সারাদেশ

৮ দেশের সামরিক বাহিনী পদস্থরা সুন্দরবনে

ডেস্ক রিপোর্ট: ৮ দেশের সামরিক বাহিনী পদস্থরা সুন্দরবনে

ছবি: বার্তা ২৪.কম

 শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, কুয়েত, নাইজেরিয়া, মালিসহ ৮টি দেশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কমোডর, যুগ্ম সচিব, এয়ার কমোডর, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ১৯ জনসহ মোট ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে দুপুর প্রায় ১টা পর্যন্ত প্রায় দু’ ঘণ্টা ধরে প্রতিনিধি দলটির সদস্যরা দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রে অবস্থান করে।

এ ছাড়া বনের ভিতরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিভিন্ন গাছপালা দেখে তারা মুগ্ধ হন তারা। এ সময় করমজলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির প্রতিনিধি দলটির সদস্যদের করমজলের গুরুত্ব ও তাৎপর্যসহ সুন্দরবনের উপর সংক্ষিপ্তভাবে বিফ্রিং করেন।

করমজলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, এ প্রতিনিধি দলে শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, কুয়েত, নাইজেরিয়া, মালিসহ ৮ জন বিদেশিসহ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কমোডর, যুগ্ম সচিব, এয়ার কমোডরসহ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ১৯ জনসহ মোট ২৭ জন সুন্দরবনের এ সফরে আসেন। তারা প্রকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অবৈধ মজুতের কারণে দ্রব্যমূল্য অদ্ভুতভাবে বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে।’

মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সরকার গঠনের পর মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সব মন্ত্রণালয় বিভাগ সমন্বয় করে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। বাজেট প্রণয়নের সময় অবশ্যই নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়গুলো প্রাধান্য দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনরায় দেশসেবার সুযোগ দেওয়ায় জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এখন লক্ষ্য নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনকল্যাণ মাথায় রেখে যথাযথ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স থাকবে। রফতানি বহুমুখীকরণে সব দূতাবাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাদক সমস্যা নিরসনে সমাজকেই এগিয়ে আসতে বলে জানান তিনি।

;

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

জেদ্দায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীবর্গের বিশেষ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি সংস্থার সচিবালয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওআইসি সচিবালয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী হাছান দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততায় সন্তোষ ব্যক্ত করেন এবং আগামী দিনে এ সহযোগিতা আরও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় তিনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর শিগগিরই সুবিধাজনক সময়ে হবে বলে আশা প্রকাশ করলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসন্ন এ সফর নিয়ে আরও আলোচনা হবে এবং সৌদি আরব বাংলাদেশের সাথে বিগত তিন বছরে অত্যাধুনিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে তাদের সম্পৃক্ততা বিবেচনা করে।

ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহার সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসির নেতৃত্বে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী হাছান রোহিঙ্গা সংকটের জন্য ওআইসির নিরলস সমর্থন ও সহযোগিতার প্রশংসা করেন, বিশেষ করে আইসিজেতে গাম্বিয়ার দায়ের করা রোহিঙ্গা মামলার জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য ওআইসির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

তিনি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি দেখতে ওআইসি মহাসচিবকে আবারও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং সদস্যদের কাছে বাণিজ্য সম্পর্কিত তথ্য প্রচারের জন্য ওআইসি সচিবালয়ে একটি সেল গঠনের প্রস্তাব করেন।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিব উভয়েই টানা ৪র্থ বারের মতো সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্ণ সহযোগিতা ও ফিলিস্তিনে সহিংসতা অবসানে একযোগে কাজের কথা জানান।

;

দুইটি রেস্তোরাঁ সিলগালা ও দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায়

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার ২টি রেস্তোরাঁয় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সিলগালা করে দিয়েছে ডিএনসিসি। এছাড়াও আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করায় ৮টি রেস্তোরাঁয় মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ ) ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা এলাকার বেশ কিছু রেস্তোরাঁয় অগ্নি নিরাপত্তা ঝুঁকি পরিদর্শনপূর্বক এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

ডিএনসিসির অঞ্চল-০৩ এর অন্তর্গত গুলশান ও ভাটারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন। অভিযান পরিচালনাকালে গুলশান-১ এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় রেস্তোরাঁটি সীলগালা করা হয় এবং আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় অন্য একটি রেস্তোরাঁকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার পাওয়ায় এবং দায় স্বীকার না করায় ১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও অভিযানে মাদানি এভিনিউ ও ভাটারা এলাকায় প্রায় ১.৫ কি:মি: রাস্তা ও ফুটপাথ অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে।

অঞ্চল-২ এর অন্তর্গত মিরপুরের রুপনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। অভিযানে একটি রেস্তোরাঁয় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় রেস্তোরাঁটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় আরও ৩টি রেস্তোরাঁকে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অঞ্চল-০৬ এর অন্তর্গত উত্তরা সেক্টর-১২ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান। ৪টি রেস্তোরাঁয় যথাযথ অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় এবং অপরিচ্ছন্ন ও বাসি খাবার বিক্রি করায় মোটি ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অঞ্চল-০১ এর অন্তর্গত উত্তরা সেক্টর-৭ এর ০৫ নম্বর রোডে বিএনএস সেন্টার শপিং মলে অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হাসান। অভিযান পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিবৃন্দ। শপিং মলটিতে ফায়ার সার্ভিসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে অঙ্গিকার গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

;

গাজা সংঘাত অবসানে সম্ভাব্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

গাজার সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য মানবিক অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে সম্ভাব্য বিকল্প বিবেচনায় এনে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সৌদি আরবের জেদ্দায় ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিষয়ে অর্গাইনাইজেশন অভ ইসলামিক কোঅপারেশনের ১৯তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক্সট্রাঅর্ডিনারি সেশনে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এ আহবান জানান।

ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবিক করিডোর উন্মুক্ত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করতে হবে। এসময় ফিলিস্তিনিদের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে ইসলামিক ফাইন্যান্সিয়াল সেফটি নেটের ওপর জোর দেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নীতি ও অনুশীলন থেকে উদ্ভূত আইনি পরিণতি সম্পর্কে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তুর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশের দেওয়া জোরালো বিবৃতির কথা উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন যে এই অঞ্চলে শীঘ্রই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে যা মুসলিম উম্মাহর দাবি।

মন্ত্রী বলেন, এ জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং সব পক্ষের সংকল্পের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী ইস্যুতে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *