আন্তর্জাতিক

কাবা দেখার আনন্দ বর্ণনাতীত: মুহাম্মদ ফারাহ

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘আমি যখন প্রথম মক্কায় প্রবেশ করি এবং মসজিদে হারামে পৌঁছে পবিত্র কাবার সামনে হাজির হই, তখন আমি কাঁপতে শুরু করি। এটা আমার কাছে এক অপূর্ব আনন্দের অনুভূতি ছিল, যা বলে বোঝানো যাবে না।’

হজ পালন শেষে জীবনে প্রথমবার পবিত্র কাবা দেখার আনন্দ ও অনুভূতির কথা এভাবেই ব্যক্ত করছিলেন ব্রিটিশ অ্যাথলেট মুহাম্মদ ফারাহ।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে বিশ্ববরেণ্য এই ক্রীড়াবিদ এবার হজ পালন করেন। রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে হজের সুযোগ দেওয়ায় তিনি দেশটির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর আব্দুল লতিফ আলে শায়খের কাছে কৃতজ্ঞ বলে জানান।

তিনি বলেন, এত বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীদের আয়োজনের জন্য আমি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ, ক্রাউন প্রিন্স এবং সৌদি কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। এত বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীদের সেবা দেওয়া এবং তাদের সব কিছু দেখাশোনা ও যত্ন নেওয়া রীতিমতো আশ্চর্যজনক। হজযাত্রীদের সেবা ও ব্যবস্থা প্রশংসনীয়।

তিনি বলেন, হজের সময় স্বাস্থ্য, পানি ও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রয়োজনের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত ধৈর্যশীল ও শ্রমসাধ্য কাজ। সমস্ত মানুষের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা উচিত।

হজ শেষে আরব নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ফারাহ বলেন, ‘আমি এখানে প্রথম এসেছি এবং হজ করতে এসেছি। আমি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সুযোগ পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই।’

মুহাম্মদ ফারাহ আরও বলেন, এবারের সফর হজে অংশ নিতে পেরে আমি খুশি এবং নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। তার মতে হজের আয়োজন একটি অত্যন্ত ধৈর্যশীল ও শ্রমসাধ্য কাজ।

অ্যাথলেটিক্স বিশ্বে এক নামেই পরিচিত ফারাহ। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে দুর্দান্ত অবদানের স্বীকৃতির পর তার নামের আগে যোগ হয়েছে ‘স্যার’ উপাধি।

অলিম্পিকসে চারটি ও বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপসে ছয়টি সোনা জিতে দূরপাল্লার দৌড়ের ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তিনি।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *