আসিয়ান-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রসচিব
ডেস্ক রিপোর্ট: ‘টুওয়ার্ডস সাসটেইনেবল এ্যাকুয়াকালচার : এ্যান আসিয়ান বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ অন এন্টিবায়োটিক স্টুয়ার্ডশিপ, গুড প্রাকটিস এন্ড ক্লাস্টার ফার্মিং’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মশালা রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহে শুরু হয়েছে।
কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
যৌথভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও আসিয়ান সেক্রেটারিয়েট কর্তৃক আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সচিব।
কর্মশালার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘টেকসই মৎস্য চাষ খাতে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য বাংলাদেশ এবং আসিয়ান দেশগুলোর মাঝে সেরা অভিজ্ঞতাগুলো ভাগ করে নেওয়াই এ কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। আশা করা যায়, আসিয়ান এবং বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা তাদের অভিজ্ঞতা এবং সর্বোত্তম অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরবেন। শেষ পর্যন্ত জলজ খাতে বাংলাদেশ এবং আসিয়ানের মধ্যে নতুন সহযোগিতা তৈরির সুপারিশ প্রণয়ন হবে সে প্রত্যাশাও ব্যক্ত করছি।’
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আলমগীর এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলী উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাই এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ জুলফিকার।
অনু্ষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার আসিয়ান মিশনের প্রধানগণ, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধিগণ, শীর্ষ আমলাগণ, নীতিনির্ধারকগণ, গবেষকবৃন্দ এবং দশ আসিয়ান দেশ সমূহ ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীরা।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি আসিয়ানের একটি বিভাগীয় সংলাপের অংশীদার হওয়ার প্রয়াসে আসিয়ানের সঙ্গে তার কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে।
এই কর্মশালাটি ফিশারিজ আসিয়ান-ব্যাংলাদেশ সহযোগিতা প্রকল্পের একটি অংশ, যা কক্সবাজারে বাংলাদেশ সরকার দ্বারা অর্থায়ন করা হচ্ছে এবং ৫ মার্চ শেষ হবে। প্রকল্পের অবশিষ্ট অংশ একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম এবং সেমিনার চলতি বছর জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হবে।
তিন দিনের এই সেমিনার অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, মৎস্য চাষে বাংলাদেশ এবং আসিয়ানের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোড়ালো করবে। আসিয়ান দেশগুলোর মিশন প্রধানদের এবং কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়ে ফিশারিজ প্রকল্পগুলো সফরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে ভবিষ্যতে আসিয়ান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার পথ আরও সুগম করবে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।