সারাদেশ

মসিক নির্বাচন: কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইভিএম, নিরাপত্তায় থাকবে বিজিবি

ডেস্ক রিপোর্ট: মসিক নির্বাচন: কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইভিএম, নিরাপত্তায় থাকবে বিজিবি

ছবি: বার্তা২৪.কম

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সরঞ্জাম বিতরণ করে আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিস।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে ইভিএম বিতরণ শুরু করা হয়। এ কার্যক্রম চলে দুপুর পর্যন্ত। ১৩৪ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ এই ইভিএম বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৩৩ ওয়ার্ডের ১২৮টি ভোট কেন্দ্রের ৯৯০ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। এজন্য দেড় হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আগামীকাল (শনিবার) সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। 

ময়মননিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

তিনি বলেন, এজন্য স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১১ প্লাটুন পুলিশ, আর্মড পুলিশ এবং আনসার সদস্য, ১৭ টিম র‌্যাব ছাড়াও ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৫ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চারজন ও জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু (টেবিল ঘড়ি), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু (হাতি), কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক (হরিণ) এবং জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে ইসির মনিটরিং সেল গঠন

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে ইসির মনিটরিং সেল গঠন

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩৩টি নির্বাচনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়। এই সেলের নেতৃত্বে দিবেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। এই সেলের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে নির্বাচন ভবনের ৪র্থ তলায়। সেল-এর কার্যক্রম হবে ৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ অর্থাৎ ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮ টা হতে শুরু হবে। 

ইসি জানায়, আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন, ৩টি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন ও বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের শূন্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া একই তারিখে ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন, ৭টি জেলা পরিষদের উপনির্বাচনসহ ১৮৭টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উক্ত সেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, প্রকল্প পরিচালক, আইডিয়া প্রকল্প-২ (২য় পর্যায়), নির্বাচন কমিশন।

আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল যারা থাকবেন, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা। পুলিশ হেডকোয়াটার্সের পুলিশ সুপার/অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা। বিজিবি/কোস্টগার্ড/র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) আনসার ও ভিডিপির উপপরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা। এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার/সহকারি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা।

আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবে। সেই সাথে সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি কর্তৃক নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থান ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানাবেন।

;

নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভোট বন্ধ: ইসি আলমগীর

ছবি: বার্তা ২৪

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনসহ ২৩৩ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে কোন কেন্দ্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন। 

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে নির্বাচন ভবনের নিজ কক্ষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই হুশিয়ারি দেন।

সিটি ভোটে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না, সে ধরণের কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটের ক্ষেত্রে উত্তেজনা থাকেই। সব প্রার্থীই চায় নির্বাচনে জেতার জন্য। তবে এরকম কোনো ঝুঁকি নাই ওখানে যে আইন শুঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে, এই ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নাই। তারপরও সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে তারা যে অতিরিক্ত ফোর্স চেয়েছে সেভাবে দিয়েছি। নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিস্থিতি চলে গেলে কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা বন্ধ না করলে আমরা (কমিশন) বন্ধ করে দেব।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সিটির সঙ্গে ৯ মার্চ পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও আছে। আইন শৃঙ্খলা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সকল জায়গা থেকে চাহিদা এসেছে সেখানে বেশি ফোর্স দিয়েছি। অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রটও দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের যে মূল্যায়ন তাতে পরিবেশ ভাল। আশা করি নির্বাচন ভালভাবেই হবে। আমাদের প্রস্তুতি সব দিক থেকেই ভালো।

তিনি আরও বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে আমাদের প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। জনবল রাখা হয়নি। এজন্য নিয়মিতত কর্মকর্তাদের দিয়েই বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সহায়তায় রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। আমাদের আর্থিক, জনবলের সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য অনেকগুলো ইভিএমই কাজ করছে না। অচল হয়ে যাচ্ছে। ইভিএম পরীক্ষা নিরিক্ষা করে যেগুলো সচল পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোই ব্যবহারের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

;

৯ মার্চ বিভিন্ন জেলায় যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন, ৩৩টি পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ও ২৩৩টি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ উপলক্ষে ৯ মার্চ ২৪ ঘণ্টার জন্য যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

সংস্থাটি জানায়, ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন এবং ৩৩টি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত ৮ মার্চ মধ্যরাত ১২টা হতে ৯ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা তালিকায় রয়েছে, ট্যাক্সি ক্যাব, পিক আপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক।

সংস্থাটি আরও জানায়, একই সাথে নির্বাচন উপলক্ষে ৭ মার্চ দিবাগত মধ্যরাত ১২টা হতে ১০ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও উক্তরূপে যে কোনো যানবাহন চলাচলের উপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

তাছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজে ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।

উল্লিখিত যানবাহনসমূহ চলাচলের উপর বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক’কে এতদ্বারা ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

;

মসিক নির্বাচন: প্রচারণায় হামলার অভিযোগ, সত্যতা পায়নি পুলিশ

ছবি: বার্তা২৪.কম

আগামী ৯ মার্চের ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নিবার্চনকে সামনে রেখে তুঙ্গে রয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তিনজন প্রার্থীর প্রচারণায় সরগরম ভোটের মাঠ। রোববার (৩ মার্চ) রাতে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে এর সত্যতা পায়নি পুলিশ।

হামলার ঘটনায় সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানান ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এহতেশামুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত রোববার দিনব্যাপী প্রচারণা শেষে রাতে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ি কলোনীতে প্রচারণার সময় ঘড়ি ঘড়ি স্লোগানে আমিসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় স্থানীয়রা আমাকে আগলে ধরায় রক্ষা পাই। হামলা নেতৃত্ব দিয়েছে জাহাঙ্গীর মৃধা, শামীম, সুজন, শ্রবান, শান্ত এবং অমিতসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন। এসময় অতর্কিত হামলা করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। এবিষয়ে স্থানীয় রেদওয়ান আহমেদ নামে একজন থানায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এহতেশামুল আলম বলেন, নিবার্চন কমিশনেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তারা যদি সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাহলেই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা বেরিয়ে আসবে। যখন ঘোড়া প্রতীক জয়ের দ্বারপ্রান্তে যাচ্ছে তখনেই একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। এর আগে আমার গণসংযোগে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এতে আমার তিন কর্মীর আহত হয়। তারা ভাবছে এসব করলেই আমি পিছিয়ে যাবো, কিন্তু আমিতো পিছিয়ে যাওয়া মতো মানুষ না। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পিছিয়ে পরার জন্য নির্বাচনে দাঁড়ায়নি। সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর উৎসাহে আমি প্রার্থী হয়েছি। ন্যাক্কার জনক ঘটনার পরপরেই মোহিত উর রহমান শান্ত ও হাতি প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাকেদুল হক খান মিল্কী টজু আমার খোঁজ নিয়েছেন। ইকরামুল হক টিটু ইচ্ছা করলে আমার খোঁজ নিতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। তারা লুটপাটসহ সন্ত্রাসী রাজনীতি করে ময়মনসিংহের পরিবেশ উত্তপ্ত করছে। আমি আমার নেতা কর্মীদের সবসময় শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিচারের ভার তাদের কাছে দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম সাজ্জাদ জাহান শাহীন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শরাফ উদ্দিন আহম্মেদ বায়েজিদ, উপ—দপ্তর সম্পাদক মোস্তুফা মামুনুর রায়হান অসীম, সদস্য কাজী আজাদ জাহান শামীম প্রমুখ।

এ ব্যাপারে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে সাধারণ মানুষের জোয়ার উঠেছে। অন্যদিকে তাদের জনসমর্থন না থাকায় নিজেরা বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে মানুষের সমবেদনা নেওয়া ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচার, গুজব ও পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ যদি ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করে নিশ্চই সম্মানিত নাগরিকরা বিচার বিশ্লেষণ করে তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা বারবার বলেছি অপরাধী যেই হোক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

ঘটনার ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পর পর আমরা বাঁশবাড়ি কলোনীতে যাই। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে প্রচারণায় যাওয়ার পর দুই পক্ষের সমর্থকদের স্লোগান দেওয়া নিয়ে একটু উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

ময়মনসিংহ সিটিতে ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩২ পুরুষ, ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৫ নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯ জন। তারা আগামী ৯ মার্চ ইভিএমে ১২৮ কেন্দ্রে ভোট দেবেন। মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী ছাড়াও নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১৪৯ এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ৬৯ জন। নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ আলম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলর পদে ৩২ ওয়ার্ডে শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *