সারাদেশ

নোয়াখালীতে চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

ডেস্ক রিপোর্ট: গাইবান্ধার দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে শহরের আসাদুজ্জামান স্কুল এন্ড কলেজের সামনে (ডিবি রোডে) দুই ঘণ্টা ব্যাপি এই মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করে প্রেসক্লাব গাইবান্ধা। মানববন্ধন শেষে গণমাধ্যমকর্মীরা শহরের এক নং ট্রাফিক মোড়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় তারা রাস্তায় শুয়েও অবস্থান নেয়। এতে রাস্তান উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

কর্মসূচীতে গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ির প্রেসক্লাব ও পলাশবাড়ি রিপোর্টাস ইউনিটির সাংবাদিক নেতাসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে, দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক বাংলার গাইবান্ধা প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ’র সঞ্চালনায় মানবন্ধনের শুরুতেই ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মামলায় অভিযুক্ত প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সিনিয়র সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি রবিস সেন এবং চ্যানেল এস এর জেলা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হোসেন।

পরে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সিনিয়র সহ সভাপতি মিজানুর রহমান রাজু, পলাশবাড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন, পলাশবাড়ি রিপোর্টাস ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, ফুলছড়ি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু, গাইবান্ধা কার ও কাইক্রবাস মালিক সমিতির সহ সভাপতি মানিক, প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জোবাইদুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক লাল চাঁন বিশ্বাস সুমন ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছালাম আশেকী। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একইসাথে পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও আহ্বান করেন।

এর আগে গত ২৫ জুলাই গাইবান্ধা শহরের জ্যোতিপ্রভা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী দীপঙ্করের (দীপক কুমার রায়) বিরুদ্ধে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ভুক্তভোগী এক নারী গাইবান্ধা সদর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে দীপঙ্করের সাথে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুবাদে ওই নারীর পরিচয় হয়। পরে তাকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে একাধিক প্রলোভন দিয়ে দীপঙ্কর তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই কয়েক দফায় শারীরিক (ধর্ষণ) সম্পর্ক করে।

শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগীর অগোচরে এমন শারীরিক সম্পর্কের গোপন ভিডিওচিত্র সংরক্ষণ ও ব্লাকমেইল করে বিভিন্ন সময়ে নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকে। এর একপর্যায়ে ওই নারীকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করবে বলেও জানায় দীপঙ্কর। একই সাথে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকুরী নিয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে এসব বিষয় নিয়ে ওই নারী দীপঙ্করের সাথে জোড়ালোভাবে কথা বলতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ তার কাছে থাকা শারীরিক সম্পর্কের গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ সম্পর্কে কারো কাছে কোন অভিযোগ করলে বা জানালে আমার জীবননাশ সহ অপূরণীয় ক্ষতি করবে মর্মেও হুমকি দেয়। ফলে চরম চরমনিরাপত্তাহীনতায় থাকার কথাও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

পরে ঘটনা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক জাভেদ হোসেন ও রবিন সেন।  এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই দুই সাংবাদিককে অভিযুক্ত করে রংপুর সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন দীপক কুমার রায়। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *