বিনোদন

টিকটক থেকে ‘ঝালাক দিখলা যা’ জয়ী মনীষা রানি

ডেস্ক রিপোর্টঃ নাচের রিয়েলিটি শো দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে হলেও, ব্যক্তিত্ব দিয়ে সবার মনে দাগ কাটেন। কঠোর পরিশ্রম, চর্চা এবং হার না মানার উদ্যমে নতুন পথে জীবনে এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত মানুষকে সফলতা এনে দেবেই। জীবনের চাকা ঘুরে সেই ডান্স রিয়েলিটি শো’য়ের মাধ্যমেই স্বপ্ন পূরণ করলেন।

বলছি বিহারের মেয়ে মনীষা রানির কথা। ভারতে এখন খুব পরিচিত এক নাম। জনপ্রিয় বিতর্কিত শো ‘বিগবস: ওটিটি- সিজন টু’ থেকে তার জনপ্রিয়তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে যায়। বিগবসে অভিষেক মালহান এবং এলভিস যাদবের সাথে, তার অকৃত্রিম বন্ধুত্ব ছাড়িয়ে গিয়েছিল খেলার কঠোর নিয়মকেও।

বিগবসে বিজয়ী হতে না পারলেও, জয় করেছিলেন শত শত ভারতবাসীর মন। তবুও তার হাতে ট্রফি দেখতে না পারার আফসোস ছিল মনীষা ভক্তদের। অবশ্য সেই আফসোসও অবশেষে দূর হলো। ভারতীয় জনপ্রিয় নাচের রিয়েলিটি শো ‘ঝালাক দিখলা যা’ এর সিজন ১১-এর ট্রফি উঠেছে মনীষা রানির হাতে। বন্ধু এলভিশের মতোই ওয়াইল্ড কার্ডে এন্ট্রি নিয়ে শেষবাজি মারলেন মনীষা।

বিহার কন্যা মনীষা রানি

ধনশ্রী বর্মা, অদ্রিজা সিনহা ,শোয়েব ইব্রাহিম এবং শ্রীরাম চন্দ্রের সাথে ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ট্রফি ওঠে মনীষঅর হাতে।  ট্রফি ছাড়াও পেয়েছেন নগদ ৩০ লাখ রুপি। নৃত্য প্রশিক্ষক আশুতোষ পওয়ারের জন্য ছিল পুরষ্কার হিসেবে ১০ লাখ রুপি।

সাবলীল ব্যক্তিত্ব এবং নিজের জড়তাকে কাটিয়ে উঠেছিলেন মনীষা। তার সরলতা এবং উৎফুল্ল মনোভাবের কারণে সকলের মনের রানি হয়ে উঠেছেন মনীষা রানি। সিজন ফিনালের আগেই মনিষার শুভাকাক্ষীদের দেখা যায়, তার জন্য ভোট চাইতে। বিভিন্ন সেলিব্রিটিরা তাদের দর্শকদের অনুরোধ করেছিলেন, মনীষাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য।

ট্রফি জেতার পর তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান। বিচারক এবং দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘ঝলক দিখলা যা’-তে জয়লাভ করা তার স্বপ্ন ছিল, যা এখন পূরণ হয়েছে। এরই সাথে নৃত্যশিল্পী হিসেবে তার সব প্রতিকূলতার কথাও উল্লেখ করেন মনীষা।   

ছোটবেলা থেকেই নাচতে ভালোবাসেন মনীষা। নাচ শেখার জন্যই ছোটবেলায় বিহার থেকে কোলকাতায় আসেন। সেখানে পুরোদমে প্রশিক্ষণ অব্যহত রেখেছিলেন। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই যাওয়ার। সেই সিদ্ধান্তই তার জীবন বদলে দিয়েছে।   

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *