আন্তর্জাতিক

বাড়ছে কলেরার প্রাদুর্ভাব, ডব্লিউএইচও’র বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাণঘাতী কলেরার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

পানিবাহিত এই রোগ মহামারী আকার ধারণ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দু’তিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিক ভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে সরঞ্জাম।’

এ কর্মসূচিতে ডব্লিউএইচও’র অংশীদার হিসেবে রয়েছে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল।

গ্যাভির কর্মসূচি বিভাগের প্রধান নির্বাহী অরেলিয়া এনগুয়েন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কলেরা প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে যে তৎপরতা চলছে, এ কর্মসূচি তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’

দূষিত পানি ও খাবারের মধ্যে জন্মানো এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া কলেরার জন্য দায়ী। এ রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। এই মৃতদের অধিকাংশই শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *