সারাদেশ

পোস্তগোলা সেতুর সংস্কার কাজ শেষ, শনিবার থেকে চলতে পারবে যানবাহন

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অংশগ্রহণ প্রয়োজন। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের আরও অগ্রসর হতে হলে দেশের নারী ও পুরুষকে সমভাবে শ্রম দিতে হবে। কারণ সমাজের অর্ধেক জনশক্তি নারী।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

নারীদের সমাজের অর্ধেক অংশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সমাজের অর্ধেক কাজ না করলে সেই সমাজ দাঁড়াতে এবং সামনে অগ্রসর হতে পারে না। নারী ও পুরুষ সমানভাবে কাজ করলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। আজ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কারণ আমরা নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, আমাদের নারীরা কখনই পিছিয়ে থাকবে না।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত নারীদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, তাঁর দলই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা সংবিধান ও ইশতেহারে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ করেছে। শুধু বলার জন্য নয়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছে। এই সরকার সুযোগ সৃষ্টি করেছে, তবে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। ঘরে থাকবেন না। কারণ সমাজের জন্যও নারীদের অনেক কাজ করতে হবে।

এক পরিসংখ্যানে নারীদের ৪৩ শতাংশ শ্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (নারীরা) আরো অতিরিক্ত কাজ করেন এমনকি অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও কাজ করতে হয় যা হিসাব করা হচ্ছে না।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, যদি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এই যাত্রায় নারীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করা যায় তাহলে আমরা দ্রুত আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।

দেশে প্রথম মুন্সীগঞ্জ জেলায় মহিলা পুলিশ সুপার নিয়োগ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) নারীদের নিয়োগের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা বলেন, যদি নারীদের এই সুযোগ দেয়া না হতো তাহলে এই সাফল্য আসতো না। আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) সব সময় বলতেন, অর্থনৈতিকভাবে মেয়েদের মুক্তিই সবচেয়ে বড় মুক্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের যেখানে নিয়োগ দিয়েছি তারা সেখানে তাদের কাজের ক্ষেত্রে বিরাট দক্ষতা প্রদর্শন করেছে, আমি তাদের প্রশংসা না করে পারি না।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বিশ্বব্যাংকে দুই নারীর নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দুই নারী সচিব এই সংস্থাগুলোর জন্য কাজ করার করার সুযোগ পেয়েছেন। আমি সেটা প্রমাণ করতে চাই বাংলাদেশি নারীদের শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও কাজ করার দক্ষতা রয়েছে। তারপর থেকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *