সারাদেশ

৫ লাখ শিশুকে সাঁতার শেখানো হয়েছে: সংসদে প্রতিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: ৫ লাখ শিশুকে সাঁতার শেখানো হয়েছে: সংসদে প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

জীবন বাঁচাতে সারাদেশে ৫ লাখ ৯ হাজার ৮৭০ জন শিশুকে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।

সোমবার (৪ মার্চ) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. মামুনুর রশীদ কিরনের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবন বাঁচাতে সাঁতার প্রশিক্ষণ শীর্ষক কর্মসূচি, শিশুর জীবন সুরক্ষায় সাঁতার প্রশিক্ষণ, শিশুর জীবন সুরক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে সাঁতার প্রশিক্ষণ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ৫ লাখ ৯ হাজার ৮৭০ জন শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ব কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং শিশুর সাঁতার সুবিধা প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২২- ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় আট বিভাগের ১৬টি জেলার ৪৫টি উপজেলায় ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ৮ হাজারটি শিশু যত্ন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা এবং ৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের জন্য সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদানসহ অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে দুইটি জেলায় (পটুয়াখালী ও বরগুনা) ১ হাজার জন শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

ওয়ারিতে রেস্তোরাঁয় পুলিশের অভিযান

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন আবাসিক ভবনে থাকা রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ারি বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ইকবাল হোসাইন।

তিনি জানান, অবহেলা, বেপরোয়া, তাচ্ছিল্যপূর্ণ বিপদজনকভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে যারা আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।

তিনি জানান, অভিযানের শুরুতে তারা র‌্যাংকিং স্ট্রিটের ‘আই লাভ মেজ্জান’ রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন করেন। সেখানে রেস্টুরেন্টের কিচেনের পাশে এক্সিট পথ থাকলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে এবং সেই পথে বিভিন্ন মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখা হয়েছে রেস্টুরেন্টটিতে।

উল্লেখ, রাজধানীর বেইলি রোডে রেস্টুরেন্ট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানির পরে নড়চড়ে বসে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর। তারই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, রাজউক ও ঢাকা মহানগর পুলিশের একাধিক টিম।

;

রাজধানীজুড়ে রেস্তোরাঁয় নজর রাখা হচ্ছে: ডিবি হারুন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানর গোয়েন্দা পুলিশর (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘একটা ঘটনা ঘটার পরে আমরা শোক করি, জ্ঞান দেই। কিন্তু দায়িত্বরত সকল সংস্থা নিজেদের কাজ করলে বেইলিি রোডসহ অতীতে আগুনে যে সকল প্রাণহানি ঘটেছে সেগুলো দেখতে হতো না। তাই এবার ডিএমপির থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় নজর রাখছে এবং যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা ঘটলে জরুরিভাবে বের হওয়ার রাস্তা আছে কি না দেখছে।’

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বেইলি রোডের ঘটনা উল্লেখ করে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ‘বেইলি রোডের গ্রিণ কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় আমাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে যিনি বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন, সে সহ ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এই এক আগুনে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে! আসলে যার সন্তান মারা যায় সে শোক বোঝে। আসলে আমরা মারা যাওয়ার পরে শোক করি, কান্না করি, জ্ঞান দেই। আমাদের প্রতিটি সংস্থার যে দায়িত্ব আছে সেগুলো আমরা যদি পালন করতাম তাহলে আমার মনে হয় এমন ঘটনা আর ঘটতো না। তাই এখন আমরা প্রতিটি রেস্তোরায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। ঢাকা শহরে এমন কোনো রেস্তোরাঁ আছে কি না যেগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা মানা হচ্ছে না; দ্রুত বের হওয়ার রাস্তা আছে কি না; বাতাল চলাচলের রাস্তা আছে কি না আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম পেলে আমরা যথাযথ কতৃপক্ষকে অবহিত করবো।’   

হারুন বলেন, ‘এমন দুর্ঘটনার পেছনে তো গাফিলতি থাকেই। তবে কোনো ঘটনা ঘটার পরে আমরা সেটা (গাফিলতি) খুঁজি। নিয়মকানুন না মেনে যত্রতত্রভাবে ভবন বানানো হচ্ছে। এই সকল ভবনের খোঁজ খবর যদি আগে থেকে নিয়ে রাখা হতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। বঙ্গবাজার, নীমতলি, বনানীর এফ আর টাওয়ারে মতো এমন ঘটনা বারবার ঘটতো না।’

কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর বিষয়ে ডিবি প্রধান বলেন, ‘বেইলি রোডে  এই ভবনে এতোগুলো রেস্তোরা চালানোর অনুমোদন ছিলো কি না। যে দোকনটিতে ২০ জন মানুষ বসার সুযোগ নেই অথচ সেখানে ৫০ জনকে ২০ শতাংশ ছাড় দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। এখানে কোনো দূর্ঘটনা ঘটলে মানুষগুলো কি ভাবে বের হবে। সিঁড়িতে রাখা হতো গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। এই সকল রেস্তোরাঁর অনুমোদন ছিল কি না, ফায়ার সার্ভিস ঠিক মতো তদারকি করেছে কি না আমার জানা নেই। আর রুমগুলো এমন ভাবে সাজিয়েছে যে বাতাস যাওয়ার সুযোগ ছিল না। বাতাস চলাচলের রাস্তা থাকলে এতো প্রাণহানি হয়তো হতো না। এমন কি দুর্ঘটনা ঘটলে ছাদে গিয়ে মানুষ বাঁচবে সেখানেও যাওয়ার রাস্তা নেই রেস্তোরা বানিয়ে রেখেছে। এমন ভবন তো ঢাকা শহরে আরও আছে। এসব দেখার জন্য ঢাকা শহরে আরও অনেক সংস্থা আছে, ভবন ম্যানেজার আছেন। তারা কি খোঁজ খবর রাখছেন সেটাও আমরা জানি না।’ 

;

বগুড়ায় মাটি খুঁড়তে বেরিয়ে এলো ৩ গ্রেনেড

বগুড়ায় মাটি খুঁড়তে বেরিয়ে এলো ৩ গ্রেনেড

বাড়ির সংস্কার কাজ করার সময় মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এসেছে মুক্তিযুদ্ধকালের তিনটি গ্রেনেড। তবে সেগুলো অবিস্ফোরিত৷

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উদ্ধার করা গ্রেনেডগুলো পানিতে ভিজিয়ে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়েছে।

বগুড়া শহরের স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন জিলাদারপাড়া এলাকার একটি বাড়ির আঙিনা থেকে গ্রেনেডগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটনাস্থলে আর্মিদের ক্যাম্প ছিল বলে দাবি করেছেন ওই বাড়ির মালিক। গ্রেনেডগুলো মুক্তিযুদ্ধকালের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাড়ির মালিক মোস্তাফিজুর রহমান স্বাধীন জানান, কয়েকদিন ধরে তার বাড়ির সংস্কার কাজ চলছে। বাড়ির পাশে কিছু মাটি নেওয়ার জন্য মাটি খুঁড়তেই একসঙ্গে তিনটা গ্রেনেড পাওয়া যায়। পরে তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে উদ্ধার করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেখানে আর্মিদের ক্যাম্প ছিল। এ গ্রেনেডগুলো সেই সময়কার।

বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, তিনটি গ্রেনেড সদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। দেখে মনে হচ্ছে এগুলো অনেক পুরাতন। ঢাকায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে এগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে।

;

নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত

ছবি: বার্তা ২৪.কম

নীলফামারীর ডিমলায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামিনুর রহমান (৪০) নামে এক স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মিস্টার নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে ইসলামি ডিগ্রি কলেজের পূর্ব দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জামিনুর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় পচারহাট উচ্চ বিদ্যালের শিক্ষক এবং আহত পুলিশ সদস্য পচারহাট এলাকার আলীর ছেলে মিস্টার।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষক ও পুলিশ সদস্য মামলার হাজিরার জন্য মোটরসাইকেল যোগে লালমনিরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যানের সাথে ধাক্কায় দুজনে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পরে যায়৷ পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জামিনুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং মিস্টার নামে পুলিশ সদস্যকে জরুরি চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় জানায়, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃত ব্যক্তির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *