আবারও বন্ধ রাফাহ ক্রসিং, যুক্তরাষ্ট্র বলছে নিরাপত্তা সংকট
ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ অপেক্ষা আর সমঝোতার পর চালু হওয়া রাফাহ ক্রসিং পুনরায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একটি অনির্দিষ্ট নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বুধবার গাজায় রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এটি পুনরায় চালু করার জন্য মিশর এবং ইসরায়েলের সাথে কাজ করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ ক্রসিং মিশরের নিয়ন্ত্রিত, এটি ইসরায়েলের সীমান্ত নয়। তবে গাজায় সাহায্য পাঠানোর জন্য এটিই একমাত্র মাধ্যম যেটি চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে একমাত্র লাইফলাইন হিসেবে কাজ করছে। গত ২১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যস্থতায় ক্রসিং টি খুলে দেয় মিশর। কিন্তু হঠাৎই ক্রসিংটি আবারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেল বলেন,‘রাফাহ ক্রসিং আজ থেকে বন্ধ রয়েছে। আমরা যতদূর বুঝতে পারছি, নিরাপত্তাজনিত কারণেই এমন হয়েছে।’
কবে নাগাদ এই সীমান্তপথ খুলতে পারে, তার কোনো আভাস বেদান্ত প্যাটেল দেননি। মিশর থেকেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি আসেনি।
মিশরের সিনাই অঞ্চল থেকে গাজা উপত্যকাকে পৃথক করা এই সীমান্তপথটি উপত্যকার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হওয়ার আরও দুটি সীমান্তপথ রয়েছে, কিন্তু সেগুলো ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং ইসরায়েলের ইচ্ছা অনুযায়ী সেগুলো খোলা বা বন্ধ থাকে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইসরায়েলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওই দিন থেকেই সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী অভিযান শুরুর পর ৯ অক্টোবর সীমান্তে গোলা বর্ষণের কারণে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে কূটনৈতিক সমঝোতায় ক্রসিংটি খুলে দেয় মিশর।
তারপর থেকে ৩ নভেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত এই সীমান্ত পথ দিয়ে ৬৫০ ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রীবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে গাজা উপত্যকায়। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা থেকে মিশরে প্রবেশ করেছেন শত শত বিদেশি নাগরিক ও বিদেশি পাসপোর্টধারী ফিলিস্তিনিরা।
চলতি সপ্তাহের শনি ও রোববার রাফাহ ক্রসিং এলাকায় ফের বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই হামলায় গাজা উপত্যকা থেকে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয় এবং সেই অ্যাম্বুলেন্সের চালক, রোগী ও তার আত্মীয়স্বজন নিহত হন।
তারপরও অবশ্য সোম ও মঙ্গলবার খোলা ছিল রাফাহ ক্রসিং। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে আবারও বন্ধ রাখা হয়েছে ক্রসিং টি।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।