চোরাই চিনি ছিনতাইকালে ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটক ৭
ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের সিকিমে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেখা দিয়েছে বন্যা। সেই বন্যার পানি বাংলাদেশর দিকে প্রবেশ করায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে নদী পাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসবাসরত পরিবারগুলো মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর ও গোকুণ্ডা ইউনিয়নের কৃষকরা নদীর তীরবর্তী চরে বাদাম ক্ষেত, বিছন ধান, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।
তিস্তা পারের বাসিন্দা ছকমল হোসেন বলেন, শুনতাছি তিস্তার পানি বাড়বে। পানি বাড়লে আমাদের জায়গা জমির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
দোয়ানী গ্রামের কৃষক আনারুল হক বলেন, ভারতে বন্যা হয়েছে এই পানি যদি আমাদের বাংলাদেশের দিকে ছাড়ে তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। যখন পানি চাই তখন পাই না এখন বর্ষাকালে আমাদের পানি দিচ্ছে এই পানি আমরা কি করব।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে সেই বন্যার পানি তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।