সারাদেশ

বেইলি রোডের ভবনটিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: বেইলি রোডের ভবনটিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা বহুতল ভবনটিতে কোন অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। যার কারণে আমাদের এরকম একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে।অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও, সেটা কেউ আর মানে না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুব জরুরি।’

শুক্রবার ( ১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বীমা দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে আরও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, অগ্নিনির্বাপণে সরকারের সব প্রস্তুতি থাকলেও সচেতনতার অভাবে হতাহত বাড়ছে।আমি খোলা জায়গা রাখতে বলি, কিন্তু স্থপতিরা ওই রকম ডিজাইন করেন না। মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চান না।

বরিশালে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: বার্তা ২৪

বিদ্যুৎখাতে ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় জনগণ নেবে না- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অযৌক্তিক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট বরিশাল জেলা শাখা।

শুক্রবার (১ল মার্চ) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদররোডে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

অধ্যাপক নৃপেন্দ নাথ বাড়ৈর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ বরিশাল জেলা সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী, বরিশাল জেলা কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দুলাল মজুমদার, বিরেন রায় ও বিজন সিকদার প্রমুখ।

পরে সদররোডস্থ সমাবেশস্থল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সদররোড এসে শেষ হয়।

;

বেইলি রোডে আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত করতে চায় র‌্যাব

ছবি: বার্তা২৪.কম

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে ঘটনার কারণ কি। নিহতরা অক্সিজেনের অভাবে বা ছাপোকেশনে মারা গেছেন। আগুনে পুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা কম। সরকার যদি চায় এখানে র‌্যাবকে তদন্তের ক্ষেত্রে প্রয়োজন তবে আমরা তদন্ত করবো। আমাদের ইন্টেলিজেন্স উইং এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।’

রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এটা আবাসিক ভবন ছিল নাকি বাণিজ্যিক ভবন ছিল সেটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো তদন্ত করে দেখবেন। কোন ব্যত্যয় থাকলে তারা সেটা খতিয়ে দেখবেন। সরকার যদি বলে যে, এখানে তদন্ত করা প্রয়োজন, সবকিছু নিয়মতান্ত্রিক করা হয়েছিল কিনা তাহলে আমার সেটা তদন্ত করে দেখবো। কি উদ্দেশ্যে ভবনটি করা হয়েছিল, আর কি কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখলে বের হবে।

তিনি বলেন, ‘এখানে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি এখানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটেছিল বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে।’

আগুন যখন প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল তখন তারা ফায়ার ইস্টিংগুইশার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে আরো বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদি মনে হয় এখানে ইনভেস্টিগেশন করা প্রয়োজন তাহলে আমরা সেটা করবো। আমাদের ইন্টালিজেন্স উইং এ ব্যাপারে কাজ করছে তারা তথ্য সংগ্রহ করছে।’

;

আলো ঝলমলে গ্রীন কজি কটেজ এখন পুড়ে অঙ্গার

আলো ঝলমলে গ্রীন কজি কটেজ এখন পুড়ে অঙ্গার

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রীন কজি কটেজ। ৭ তলা ভবনটিতে কাচ্চি ভাইসহ ছয়টি রেস্টুরেন্ট। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ভবনটি আলোতে ঝলমল করে ওঠে। কাচ্চি ভাইয়ের খাবারের সুনামে ভোজন প্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে। এছাড়াও নামি-দামি সব রেস্টুরেন্টের বিশেষ গ্রাহকও ছিল। সব মিলিয়ে সন্ধ্যার পর জমজমাট আড্ডার আসর হয় ভবনটিতে।

অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার উদযাপনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভোজন রসিকদের আগমেন কজি কটেজ উৎসবস্থলে পরিণত হয়েছিল। তবে রাত ১০টার দিকে ভবনটির নিচ তলার খাবারের দোকানের আগুনে মাত্র দুই ঘণ্টায় পুড়ে ছাই হয় পুরো ভবন। অকালে ঝরে যায় ৪৬ প্রাণ। আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে দগ্ধরা। আলোর ঝলকানিতে আনন্দ উল্লাসের খাবার স্থান নিমিষেই পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে।

মৃত বেড়ে ৪৬, দগ্ধ ১২ জনও শঙ্কামুক্ত নন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেইলি রোডে আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত করতে চায় র‌্যাব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল নাজমুলের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন যে ২৭ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেল স্থানীয়দের থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাত তলা ভবনটির পুরোটা জুড়েই ছিল খাবারের দোকান। দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্ট। এছাড়া তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরে সব নামি দামি খাবারের দোকান। ভবনটির রুফটপেও ছিল হাক্কা ঝাক্কা নামের একটি রেস্তোরাঁও।

ফেব্রুয়ারির শেষ দিন অর্থাৎ লিপ ইয়ার ঘিরে খাবারের দোকানগুলোতে চলছিল ধামাকা অফার। তাই অফার গ্রহণে মানুষের উপস্থিতিও ছিল বেশি। আর ধামাকা অফারের ভিড়েই পরিণত হলো ট্রাজেডিতে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাত পৌনে ১০টায় ভবনটির নিচের খাবারের দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। তখনো উপরে তলায় চলছিল খাবার গ্রহণের মহোৎসব। কয়েক মিনিটেই আগুনের কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার নেমে আসে ভবনটিতে। নিচ তলায় আগুন হওয়ায় বেরোনোর সুযোগ পাননি কেউই।

ফলে ধোঁয়ায় নিশ্বাস নিতে না পেরে মারা গেছেন অনেকে। কেউ কেউ বাঁচার জন্য রুফটপে আশ্রয় নিলেও নারীদের বেশির ভাগেই রেহাই পাননি আগুন ও ধোঁয়ার তাণ্ডব থেকে।

এদিকে বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৪৬ জনের মধ্যে বেশির ভাগের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

;

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি মেরামত কাজের জন্য আগামীকাল (শনিবার) গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার (১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বনানী ডিওএইচএস, আরজতপাড়া, শাহীনবাগ এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া, এ সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।

গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *