রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যে স্বপ্ন’র বিশেষ ছাড়
ডেস্ক রিপোর্ট: রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যে স্বপ্ন’র বিশেষ ছাড়
ছবি: সংগৃহীত
সামনে মাহে রমজান। তাই পরিবারের প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যে রমজান উপলক্ষ্যে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে দেশের জনপ্রিয় সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।
স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ জানায়, ১ থেকে ২ মার্চ বেশকিছু পণ্য খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন’র আউটলেটে গ্রাহকরা কিনতে পারবেন।
নিচে বিশেষ ছাড়ের পণ্যগুলোর দাম তুলে ধরা হলো :
ছোলা প্রতি কেজি; পাওয়া যাবে ৯৯ টাকায়, নতুন আলু ২৬ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, ফার্ম এর ডিম (প্রতি পিস) ১০.৯৫ টাকা, ইলিশ (৪০০-৪৯৯ গ্রাম) -প্রতি পিস ৪১০ টাকা, রুই মাছ (১-১.৪৯৯ কেজি সাইজ) ২৯৫ টাকা, পুষ্টি সয়াবিন তেল (৫ লিটার) ৭৭৫ টাকা, মিনিকেট প্রিমিয়াম চাল প্রতি কেজি ৬৮ টাকা, নাজিরশাল প্রিমিয়াম চাল ৭৩ টাকায় পাওয়া যাবে। তবে এসব পণ্যে কোনো ভ্যাট দেওয়া লাগবে না।
এছাড়াও এসিআই অ্যারোমা/পুষ্টি চিনিগুড়া চাল প্রতি কেজি পাওয়া যাবে ১৫০ টাকায়, ফ্রেশ লবণ প্রতি কেজি ৩৫.৭০ টাকা, ইনস্ট্যান্ট ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার ১০০০ গ্রাম ৭৪০.২৫ টাকা, এসিআই পিউর চিক বেসন-৫০০ গ্রাম ১০৫ টাকা, ট্যাং পাউডার ড্রিংক ওরেঞ্জ/ম্যাংগো (জার) ৭১৯.৫০ টাকা, ট্যাং পাউডার ড্রিংক ওরেন্জ/ম্যাংগো (জার-২ কেজি) ১৭৮৫ টাকা, রুহ আফজা ৭৫০ মিলি ৫৪০.৭৫ টাকা, নিউট্রোলাইফ জুস- ১ লিটার ২৪৬.৭৫ টাকা, মসুর ডাল (ছোট দানা-১ কেজি) ১২৩ টাকা (ভ্যাট নেই), এসিআই পিউর হলুদ/মরিচ পাউডার-২০০ গ্রাম ৮৪ টাকা, তীর হালিম মিক্সড-২০০ গ্রাম ৪৯.৯৮ টাকায় পাওয়া যাবে।
কোকাকোলা/স্প্রাইট ২.২৫ লিটার পাওয়া যাবে ১৪১.৭৫ টাকায়, সানসিল্ক শ্যাম্পু ৩৪০+-১০ মিলি ৩৩৬ টাকায় পাওয়া যাবে।
এছাড়া মুড়ি, চিড়া, মসলা, বেবী ডায়পারসহ নানা পণ্যে থাকবে ছাড়। এসিআই/পুষ্টি-এর আটা ময়দার ২ কেজি প্যাকে থাকছে ১৭ টাকা ছাড়।
একটি পরিবারের ঘরের মাসের বাজারে স্বপ্ন সবগুলো প্রয়োজনীয় পণ্যে সর্বোচ্চ ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। এছাড়া খোলা চাল, ডাল, চিনি, আলু, পিঁয়াজ, মাছ, মাংসে কোনো ভ্যাট নেই।
রংপুরের বাজারে কমছে না পেঁয়াজের দাম
রংপুরের বাজারে কমছে না পেঁয়াজের দাম
রংপুরের বাজারে গরুর মাংস এবং ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। অপরিবর্তিত দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি, চাল, চিনি, মাছ ও ডিম। তবে পেঁয়াজের দাম চড়া। কমতে শুরু করছে আটার দাম।
শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন- পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি। এ কারণেই পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তারা প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
তারা বাজার মনিটরিং জোরদারের আহবান জানিয়ে বলেছেন- এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজও রয়েছে। তবুও পেঁয়াজ কিনতে দামে হয়রানি হতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
চালের বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৫-৪৮ টাকা, মোটা (স্বর্ণা) ৫০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭২-৭৫ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, বিআর২৮ এবং ২৯ চাল ৬৩- ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে রুই, কাতলা, মৃগেল, সাটি, তেলাপিয়া, মাগুর শিং, চিংড়ি, পাঙ্গাস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়। আদার কেজি ২০০-২৪০ টাকা। বাজারে গরুর মাংস ৬৮০-৭২০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কোন কোন ব্যবসায়ী আরো বেশি দাম নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করছেন ক্রেতাসাধারণ।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু আকারভেদে ৩০-৬০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, কচুর লতা ৬০-৭০ টাকা, মুলা ২০-২৫ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিচ ২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিচ ১৫-২০ টাকা, বেগুন ৩০-৬০ টাকা, পেপে ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়িরা প্রতি আটি শাক বিক্রি করছেন ১০-১৫ টাকায়।
এদিকে রংপুরের বিভিন্ন বাজারে আসছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। গ্রীষ্মের সবজি সজনে, করলা ও পটল ওঠেছে বাজারে। যদিও এসব পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া।
;
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও বনানীতে শনিবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও বনানীতে শনিবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বনানী ডিওএইচএস, আরজতপাড়া, শাহীনবাগ এলাকার সকল শ্রেণির গ্রাহকের আগামীকাল শনিবার (২ মার্চ) ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বেলা ১টা ৩০ টা থেকে রাত ৯টা ৩০ পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (১ মার্চ) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
তিতাস গ্যাস জানিয়েছে, উক্ত সময়ে আশেপাশে এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
;
‘বিমা’ গ্রাহকদের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে
ছবি: বার্তা ২৪.কম
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী বলেছেন, বিমা সেবা মানুষের জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং আর্থিক ঝুঁকির সময়ে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে। এটি ব্যক্তি ও পরিবারের জন্য একটি নিরাপত্তা জাল তৈরি করে, যাতে তারা অর্থনৈতিক সংকটের সময় স্থির ও সামর্থ্যবান থাকতে পারে। বিমা নিতে গেলে এটি ব্যক্তিগত জীবন, স্বাস্থ্য, গাড়ি, বাড়ি, ব্যবসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
শুক্রবার (১ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বিমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় বিমার অপরিহার্য ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করে কল্যাণ চৌধুরী বলেন, বিমা গ্রাহকদের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এ উপলক্ষে তিনি বিমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিমা কোম্পানিগুলোকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশি সংখ্যক মানুষকে বিমায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গ্রাহকের বিমার অর্থগুলো সঠিক সময়ে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
বিমা দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি জানান, ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আলফা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগদানের দিনটিকে স্মরণ করে ১ মার্চকে জাতীয় বিমা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিমা শিল্পের স্থিতিশীলতা ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি জোর দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, বিমা খাতের উন্নতি ও গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই একটি সুস্থ ও টেকসই অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করা সম্ভব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সরকার অসীম কুমার, বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল হাসান, মেট লাইফের প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান, মেট লাইফ রাজশাহী শাখার ম্যানেজার মো. চঞ্চল মাহমুদ, আলফা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লি. রাজশাহীর অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সাধারণ বিমা করপোরেশন রাজশাহী শাখা ম্যানেজার জি. এইচ মোহাম্মদ আলী, জীবন বিমা করপোরেশন রাজশাহী শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ ইয়াফিস আলী প্রমুখ।
;
বাজার গরম: আসছে রোজা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ
বাজার গরম: আসছে রোজা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ
শুরু হচ্ছে পবিত্র রোজা মাস। আর এই রমজান মাস এলেই অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভে প্রতি বছর পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে চিন্তার ভাঁজ পড়ে ক্রেতাদের কপালে। কিন্তু সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। তবে চিনি ছোলা, বেগুন ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় চিন্তিত মানুষ।
শুক্রবার ( ১ মার্চ ) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৪৯ টাকায় বিক্রি করার কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১৬০-১৬৫ টাকায়। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৬৩ টাকার পরিবর্তে ১৭০ টাকায় প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮০০ টাকা বেধে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৩০ টাকা দরে। তবে দাম কিছুটা কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে।
এদিকে মাছ মাংসের বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। প্রতি কেজি গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত মূল্যের চাইতে ১০০ টাকা বেশি দামে ৭৫০-৭৮০ টাকায় বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। আর খাসি বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকায়। পাকিস্তানি কক মুরগি ৩০০ টাকা, ব্রয়লার ২০০ টাকা, লাল লেয়ার ৩১০ টাকা কেজি। মাছের দামেও দে গেছে একই চিত্র সব ধরনের মাছে বেড়েছে অন্তত ২০-৫০ টাকা কেজি প্রতি।
বাজার ঘুরে দেখা যায় রুই মাছ ২৮০-৩৪০, কৈ ২৬০-৩০০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৬০টাকা, বাটা মাছ ৩০০টাকা কেজি, সিলভার কার্প ৩২০ টাকা কেজি, গ্লাস কাপ ২৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮২০ টাকা আর ছোট চিংড়ি ৬৫০ টাকা। পাবদা ৩২০, বাইলা ৩০০ টাকা কেজি।
তবে শাক সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় তেমন একটা বাড়েনি বলে জানায় ব্যবসায়ী আবুল কালাম। তিনি বলেন, শাক সবজি আগের সপ্তাহের মতোই আছে। শিম ৪০-৬০টাকা কেজি, লাউ প্রকারভেদে ৪০-৮০ গাজর ৪০, ফুল কপি ২০-৩০ বাধাকপি ৩০-৪০ টমেটো ৪০ মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ পেঁপে ৫০, বেগুন ৬০ টাকা কেজি।
প্রতি সপ্তাহের মতো বাজারে এসেছেন আলাউদ্দিন সিকদার। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। তিনি বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম এমনিতেই তো বেশি তার উপর রমজানের বাজারের একটা প্রভাব পড়ছে এখনই। যদিও তেলের দাম কিছু কমছে। তবে বিদ্যুৎ এর দাম আবারও বাড়ানোর খবরে চিন্তা আবারও বাড়ছে। এখন তো আবারও সবকিছুর দাম বাড়বে।
বাজারে আসা আরেক ক্রেতা জানান, সবচেয়ে বড় বিষয় মাছের দামটা এত বেড়েছে- হাত দেওয়া যায় না। অতিরিক্ত দামের কারণে চাষের মাছ কিনেই ঘরে ফিরতে হয়।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।