আন্তর্জাতিক

মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট: জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) রমজান মাসকে সামনে রেখে মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, এখন আমরা জানি, রাশিয়া-ইউক্রেন ও কোভিড মহামারির কারণে বিশ্বে অর্থনীতি মন্দার মধ্যে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর থেকে দূরে নয়। আমাদের বাজার পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, সামনে রোজা আসছে। রোজা মাস আসলে কিছু ব্যবসায়ী থাকে মজুতদারী করে, দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটতে চায়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে, পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আরেকটা হচ্ছে, সরবারহ সমস্যা। অনেক সময় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়, মজুত করে পঁচিয়ে ফেলবে কিন্তু বাজারে পণ্য দিবে না। এজন্য কঠোর আইনি ব্যবস্থা প্রয়োগ করা দরকার।

রমজান মাসকে সামনে রেখে আমি এ কথাগুলো বললাম, মানুষের নাগালে যেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যাতে যায় তার দিকে সবাইকে নজর দিতে হবে, প্রধানমন্ত্রী।

রোববার (৩ মার্চ) জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি চারদিন ব্যাপী ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়ন ব্যাহত হয়: প্রধানমন্ত্রী

এবার সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে থাকছে ৩৫৬টি প্রস্তাব। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে আরও বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়ন ব্যাহত হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের চারবারের মত ক্ষমতায় আসা এবং সরকার ধারাবাহিকতা রক্ষা হওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

শেখ হাসিনা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টা তুলে ধরে বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। গ্রাম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এতে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কিশোর গ্যাং নিয়ে সতর্কতা ও নজরদারি বাড়াতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,  শুধু গ্রেফতার করে কারাগারে রেখে কিশোর গ্যাং কমানো যাবে না। পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই এর সমাধান করতে হবে। কারাগারে অন্যান্যদের সাথে মিশে এই সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।

পার্বত্য সমস্যা সমাধানে আওয়ামী লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, সেখানে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। তাই সবাইকে সে অঞ্চলেরর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *