আন্তর্জাতিক

সহায়তা জোরদার করতে গাজায় বন্দর স্থাপন করবে যুক্তরাষ্ট্র

ডেস্ক রিপোর্ট: মানবিক সহায়তা জোরদার করতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উপকূলে একটি অস্থায়ী বন্দর তৈরি করবে মার্কিন সামরিক বাহিনী। যাতে বড় আকারে মানবিক সহায়তা সরবরাহ করা যায়।

মার্কিন এক সিনিয়র কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়

ওই কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণে এই ঘোষণা দেবেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্থায়ী বন্দরটি ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। বন্দর স্থাপনে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলেও জানানো হয়।

মার্কিন ওই সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে ইসরায়েলি বাধায় ওয়াশিংটনের রাস্তায় বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। তাই আমরা ইসরায়েলিদের জন্য আরও অপেক্ষা করছি না।

ত্রাণের প্রাথমিক চালান সাইপ্রাস হয়ে গাজায় পৌঁছাবে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা সমন্বয় করা হবে বলেন ওই কর্মকর্তা।

বাইডেন এরই মধ্যে সেনাবাহিনীকে গাজায় বন্দর নির্মাণের জরুরি মিশন হাতে নেওয়ার এবং সমমনা দেশগুলোসহ মানবিক ত্রাণ সহায়তায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন- বৃহস্পতিবার সেকথাই বাইডেন কংগ্রেসে তার বক্তব্যে জানাবেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

তারা আরও জানান, গাজা উপকূলে বন্দর গড়লেও সেখানে মার্কিন কোনও স্থলসেনা থাকবে না। ফলে স্থলপথে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা কে নিশ্চিত করবে তা স্পষ্ট নয়। সেকারণে এই মিশন সফল হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

গাজায় গভীর পানির কোনও বন্দর নেই। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক সপ্তাহ ধরে জাহাজে করে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার পথ খুঁজেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ সপ্তাহেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উত্তর গাজায় অনাহারে শিশুরা মারা যাচ্ছে। ত্রাণ পাওয়ার জন্য গাজাবাসী মরিয়া হয়ে ওঠায় গতসপ্তাহে ত্রাণবহরে হামলে পড়ে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *