খেলার খবর

‘দেশের সর্বত্র নারীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে’

ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার বলেছেন, নারী জাতির ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নারী। পুরুষের পাশাপাশি নারী সমাজের উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেই দেশের সব জায়গায় নারী সচিব থেকে শুরু করে বিভাগীয় কমিশনার-ডিসি-এসপি, ইউএনও-ম্যাজিস্ট্রেট-ওসি ও অন্যান্যস্থানে ঊর্ধ্বতন নারী কর্মকর্তারা কর্মরত থেকে তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’। আলোচনা সভার পূর্বে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের নেতৃত্বে সার্কিট হাউজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানে নারী কল্যানমুখী ১৭টি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।

উপ-পরিচালক বলেন, নারী মানে কারও করুণার পাত্র নয়। প্রধানমন্ত্রী, সংসদের উপনেতা, সংসদের স্পিকারও নারী। নারীরা এখন দেশের সর্বোচ্চ স্থানে। তারা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন, এভারেস্ট জয়ী ও নোবেল বিজয়ী। নারীদেরকে শ্রদ্ধা ও সমান চোখে দেখতে হবে। একজন নারীকে অর্থ দিলেই শুধু বিনিয়োগ নয়, তাকে শিক্ষিত করে স্বাবলম্বী করাটাই আসল বিনিয়োগ। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপ, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে ও সমতার ভিত্তিতে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা গেলে জাতীয় অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হবে। নারীরা নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারলে সহিংসতা ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পাবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নারীদের অবদান অনেক বেশি। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামেও নারীদের অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে। নারীরা কখনো পুরুষদের প্রতিদ্বন্ধী নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন সফল নারী। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীরা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এখন সব পেশায় সর্বক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হচ্ছে। দেশে এমন কোন পেশা নেই যেখানে মেয়েরা কাজ করতে পারবে না। বর্তমান সরকার সব জায়গায় নারী-পুরুষের সমান সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি করে রেখেছেন। মনমানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে নিজের দক্ষতা ও জ্ঞান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপ, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দিলরুবা বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পান্না আক্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী ও সমাজকর্মী জেসমিন সুলতানা পারু, আবিদা আজাদ, ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা জনি রোজারিও, ব্র্যাক’র সমন্বয়কারী এনামুল হাসান প্রমুখ। চট্টগ্রামে কর্মরত সংশ্লিষ্ট এনজিও এবং নিবন্ধনকৃত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি সমূহের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *