের পতাকা।

২৫ মার্চের কালোরাতে পাকিস্তানিরা বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালি নিধনে গণহত্যা শুরু করে। ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা নির্বিচারে হাজার হাজার লোককে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে।

;

তরুণকে থানায় পেটানোর অভিযোগে এসআই ক্লোজড

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় আবদুল্লাহ আল নোমান (২৩) নামের এক তরুণকে পেটানোর অভিযোগে উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদারকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আল নোমান উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের উত্তর কাদরা মজুমদার বাড়ির বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে জেলা শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। একই দিন দুপুরের দিকে থানায় আটক বড় ভাইয়ের খবর নিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শাহাদাত হোসেনকে বাড়ির পাশ থেকে বিনা কারণে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে তার ছোট ভাই নোমান খোঁজ নিতে থানায় যায়। থানায় উপপরিদর্শক সঞ্জয় সিকদারের কাছে তার বড় ভাইকে আটকের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। এ নিয়ে ওই উপপরিদর্শকের সঙ্গে নোমানের কথা-কাটাকাটি হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে নোমানকে থানার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বেধড়ক পিটান ওই উপপরিদর্শক। এতে নোমান অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদার বলেন, শাহাদাত হোসেনকে গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় আনার পর তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। নোমান নামে কাউকে তিনি চেনেন না। নোমানকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন, সেটিও তিনি জানেন না বলে জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, আটক ভাইয়ের খোঁজ নিতে যাওয়া তরুণকে থানায় পেটানোর অভিযোগ উঠায় সেনবাগ থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদারকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড (সংযুক্ত) করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *