বেইলি রোডে আগুনে আহতদের চিকিৎসায় ১৭ সদস্যের কমিটি গঠন
ডেস্ক রিপোর্ট: বেইলি রোডে আগুনে আহতদের চিকিৎসায় ১৭ সদস্যের কমিটি গঠন
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের জন্য ১৭ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে চিকিৎসকরা। বোর্ডটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
শনিবার (২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসব রোগীদের দেখতে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে এই ঘটনায় নিহত আরও ৩ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এনিয়ে ৪৩ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হলো।
এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখানে ১১ জন ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো। এছাড়া আশঙ্কাজনক বাকি ৫ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য ১৭ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শুক্রবার (১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী গণভবনে আমাকে ডেকে নিয়ে বলেছেন, এসব রোগীদের বিশেষভাবে কেয়ার নেওয়ার জন্য। তাদের চিকিৎসার খরচ প্রধানমন্ত্রী নিজে বহন করবেন।
এদিকে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম জানান, এই আগুনের ঘটনায় নিহত হওয়া সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন, তার স্ত্রী গৃহিণী মেহেরুন্নেছা জাহান হেলালী ও তাদের সাড়ে ৩ বছরের মেয়ে ফায়রুজ কাশেম জামিরার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এনিয়ে ৪৩ টি মরদেহ হস্তান্তর করা হলো। বাকি ৩টি মরদেহ ময়নাতদন্তের পর ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে তাদের দাবিদারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বেইলি রোডে আগুন: হবিগঞ্জের মা-মেয়ের মৃত্যু
রুবি রায় ও মেয়ে প্রিয়াংকা রায়
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন- মাধবপুর উপজেলায় বানেশ্বরপুর গ্রামের পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী রুবি রায় (৪০) ও মেয়ে প্রিয়াংকা রায় (১৭)।
নিহত রুবি ফিলিপাইনের নাগরিক। প্রায় ২৮ বছর আগে বাংলাদেশি নাগরিক উত্তম কুমারের সঙ্গে তার বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডে ‘কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ’ থেকে খাবার আনতে যান মা রুবি ও মেয়ে প্রিয়াংকা। এ সময় সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মা-মেয়ে নিহত হন।
নিহত প্রিয়াংকার বড় চাচা বিষ্ণু রায় বলেন, উত্তম ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় সেখানে ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায়কে বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে উত্তম পোল্যান্ড যান। এ সময় তিনি স্ত্রী-কন্যাকে দেশে রেখে গিয়েছিলেন। মা-মেয়ে রাজধানীর মালিবাগে থাকতেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে উত্তম রায় পোল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
;
কটিয়াদীতে বসন্তের আকাশে ডানা মেলেছে শিমুল ফুল
ছবি: বার্তা ২৪
শীত বিদায় হয়েছে প্রকৃতি থেকে। প্রকৃতিতে চলছে বসন্ত। এরই মাঝে ফুটেছে নানান রং এর ফুল। সবুজে ছেয়ে যেতে শুরু করেছে চারদিক। শিমুল গাছে তাকালেই দেখা মিলছে লাল রং এর ফুল। যেন আকাশে ডানা মেলেছে। গাছের ডালে এবং ফুলে বসে কোকিল পাখি মধুর কণ্ঠে কুহুতান করছে। ভর দুপুরে এই দৃশ্য আকৃষ্ট করে পথচারীদের।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সবগুলো গ্রামে এখন এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে। ফুল ফলে ভরে ওঠতে শুরু করেছে প্রকৃতি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফসলের মাঠ সবুজে ছেয়ে আছে। মৃদুমন্দ হাওয়া বইছে। ভেসে আসছে শিমুল ফুলের ঘ্রাণ। কোথাও টুকটুকে লাল, কোথাও হলুদ, কোথাও কমলা। দেখে মনে হয়, কে যেন মুঠো মুঠো রং ছড়িয়ে দিয়েছে চারপাশে। প্রকৃতির এই রং, রূপ, বৈচিত্র্যের কারণ ঋতুরাজ বসন্ত।
মৌমাছির গুঞ্জন আর পাখির কলকাকলিতে মুখর এলাকা। এ যেন কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতানে ফাগুনের উত্তাল হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা। মুকুল আর শিমুল ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এসেছে ফাগুন।
ফাগুনের এই আগুন লাগা একেকটি শিমুল গাছ যেন প্রকৃতির আপন আভায় সেজে উঠেছে। পত্রবিহীন প্রতিটি শিমুল গাছে ছেয়ে থাকা লাল টুকটুকে ফুলগুলো মন কাড়ে সবার।
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতি রাঙিয়ে দেয় শিমুল ফুল। তবে কালের বিবর্তনে চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন কমে যাচ্ছে। এক যুগ আগেও কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তায়, পতিত ভিটায় প্রচুর শিমুল গাছ দেখা যেত। গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিতো এসেছে বসন্ত। এ ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ।
জানা যায়, এ গাছের সব অংশেই রয়েছে ভেষজগুণ। শীতের শেষে শিমুলের পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে যায়। বাতাসে আপনা-আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সঙ্গে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই নতুন গাছের জন্ম হয়। অন্য গাছের মতো এ গাছ কেউ শখ করে রোপণ করে না। নেওয়া হয় না কোনো যত্ন। প্রাকৃতিকভাবেই গাছ বেড়ে ওঠে। এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। এর ছাল, পাতা ও ফুল গবাদিপশুর খুব প্রিয় খাদ্য।
বর্তমানে মানুষ এ গাছ কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে। অতীতে নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি, দিয়াশলাইয়ের কাঠি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে আজ কমে যাচ্ছে শিমুল গাছ।
;
বেইলি রোডে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
ছবি: বার্তা ২৪
রাজধানীর রমনা থানার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেছে।
পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ সালমান ফার্সী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আগুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত মিডিয়া ব্রিফিং করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন।
বেইলি রোডে আগুন: সাংবাদিক অভিশ্রুতির বাড়িতে শোকের মাতম বেইলি রোডে আগুন: স্ত্রী-সন্তানসহ প্রাণ হারাল উখিয়ার শাহজালাল ‘বিল্ডিং কোড না মানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে’ তিনি বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ভবনের নিচতলার চুমুক রেস্টুরেন্টের (ছোট রেস্টুরেন্ট) দুজন মালিক ও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আটককৃতরা হলেন- ভবনের নিচতলার চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান।
পুলিশের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিচতলায় দুটি খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল। পেছনের দিকে বড় এবং সামনের দিকে ছিল হালকা খাবার চা-কফির ছোট রেস্টুরেন্ট। ছোট রেস্টুরেন্ট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই ভিডিও ফুটেজও সবার কাছে রয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলা জনিতকারণে মৃত্যু অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবেন। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন।
অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে মহিদ উদ্দিন বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকি ছয় জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আগুনের ঘটনায় ডিএমপি ও সিআইডি ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেছে। গতকালের ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং সবধরনের সহযোগিতা করা হয়।
;
চরমোনাইয়ের তিন দিনব্যাপী মাহফিলের সমাপ্তি
ছবি: বার্তা২৪.কম
আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত ৩দিনব্যাপী ফাল্গুনের মাহফিল।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেবের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিল শুরু হয়। তিন দিন শেষে শনিবার (২ মার্চ) সাড়ে ৯ টা সমাপনী অধিবেশন ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লক্ষ লক্ষ মুসল্লীদের এ মিলনমেলা।
আখেরী বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাইয়ের জনগণের বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হবার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।
আখেরী মুনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, চরমোনাই মাহফিলের অস্থায়ী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চরমোনাই মাহফিলে আগত মুসল্লীদের মধ্য হতে ২৮ ফেব্রুয়ারী সকালে মুন্সিগঞ্জের মো. আজমত শেখ, একই দিন রাত মুন্সিগঞ্জের মো. হাশেম রাড়ী, ২৯ ফেব্রুয়ারী দুপুরে পটুয়াখালীর সুলতান প্যাদা, ১ লা মার্চ রাত খুলনার মো. আনোয়ার হোসেন, একই রাতে মুন্সিগঞ্জের শামসুল হক কাজী মৃত্যুবরণ করেন। তাদের মরদেহ জানাজা শেষে নিজ নিজ এলাকায় পাঠানো হয়।
চরমেনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে এ বছর প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মুসল্লীকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।