সারাদেশ

ছাত্রদল ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণসহ ৪ কমিটি বিলুপ্ত

ডেস্ক রিপোর্ট: হরিজনদের উচ্ছেদ করা হবে সবচেয়ে বড় ডাকাতি। এটা যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় পুরান ঢাকার মিরনজিল্লা হরিজনপল্লী পরিদর্শন শেষে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দেশ এখন আওয়ামী লীগের হয়ে গেছে, তারা সাধারণ মানুষকে মানুষ মনে করে না। তাদের সুবিধামত দেশ পরিচালনা করছে।  দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি এই সরকার দলীয় সরকার, দলীয় লোকদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করছে। তারা উন্নয়নের নামে ব্যক্তি ও দলের উন্নয়ন করছে।

তিনি বলেন, দেশের মালিক এখন আর জনগণ নেই, তারা সরকার পরিবর্তন করতে পারে না। জনগণের কথায় সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, এই জন্যই আমরা গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছি। মানুষের প্রয়োজন মেটাতে হবে, তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, হরিজন সম্প্রদায় বৃটিশ আমল থেকে সব চেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। এখানে প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ বাস করছে। এখানে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। সিটি কর্পোরেশনে তারা পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করছে। এটা লক্ষ টাকার বিনিময়েও অনেকেই করতে পারবে না। এরা সবচেয়ে বেশি নিগৃহিত ও নিপিড়িত এবং অসহায়। দেশ-রাষ্ট্র-সরকার তো তাদের পাশে থাকার কথা। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। এই মানুষগুলোকে রাস্তায় ঠেলে দিলে, তারা কোথায় যাবে? এ নিয়ে সরকারের কোনো ভাবনা নেই। এই মানুষগুলোকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে কিসের উন্নয়ন? কিছু মানুষ হয়তো দোকান-পাট করে বা ইজারা নিয়ে লাভবান হবে।

এ বিষয়ে আমরা বুধবার (১২ জুন) সংসদে কথা বলেছি। আমরা বুঝতে পারছিনা সরকার আমাদের কথা রাখবে কিনা। কাল নাকি এটা ভেঙে দেয়া হবে, কথা না শুনলে চাকরিচ্যুত করা হবে। এই মানুষগুলো অত্যন্ত অসহায়। তারা দোকান দিতে পারে না, তাদের হাতে কিছু খেতে চায় না… অথচ তাদের সার্ভিস ছাড়া আমাদের জীবন অচল। মানবিক দৃষ্টি দিয়ে বিষয়টি দেখা উচিত। যেকোনো ভাবে এটা ঠেকাতে আমরা চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে বিল্ডিং করে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করা অন্যায়। আজ হরিজনদের পাশে থাকার লোক নেই, এদের দিয়ে ব্যবসা করা বা ভালো থাকার লোকের অভাব নেই। এটা দেশ ও সরকারের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এই গরীর মানুষদের উচ্ছেদ করে বিল্ডিং করে ভাগ বাটোয়ারা করলে তা হবে সব চেয়ে অন্যায় এবং লজ্জার। 

তিনি বলেন, সরকার এখন অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। তাদের পেশিশক্তি, অর্থশক্তি ও মাস্তানদের সামনে সাধারণ মানুষ অসহায়। সাধারণ মানুষ সংখ্যায় বেশি হলেও দানবীয় শক্তির কাছে পরাজিত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণলাল, পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কৃষ্ণচরণ কুঞ্জমাল, হরিজন নেতা বায়জুলাল, জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, জাতীয় পার্টি নেতা সাধন কুমার মিশ্র এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *