সারাদেশ

কুবিতে শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিল

ডেস্ক রিপোর্ট: কুবিতে শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিল

কুবিতে শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিল/ছবি: বার্তা২৪.কম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সম্মতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়েছেন কুমিল্লা পলিটেকনিক কলেজ, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, সিসিএন শিক্ষাপরিবারের শিক্ষার্থীসহ কুমিল্লা শহরের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে কুবির প্রধান ফটকে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হয়।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি নারী হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বের হলে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন তারা। এরপর এ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদমিনার ঘুরে কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোডের অভিমুখে রওনা হয়।

ঢাবিতে একই সময়ে দুই পক্ষের বিক্ষোভ সমাবেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা/ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সময়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে উভয় পক্ষের বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা রয়েছে।

ছাত্রলীগ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’ পক্ষের একই সময়ে কর্মসূচি ঘোষণা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকার সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে শিক্ষার্থীসহ লোকজনের আনাগোনা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আশেপাশে সব দোকানপাটও খুলতে দেখা যায়নি। পুলিশের চেক পোস্ট কিংবা তেমন কোনো টহলও চোখে পড়েনি।

এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ঘোষণা করায় ছাত্রলীগের হল শাখার নেতাকর্মীরা লাঠি ও হেলমেট মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শোডাউন দিতে দেখা যায়। সবাই শোডাউন দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের জড়ো হচ্ছেন।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এলাকা ঘুরে দেখা যায় কোথাও কোটা সংস্কার আন্দোলনের কাউকে দেখা যায়নি।

গতকাল কোটা সংস্কার নিয়ে গতকাল ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের মধ্য দফায় দফায় সংঘর্ষ দু’ পক্ষের শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

;

ঢাবিতে ‘আমি রাজাকার’ স্লোগানে শিক্ষক সমিতির নিন্দা

‘আমি রাজাকার’ স্লোগানে শিক্ষক সমিতির নিন্দা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘আমি রাজাকার’ স্লোগান প্রদানে নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা এ নিন্দা জ্ঞাপন করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে বিকৃত করে সরকারি চাকুরিতে কোটা বাতিলের পক্ষে আন্দোলনকারী একদল শিক্ষার্থী যেভাবে গত ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘আমি কে, তুমি কে, রাজাকার-রাজাকার’ বলে স্লোগান দিয়েছে, তা আমাদেরকে ব্যথিত, লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। এই স্লোগান প্রদানের মধ্য দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে। অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে দুই থেকে ছয় লাখ নির্যাতিত নারীর প্রতি।

আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র ভূমি- যা বাংলাদেশের মহান মুক্তিসংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদের রক্তে রঞ্জিত এবং যে বিশ্ববিদ্যালয় মহান মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে; সেই স্থানে মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন পরিচালনাকারী রাজাকারের পক্ষে স্লোগান প্রদানের তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো অজুহাতেই রাজাকারের পক্ষাবলম্বন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অবমাননা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ গ্রহণ করবে না।

কোটা বাতিলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভুলুণ্ঠিত করার প্রয়াস রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধের ধারক ও বাহক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে সবাইকে সংযত থাকার আহ্বান জানাই।

আমরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং রাজাকারদের পক্ষাবলম্বনকারী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।

একই সাথে আমরা সরকারকে সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের আহ্বান জানাই।

;

কোটা আন্দোলন: হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ইবিতে বিক্ষোভ মিছিল/ছবি: বার্তা২৪.কম

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় একত্রিত হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে জনসমাবেশ করেন তারা।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা, আমার ভাই আহত কেনো? প্রশাসন জবাব চাই। আমার বোন আহত কেনো? প্রশাসন জবাব চাই। একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার। ভুয়া প্রশাসন, ভুয়া ভুয়া। ভাইয়ের বুকে বুলেট কেনো? প্রশাসন জবাব চাই। দফা এক দাবি এক, কোটা নট কামব্যাক। জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে। লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আপনারা যারা আছেন কালকে রাত্রে কারো ঘুম হইছে? ঘুম হয়নি। কেনো হয়নি? কারণ আজকে আমার ভাই-বোনদের উপর নৃশংস হামলার জন্য আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মাত্র এক ঘণ্টার নোটিশে আজকে আমরা হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়েছি। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটবো না। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর ওপর হামলা হলে তার জবাব দেয়া হবে।

তারা বলেন, আজকে একটি পাবলিক পরীক্ষা থাকায় আমরা মহাসড়কে অবস্থান করে তাদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছি না। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো রকম আঘাত আসলে আমরা বসে থাকবো না।

এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফারহা তানজীম বলেন, আমি অবশ্যই তোমাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমি মনে করি যে আদিবাসী, প্রতিবন্ধীর মতো কিছু কিছু জায়গায় কোটা থাকা দরকার। এখানে হতে পারে যে নানা কারণে নানাজন সংশ্লিষ্ট আছে কিন্তু আমাদের মূলত যে দাবি বেকারত্বের সংকট ঘোচানো, ছাত্ররা এই ন্যায্য দাবিতে মাঠে রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

;

ঢাবির হলের সাত শিক্ষার্থীকে মারধর, তিনজনকে হল ছাড়া

ছবি: বার্তা ২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাওয়ার ও ছবি পোস্ট করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের সাত শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা। এর মধ্যে তিনজনকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন তারা।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল থেকে রাতের বিভিন্ন সময়ে এসব মারধরের ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন- ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের হাসিবুল ইসলাম হাবিব,২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল বাসিত, শাখাওয়াত হোসেন সাকু, লিমন খান রানা, মোর্শেদ ইসলাম। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফারুক ও তাওহীদ ইসলাম। এছাড়া হলের ৩১৯ নং কক্ষ থেকে নেয়ামত নামে এক শিক্ষার্থীর বিছানা বাইরে ফেলে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাখাওয়াত ও বাসিতকে বেশি মারা হয়। বাসিত হাসপাতালে যাচ্ছিল তখন ফোন চেক করে বেধড়ক মারধর করা হয়। এছাড়া লিমন, শাখাওয়াত ও মোর্শেদকে হল থেকে বের করে। এসময় হল ছাত্রলীগের সব শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও হলের অনেকের ফোনও চেক করেন তারা।

মারধরে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের নেতারা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী নাহিদ, ইমরান, আসিফ, শুভ, নুহাস ও আলিফ। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারীরা হলেন- শাহারাত, নাসিফ, শওকত, রিফাত ও লিয়ন। ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি শয়নের অনুসারীদের মধ্যে ছিলেন ফজলে রাব্বি এবং সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে ছিলেন লালন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *