সারাদেশ

কারিগরি শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষার বৈপ্লবিক পরিবর্তন শিক্ষা খাতে বৃহৎ বিনিয়োগের ফল: শিক্ষামন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: কারিগরি শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষার বৈপ্লবিক পরিবর্তন শিক্ষা খাতে বৃহৎ বিনিয়োগের ফল: শিক্ষামন্ত্রী

কারিগরি শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষার বৈপ্লবিক পরিবর্তন শিক্ষা খাতে বৃহৎ বিনিয়োগের ফল: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন দেশের সাক্ষরতার হার ছিল ৪৫ শতাংশ এখন সেটা এসে দাঁড়িয়েছে ৭৬ শতাংশে। কারিগরি শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে এটি সরকারের শিক্ষা খাতে বৃহৎ বিনিয়োগের ফল বলে আমরা মনে করি। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এটি বিরাট ভূমিকা রাখবে।

সোমবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণ জাতির কাছে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সরকারের এক উন্নয়ন কাব্য। বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক এই ভাষণ যখন পড়বেন তখন দেখবে এ বাংলাদেশের চিত্র, গণমানুষের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি আগে কি ছিল এবং বর্তমানে কি আছে তার একটি চমৎকার ব্যাখ্যা, তার চমৎকার প্রতিফলন রাষ্ট্রপতির ভাষণে উঠে এসেছে।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। জাতীয় সংসদের সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন প্রস্তাবটি সমর্থন করেন।

শিক্ষা খাতে বর্তমান সরকার এবং তার আগের সরকারগুলোর কার্যক্রমের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ২০০৬-০৭ সালে বাংলাদেশের যে জাতীয় বাজেট ছিল যেটা বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের সর্বশেষ বাজেটের আকার ছিল ৬৩ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের দেওয়া বাজেটে শুধুমাত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য যে বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা হচ্ছে ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই তিনটি মন্ত্রণালয়ের যে বরাদ্দকৃত বাজেট সেটা বাংলাদেশে বিএনপি-জমায়াত সরকারের যে জাতীয় বাজেট তারচেয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী দেশকে এমনভাবে পরিচালনা করছেন, দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এমনভাবে হয়েছে, সেই অর্থনীতি থেকে জাতীয় রাজস্ব আয় করে শিক্ষা খাতে যে বিশাল বাজেট তিনি বরাদ্দ দিয়েছেন এবং শিক্ষা খাতে যে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে সেটা আজ প্রমাণিত।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ২০০৯ সালে দায়িত্ব নিয়েছেন সেই সময়কাল থেকে এবং ২০২৩ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এই ১৫ বছরে ১ লাখ ৫ হাজার ৮০১টি শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করেছে। এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ২১ হাজার ১০২ টি ভবন নির্মাণ করেছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৭০ শতাংশ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান কোন না কোন ধরনের নতুন অবকাঠামো বা সম্প্রসারিত ভবন পেয়েছে। বাংলাদেশে বিগত ১৫ বছরে ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এর আগের কোন সরকারের সময়ে এতগুলো ভবন কখনো পায়নি এটি হচ্ছে ভবন অবকাঠামগত উন্নয়ন। হাজার হাজার শিক্ষককে মাসিক পেমেন্ট অর্ডারের মাধ্যমে বেতন কাঠামোর মধ্যে আনা হয়েছে। এখনো অনেক শিক্ষক এর বাইরে আছেন, আমরা চেষ্টা করছি সেই সকল শিক্ষককে যেন মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও কাঠামোর মধ্যে আনতে পারি সেই প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।

প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট ডাক সেবা পৌঁছে দেয়া হবে: পলক

জুনাইদ আহমেদ পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট ডাক সেবা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, সময়ের চাহিদা মেটাতে ডাকঘরকে মেইল সার্ভিসিং থেকে ডেলিভারি সার্ভিসিংয়ে রূপান্তরের পাশাপাশি অন্যদের সাথে অবকাঠামো শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নত ডাকসেবা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। সে সুযোগ কাজে লাগাতে তিনি সংশ্লিষ্টদের পথনকশা তৈরির নির্দেশ প্রদান করেন।

সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকায় ডাকভবনে স্মার্ট ডাকঘর নির্মাণে ডাক অধিদপ্তর, এটুআই এবং ইক্যাব এর সাথে এক পরামর্শক সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি আদান-প্রদানের যুগ শেষ হয়ে গেলেও পণ্য পরিবহনে ডাকঘর হবে সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের ঠিকানা আমরা ২০২১ সালে অতিক্রম করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি স্বপ্নের ঠিকানায় ২০৪১ সালের মধ্যে পৌঁছানোর অভিযাত্রা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ কম খরচে ঘরে বসেই ডিজিটাল শপ থেকে কেনা পণ্য যাতে হাতে পান সেই লক্ষ্যে স্মার্ট ডাক বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্মার্ট ডাক ব্যবস্থায় দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে ক্রেতার পণ্য কোথায় আছে তাও সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। প্রতিটি ডাক ঘরে ই-কমার্সের জন্য একটি আলাদা কর্নার থাকবে যেখান থেকে পণ্য শর্টিং, ট্র্যাকিং এবং দ্রুততম সময়ে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে।

স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলে ডাক সেবায় ডাকঘরের সমকক্ষ কোন প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া দুরূহ হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ডাক অধিদপ্তর পিছিয়ে থাকতে পারে না।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, এটু আই এর প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ, পলিসি এডভাইজার আব্দুল বারী, ইক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী ঢাকার গুলশানে টেলিটক সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তাদের সাথে টেলিটকের গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে গৃহীত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করেন। প্রতিমন্ত্রী অন্যান্য মোবাইল অপারেটরদের সাথে টাওয়ার শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে টেলিটক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অগ্রগতি এবং টেলিটকের বিদ্যমান ৫ হাজার ৬শত টাওয়ারের কর্মক্ষমতা বিশেষ করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান। টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান এসময় পাওয়ার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

প্রতিমন্ত্রী আগামী ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে টেলিটক মোবাইল ইন্টারনেটের একটি বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ তৈরি এবং ৭ মার্চ থেকে তা চালু করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

;

সিলেটে পুলিশের হাতে ৬ ছিনতাইকারী আটক

সিলেটে পুলিশের হাতে ৬ ছিনতাইকারী আটক

সিলেটে ৬ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩ টি ছোরা জব্দ করা হয়।

সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট নগরীর লালবাজার থেকে কোতোয়ালী মডেল থানা তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি চৌধুরীগাঁওয়ের কুটি মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৪) ও পারভেজ আহমেদ (২৩), নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন ছড়ারপার এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে হৃদয় (১৯), দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানাধীন তিরাশিগাঁওয়ের আতিকুর রহমানের ছেলে বাবুল মিয়া (২০), সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রিয়াজুল হক (২০) এবং সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তা পানিছড়া গ্রামের মোনাক মিয়ার ছেলে নাঈম (১৮)।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

;

সেবক হিসেবে জেলা প্রশাসকদের জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান স্পিকারের

সেবক হিসেবে জেলা প্রশাসকদের জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান স্পিকারের

শাসক নয়, সেবক হিসেবে জেলা প্রশাসকদের জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে অগ্রগামী প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

সোমবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪’ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং স্পিকারের একান্ত সচিব এম, এ, কামাল বিল্লাহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম। এ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফও বক্তব্য রাখেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করার কাজে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অনন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জেলা প্রশাসকগণ করোনা অভিঘাত মোকাবেলা করেছেন, সরকারের নীতি ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন-উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিনই সংবিধান রচনায় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়ন ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।

তিনি বলেন, জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী অধিবেশন চলাকালীন প্রতি বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে ত্রিশ মিনিটব্যাপী উত্তর প্রদান করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি প্রশ্ন করা যায়, যে সময়ে মূলত বিরোধীদলীয়রা প্রশ্ন করেন।

জেলা প্রশাসক হিসেবে নারী কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন, যা গর্বের। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগিয়ে জেলা প্রশাসকদের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

;

মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগের দাবিতে ফেনী কলেজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ফেনী সরকারি কলেজের প্রিলিমিনারি শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স শেষ পর্বে ভর্তির সুযোগ প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৪ মার্চ) কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সোমবার (৪ মার্চ) কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এসময় তারা ভর্তি ও অনিয়মের কথা উল্লেখ করে ভর্তির সুযোগ প্রদানের দাবি জানান এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এসময় তারা ভর্তি ও অনিয়মের কথা উল্লেখ করে ভর্তির সুযোগ প্রদানের দাবি জানান এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন।

ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তা২৪.কম। এতে উঠে আসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল দেরিতে ঘোষণা করায় মাস্টার্স এ আবেদন করতে পারেননি কলেজের ৪৭৭ জন শিক্ষার্থী। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় ফেনী কলেজে মাস্টার্সের কোন আসন খালি নেই।

মানববন্ধনে সমাজকর্ম বিভাগের নুরুল করিম নামে একজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিবার প্রিলির ফলাফল আগে দেওয়া হয়। পরে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফলাফল দেওয়া হয়। এরপরে আবেদনের নোটিশ দেয়। কিন্তু এবার অনার্সের আগে ফলাফল ঘোষণা করে ভর্তির নোটিশ ও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রিলির শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেনা। অনলাইনে কলেজের নাম ও দেখা যাচ্ছেনা।

তিনি বলেন, আমাদের আবেদনের শেষ তারিখ ৫ মার্চ। এরমধ্যে আবেদন করতে না পারলে ভর্তির সুযোগ পাব না। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

ফারিজানা আক্তার নামে আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ৩২০ টাকা খরচ করে প্রাথমিক আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এখন বলছে রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে হবে তবে রিলিজ স্লিপে ফেনী কলেজের কোন নাম ই নেই। ফলে মাস্টার্সে ভর্তি নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তায় রয়েছি। বিষয়টি সামধান করে ভর্তির সুযোগ দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

রৌশন আরা শিল্পী নামে আরেকজন বলেন, সমাজকর্মে ৬০ দিনের মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হয়। আমরা মেয়েরা যারা আছি ফেনীর বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। পরিবার আছে সংসার আছে। প্রিলি এখানে দিয়েছি মাস্টার্স যদি অন্য কলেজে করতে হয় এটি আমাদের জন্য ভোগান্তি। এতগুলো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের প্রশ্ন। কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দ্রুত সামাধান নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে ফেনী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন বলেন, শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সামাধানে কলেজ কর্তৃপক্ষ আন্তরিক। এখানে শিক্ষার্থীদের ভুল নেই, তারা ফলাফল পেয়েছে দেরীতে ফলে আবেদন করতেই পারছেনা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি বিষয়টি যাতে দ্রুত সামধান করা যায়।

ইতোপূর্বে এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্রফেসর ড.মোহাম্মদ বিন কাশেম। তিনি জানান, ফেনী কলেজের বিষয়টি অবগত হয়েছি। আলোচনা করে কি করা যায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন,মাস্টার্স প্রিলিমিনারির শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারছেনা কারণ ফেনী কলেজের কোটা সম্পন্ন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে একটি ভর্তি নিয়েছি, এতে অনার্সের যারা আবেদন করেছে তারা ভর্তি হয়ে যাওয়াতে সিট ফাঁকা নেই। ফলে প্রিলিমিনারির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *