ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে আ.লীগ
ডেস্ক রিপোর্ট: ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে আ.লীগ
ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আওয়ামী লীগ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধ জাগরণের মহাকাব্য। বাঙালি তথা বিশ্বের সকল লাঞ্চিত-বঞ্চিত নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির সনদ। ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার চূড়ান্ত প্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক দলিল এবং বিশ্বে সর্বাধিকবার প্রচারিত ও শ্রবণকৃত অলিখিত ভাষণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে তৎকালীন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন।
বঙ্গবন্ধু তাঁর বজ্রনির্ঘোষ কণ্ঠে বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। এই ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম জনযুদ্ধে পরিণত হয়। ঐতিহাসিক এই ভাষণে উদ্দীপ্ত হয়ে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এক সাগর রক্ত আর ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র।
এতে বলা হয়, ১৯৭০ সালে বাঙালির প্রাণপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী বিজয়ী আওয়ামী লীগ তথা বাঙালিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, যে কোনোভাবে পশ্চিম পাকিস্তানিদের হাতে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু ১লা মার্চ এ অধিবেশন অপ্রত্যাশিতভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২ ও ৩ মার্চ সারা দেশে হরতাল পালন করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই পটভূমিতে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতায় তাঁর বলিষ্ঠ কণ্ঠে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে এবং বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত শক্তি ও সাহস যুগিয়ে আসছে। একইসাথে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক “বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল” হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহের সকল স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সর্বস্তরের জনগণের প্রতি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে গৃহীত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামে যুবলীগ কর্মীকে অপহরণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে অতর্কিত হামলা
ছবি: বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর বিরুদ্ধে স্থানীয় মেহেদি হাসান নামের এক যুবলীগ কর্মী ও ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ মানববন্ধনে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় ১০-১২ জন ছাত্র ও যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরের দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানা মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ হামলা চালানো হয়।
গুরুতর আহতদের মধ্যে একজন আরাফাত হোসেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। অন্যজন মিজান রহিম। তিনি নাক কান গলা বিভাগ ভর্তি রয়েছেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মেহেদী হাসান বলেন, গতকাল আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করে চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদ টিনু। এরই প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে হঠাৎ ৮০ থেকে ১০০ জন সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল রোববার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চকবাজার এলাকার চমেকের পূর্ব ফটকের সামন থেকে যুবলীগ কর্মী ও ব্যবসায়ী মেহেদি হাসানকে অপহরণের অভিযোগ উঠে কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর বিরুদ্ধে। তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় টিনুর অনুসারীরা তাকে মারধর ও তার সাথে থাকা টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন মেহেদি। তুলে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মেহেদীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মেহেদি জানান, চকবাজারে বন্ধুর ওষুধের দোকানে বসেছিলাম। এসময় আমার আরেক বন্ধুর মোবাইলে কল করে কাউন্সিলর টিনু জানতে চান মেহেদি পাশে কিনা। এরপর তিনি আমার সাথে কথা বলার একপর্যায়ে বলেন, আমাকে তুলে থানায় দিয়ে আসবেন।
এই সংক্রান্ত তাদের দুইজনের কথোপকথন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, টিনুকে বলতে শোনা যায়, আমার বিরুদ্ধে তুই যেখানে সেখানে যা তা (গালবাজি) কেন বলছিস? শুধু মিঠুর অনুরোধে তোকে কিছু করিনি। তোকে ঘর থেকে টেনে হিঁছড়ে নিয়ে এসে থানায় তুলে দেব। সিটি করপোরেশনের ময়লার মতো টেনে তুলে নিয়ে আসব তোকে।
তখন মেহেদি কী অপরাধে তাকে তুলে নেওয়া হবে বারবার সেটা জানতে চান। একপর্যায়ে হুমকির সুরে টিনু বলেন, ‘তুই আমার বিরুদ্ধে আর কোথাও কিছু বললে তোর খবর আছে। তোর চেয়ে বড় নেতা আমার সাথে খেলতে গিয়ে কাত হয়ে গেছে। তুই কত বড় কাবিল হইছিস!
টিনু তখন বলেন, ‘তুই আমার বিরুদ্ধে যা-তা বলতে পারিস না। আমি তোকে তুলে নিয়ে আসব।’ এসময় টিনু ধমকের সুরে তার রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চান। তখন মেহেদি বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগ করি। সেটার সার্টিফিকেট আপনি না দিলেও আমার নেতারা দেবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদি বলেন, আমি থানায় ওসি সাহেবকে বিস্তারিত জানিয়েছি। আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। একজন জনপ্রতিনিধি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার কার্যালয়ে এইভাবে কাউকে তুলে নিয়ে মারধর করতে পারেন না। এই নির্যাতনের আমি উপযুক্ত বিচার চাই।
অভিযোগে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাউন্সিলর টিনু বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল অ্যাম্বুল্যান্স সমিতির নেতাদের অনুরোধে আমি তাকে কল দেই। সে সবার বিরুদ্ধে নানা বাজে কথা বলে বেড়ায়। আমি তাকে কাউন্সিলর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বুঝিয়েছি, যেন সে ঝামেলা না করে। তাকে মারধর করা হয়নি। সে অহেতুক থানায় গিয়ে মিথ্যে কথা বলছে। আমি ওসিকে বিস্তারিত জানিয়েছি।
জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, কাউন্সিলরসহ ছয় জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছি।
;
বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না: রিজভী
ছবি: বার্তা ২৪.কম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার। এই সরকারের আমলে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মী হত্যা, গুম ও নির্যাতনে স্বীকার হচ্ছে। বর্তমান এই স্বৈরাচার সরকারের সময় উপজেলা নির্বাচনসহ বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। যদি কেউ অংশগ্রহণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ১১টায় শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নে নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতীনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামস্থ নিহতের বাড়িতে যান রুহুল কবির রিজভী। সেইসঙ্গে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির নেতা শহিদুর রহমান শহিদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহম্মেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এছাড়া নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছেলে মিলন রহমান, মেয়ে মৌসুমী আক্তার, জামাই নাজিমুদ্দিন নাজু উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বগুড়ার শেরপুরে বিশালপুর ইউনিয়নে আব্দুল মতিন (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে সরিষা ক্ষেতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় মান্দাইল গ্রামের পূর্বপাড়া চড়ার মধ্যে শরিষা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মান্দাইল গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে ও বিশালপুর ইউনিয়নের বিএনপির সক্রিয় সদস্য এবং গরু ব্যবসায়ী। গত ১৫ নভেম্বর বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা হয়। সেই মামলার ৬৪ নম্বর আসামি ছিলেন তিনি। তাকে আসামি করাতে সেইদিন থেকে ৭-৮ দিন ধরে সে বাড়িতে থাকতো না। মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতো। এরপর ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ওই গ্রামে শ্রমিকরা ধান কাটতে গিয়ে সরিষা ক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায়। এ ঘটনায় মেয়ে মৌসুমী আক্তার বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
;
কেন্দ্রীয় ও ঢাবি ছাত্রলীগের বিরোধ ফের প্রকাশ্যে
ছবি: সংগৃহীত
কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের মধ্যে বিরোধ ফের প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিএসএল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটসাল প্রতিযোগিতা ২০২৪’ কে কেন্দ্র করে এই বিরোধ দেখা দিয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটসাল প্রতিযোগিতা-২০২৪ শুরু হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ছাত্রলীগ। এই আয়োজনে দেশের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তবে এ আয়োজন বয়কট করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
জানা যায়, ঢাবি ছাত্রলীগের ফুটসাল প্রতিযোগিতা বয়কটের কারণ হলো, রোববার (৩ মার্চ) এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। এ অনুষ্ঠানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় এবং উক্ত ইউনিটগুলোর ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আমন্ত্রণ করা হয়নি। সে কারণে তারা এ আয়োজন বয়কট করেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক পারভেজ মুন্সী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটসাল টিম কো-অর্ডিনেটর হিসেবে আমাদের দলসহ আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানবির হাসান সৈকতকে অতিথি হিসেবে দেখতে পাইনি। যখন জানতে পারি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাদের আমন্ত্রণ করা হয়নি তখন আমরা ফুটসাল টুর্নামেন্ট বয়কট করে চলে এসেছি।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানবির হাসান সৈকত বার্তা২৪.কমকে এ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। তবে ফুটসাল টুর্নামেন্ট বয়কটের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্তকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কেউ ফোনকল রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আগস্টের এ স্মরণসভা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যথাযথ মূল্যায়ন করেনি বলে অভিযোগ করে বিরোধের সূচনা হয়। আগস্টের শোকসভায় ঢাবি শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বক্তৃতা দান করতে না দেওয়া, ঢাবি শাখাকে বাদ দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া, সমাবেশের জন্য অন্যান্য ইউনিটকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলেও ঢাবি শাখাকে না দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে ঢাবি ছাত্রলীগ।
এ বিরোধের পরপরই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণাধীন ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ শাখার নিয়ন্ত্রণ চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। পরবর্তী সময়ে ‘ভুল-বোঝাবুঝি’ বলে এ বিরোধের ইতি টানে কেন্দ্রীয় ও ঢাবি ছাত্রলীগ। সম্প্রতি, ঢাবির জগন্নাথ হলে পূজার সময়ে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ ঘটে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
;
অশুভ রাজনীতির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে: নাছিম
ছবি: বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ জনাব আফম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, অশুভ রাজনীতির হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির স্রষ্টাদের থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে রক্ষা করব।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ৬-তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে যারা সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি করে, শিক্ষাঙ্গনের পবিত্র পরিবেশকে নষ্ট করে, শিক্ষাকে নিয়ে বাণিজ্য করে, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও মাদক ছড়িয়ে দিয়ে মাদকের ব্যবসা করে, মাদক সেবীদের উৎসাহিত করে তাদের হাত থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীর পিতার আদর্শের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের তরুণদেরকে, নবীনদেরকে গড়ে তুলতে হবে।
দেশকে বাঁচাতে মাদককে সমাজ থেকে বিতারিত করতে হবে জানিয়ে বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, সৃজনশীল মানসিকতা নিয়ে যারা সমাজে প্রতিনিধিত্ব করেন সে মুরব্বিদেরকে, যুবসমাজকে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। আজকে মাদক ছড়িয়ে দিয়ে, মাদকে আসক্ত করে আমাদের যুবসমাজকে নষ্ট করা হচ্ছে। মাদকে আসক্ত হয়ে যুবসমাজ যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে দেশ ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগে না। তাই আমরা আমাদের পরিবার থেকে, সমাজ থেকে, পবিত্র শিক্ষাঙ্গন থেকে মাদককে বিতারিত করতে আমাদের সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে। দুষ্টু চক্রের হাত থেকে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করতে হবে।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যেখানে শিক্ষকের মধ্যে থাকবে ভ্রাতৃত্ববোধ। যেখানে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে থাকবে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ। যেখানে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে থাকবে সুনিবিড় সম্পর্ক। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে যেন কোন ধরনের অন্তরায় সৃষ্টি না হয়।
নাছিম বলেন, ছাত্রছাত্রীরাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে আমাদের সর্বক্ষেত্রে স্মার্ট হতে হবে। সেটা ব্যবসা থেকে শুরু করে শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি সবজায়গায়। তাহলে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চান প্রতিটি মানুষ সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে, প্রতিটি ঘরের সন্তান মানুষের মতো মানুষ হবে। সে জন্য আমাদের সবকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু যাতে ঝরে না যায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। যে কারণে শিশু থেকে কিশোর সব পর্যায়ের আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া শিখে আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
এসময় তিনি সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য একটি নতুন ৬-তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ও পরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।