সারাদেশ

হবিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট: হবিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বামকান্দি এলাকার আলোচিত হাজী রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কায়সার রহমানকে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৩)।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজাহার হোসেন এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে কায়সারকে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এএসপি আজাহার হোসেন বলেন, এ বছর ৬ মার্চ রাতে বামকান্দি এলাকার একটি মাজারে ওরস অনুষ্ঠানে নাগরদোলায় চড়া নিয়ে নিহত রফিকের ভাতিজা নাদিম এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রেফতারকৃত কায়সারের ভাগ্নে মোশারফের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরদিন এই ঘটনা নিয়ে বামকান্দি বাজারে রফিক ও কায়সারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কায়সার ও তার লোকজন রফিকের ওপর হামলা চালায়।

পরে মুমূর্ষু অবস্থায় রফিককে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ১০ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিক মারা যান।

সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় নিহত রফিকের ছেলে বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পর অভিযুক্ত কায়সারসহ অন্যরা আত্মগোপনে চলে যায়।

তালিকা দেখে বাসভাড়া দিতে বললেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ আপনারা তালিকা দেখে ভাড়া দিবেন। অতিরিক্ত এক টাকাও ভাড়া দিবেন না। যদি কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে টিকিট কাটার আগের আমাদের ভিজিলেন্স টিমের কাছে অভিযোগ করবেন। যদি এর পরেও কোনো সুরাহা না হয়, তাহলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিবে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এসে বিআরটিএ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালে আমাদের মোবাইল কোর্ট, ভিজিলেন্স টিম, মনিটরিং টিম কাজ করছে। বিভিন্ন টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখলাম, বেশিরভাগ জায়গায় ভাড়া কম নেওয়া হচ্ছে।

বিআরটিএর পক্ষ থেকে প্রতিটি কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট, ভিজিলেন্স টিম সদস্য দেখছে। মালিক সমিতির নেতারাও এই ব্যাপারে সিরিয়াস, যাতে তাদের বদনাম না হয়।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক হবে। এছাড়া ঈদের সময় কিছু আনফিট গাড়ি রাস্তায় নেমে আসে, এমন একটি কমন অভিযোগ থাকে প্রতিবছরই। এবার কোনোভাবেই যাতে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে, এজন্য বিআরটিসির ৫৫০টি বাস রিজার্ভেশনে রাখা হয়েছে।

গার্মেন্ট মালিকদের রিকুইজিশন দিতে বলেছি, যাতে আনফিট গাড়ি না নিয়ে বিআরটিসির বাস নিতে পারে। সুতরাং আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামার সুযোগ নেই।

;

পার্বত্য চট্টগ্রামে যৌথ অভিযান চলছে: ওবায়দুল কাদের

ছবি: বার্তা২৪.কম

পার্বত্য চট্টগ্রামে যৌথ অভিযান চলছে, আশা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সশস্ত্র তৎপরতার ঘটনায় গোটা পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত হবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি এলেঙ্গা-(টাঙ্গাইল) রংপুর মহাসড়কে রেলওয়ে ওভারপাস ১টি, ৭টি ওভারপাস ও ২টি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সব টোল প্লাজার ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালুসহ মেঘনা সেতুর দ্বিতীয় টোল প্লাজা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কিছু কিছু সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে। এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীটি রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতে নেই। শুধু আছে বান্দরবানে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। আশা করি অচিরেই পরিস্থিতি শান্ত হবে।

কুকি চিনের সঙ্গে অতীতে আলাপ আলোচনা অনেকবার হয়েছে কিন্তু কেন হঠাৎ করে তারা অস্ত্র হাতে তুলে নিলেন বুঝতে পারছি না।  এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নাকি ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ থেকে করছে তা তদন্তে জানা যাবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপের মদদ আছে বলে আমরা মনে করি না। সব বিষয়ে তদন্তে হচ্ছে, তারপর বলা যাবে আসলে কি হয়েছে।

;

কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় যারা জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বান্দরবানের রুমায় পৌঁছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাহাড় শান্তিপ্রিয় এলাকা। এখানে শান্তির সুবাতাস বইত। এখানে কোনো অশান্তি হোক তা আমরা চাই না।

মন্ত্রী বলেন, যে ঘটনাই ঘটুক, তদন্ত করে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পার্বত্যাঞ্চলকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে না। হামলার ঘটনায় কারো গাফিলতি আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

মন্ত্রী বান্দরবানের রুমা, থানচিসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

এদিকে, গত ৩ দিনে একের পর এক হামলা, ব্যাংক লুট, অপহরণ, গোলাগুলি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর কেএনএফ’র বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আজ থেকেই সমন্বিত অভিযান শুরুর কথা রয়েছে।

;

ঈদে ১২ লাখ মানুষ মোটরসাইকেলে ঢাকা ছাড়বে: মোজাম্মেল হক

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঈদে ১২ লাখ মানুষ মোটরসাইকেলে চড়ে ঢাকা ছাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক।

শনিবার (৬ এপ্রিল) গাবতলী বাস টার্মিনালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাসের অতিরিক্ত ভাড়া ও প্রয়োজনীয় টিকিট না পাওয়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী বাড়বে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ ব্যক্তিগত ও ৭০ শতাংশ রাইডশেয়ারিং বাইক থাকবে।

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, গণপরিবহন সংকট, প্রয়োজনীয় টিকিট মিলছে না এই জন্য মোটরসাইকেল বেশি চলবে। সবাই বেপরোয়া গতিতে চলে। মোটরসাইকেল চালকদের সাবধান হওয়া জরুরি। মনে রাখতে হবে সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি। অনেকে বউ বাচ্চা ও লাগেজ নিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে রওয়ানা দেয়, এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে ভারসাম্য হারিয়ে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে দাবি করে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, বাড়তি ভাড়া বন্ধে সরকার ভিজিলেন্স টিম করেছে। কিন্তু ভিজিলেন্স টিম অফিসে বসে থাকে। তারা মনিটরিং করে না। অনেক যাত্রী স্বল্প দূরত্বে গেলেও বেশি ভাড়া আদায় হচ্ছে। কোনো যাত্রী হয়তো টাঈাইল যাবে অথচ বাসটির গন্তব্য বগুড়া হলে বগুড়া পর্যন্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। অনেক স্টেশনে যাত্রীদের বসার জায়গা নাই। সড়ক নৌ পরিবহন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এখনও সড়কে ইজি বাইক চলছে। ফলে বাসের ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *