সারাদেশ

পেট্রোল অকটেন নিয়ে প্রতারণার একটা সীমা থাকা উচিত: আলাল

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, কয়েকদিন ধরে চিৎকার চেচামেচি হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম, পেট্রোলের দাম কমানো হলো তিন টাকা আর অকটেনের দাম কমালো চার টাকা। প্রতারণার একটা সীমা থাকা উচিত!

আবার, বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়েছে আকাশ সমান। কিছু মানুষ এখন অপরিহার্য হয়ে গেছে। ওয়াসার তাকসিম, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এরকম কিছু লোক ছাড়া আওয়ামী লীগ অচল হয়ে গেছে। এরা থাকলে জনগণের পকেট কাটতে সুবিধা হয়।

শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে নিজেদের কাছে নিজেদেরকে সংকুচিত হতে হয়। এ সরকার একটি প্রতারণার সরকার। তারা (সরকার) বলে রোজায় কোনো জিনিসের দাম বাড়বে না। তারা কিন্তু সত্যি কথাই বলেছেন। তারা (সরকার) রোজার তিন মাস আগে থেকে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতেই থাকে। এরপর আর রোজার সময় দাম বাড়ায় না। তার মানে আওয়ামী লীগ তার ওয়াদা ঠিক রাখে। তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে।

বিএনপির এই নেতা হাসানুল হক ইনুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইদানীং আবার কিছু কিছু লোক শেখ হাসিনার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে তারা যেসমস্ত কথা বলছে তাতেও হাস্য-কৌতুকের সৃষ্টি হচ্ছে। হাসানুল হক ইনু খুব অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এবার ভোটে তাকে ঠকানো হয়েছে, এবার শেখ হাসিনা ওনাকে কোনো টিকিট দেয়নি। এজন্য উনি অসন্তুষ্ট হয়ে এখন ওনার বরই খাইতেও অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু এর আগে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না খাইতে অসুবিধা হয়নি? গত রোজার সময় কুমড়ো দিয়ে বেগুনি খেয়েছিলেন তখন অসুবিধা হয়নি? কাঠালের বার্গার খেয়েছিলেন তখন অসুবিধা হয়নি? এখন ছোট্ট একটি বরই খেতে এত অসুবিধা হয়ে গেল! আপনিতো সরকারি টাকায় হজ্জ করে এসেছেন। আপনি এখন সরকারি হাজী।

তিনি বলেন, দেশটাকে এমন এক অরাজকতার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো পাড়া-মহল্লা, কোনো এলাকা এমনকি কোনো প্রতিষ্ঠানে পর্যন্ত এখন আর ভোট অনুষ্ঠিত হয় না। সব আওয়ামী লীগের লোকেরা দখল করে নিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সুপ্রিম কোর্টে কালকে রাতে ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আওয়ামী যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যানের স্ত্রী তার নিজের লোকজনদেরকে দিয়ে একাজগুলো করিয়েছে। এরকম ভাবে দেশের সবজায়গায় লুটপাট চলছে।

জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন বেপারীর সভাপতিত্বে এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন খানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনির, সাবেক ছাত্র নেতা এজমল হোসেন পাইলট, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, কৃষক দলের সহসাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, যুব জাগপা’র সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসা ফরাজী প্রমুখ। 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *