এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ: ফরাসি রাষ্ট্রদূত
ডেস্ক রিপোর্ট: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নির্ধারিত সময়সূচির চেয়েও ২ ঘণ্টা বেশি সময় যান চলাচল আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কটিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১১টার কিছু পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। যার ফলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। রাত ১টা নাগাদ চট্টগ্রামমুখী লেনে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ঢাকামুখী লেনে এখনো অচলাবস্থা রয়েছে। থমকে রয়েছে সকল প্রকার যানবাহন।
মহাসড়কের কুমিল্লার বিভিন্ন অংশে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিয়াবাজার এলাকা থেকে ঢাকামুখী প্রায় ২৫ কিলোমিটার ময়নামতি এলাকা পর্যন্ত তীব্র যানজট রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী হেঁটেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটছেন।
যানজট পরিস্থিতি নিয়ে রাত ১টায় ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, মহাসড়কের কোটবাড়ি অংশ থেকে শিক্ষার্থীরা সরে যাওয়ার পর ২৫-৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ সড়কের নিরাপত্তায় কাজ করছে। খুব শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ীর দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর কিছুক্ষণ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া বন্ধ থাকলেও আনসার ক্যাম্পের সামনে আবার শুরু হয়।
এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই রায় দেওয়া হয়েছিল। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ১১তম দিনের মত কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।