সারাদেশ

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জন্য কৃষি গুচ্ছের পিছিয়ে যাওয়া ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ও পরবর্তী সময়সূচি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরীক্ষার জন্য আবেদনকৃত প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী।

মূলত গত ২০ জুলাই একযোগে সারাদেশে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কৃষি গুচ্ছের ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আটকে যায়। পরবর্তীতে সরকার পতন এবং বিভিন্ন দায়িত্বের পরিবর্তনের কারণে এ পরীক্ষার রূপরেখা নির্ধারণ এখনো সম্ভব হয়ে উঠেনি।

যদিও দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরুর ঘটনাও ঘটেছে। সেক্ষেত্রে কৃষি গুচ্ছের পরীক্ষার্থীরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি সম্ভাব্য ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ কবে আসবে যা পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এবিষয়ে এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগে। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু কৃষি গুচ্ছের পরীক্ষা এখনো শুরু হয়নি। পরীক্ষা কখন হবে সেটিও জানানো হচ্ছে না। আমরাও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। এগুলো আমাদের জন্য প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এবিষয়ে আরও উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত সরকার এবিষয়ে পদক্ষেপ নিলে বিষয়টির একটি কার্যকর সমাধান হবে। দ্রুত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে কার্যকর সমাধান আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

মূলত কৃষি গুচ্ছের মধ্যে রয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

এবার গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে আছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড অ্যানিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কৃষি গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করব। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ করছি। আমরা দ্রুত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করব।

উল্লেখ্য, প্রায় ৭০ হাজার পরীক্ষার্থী ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে কৃষিতে গুচ্ছের এ পরীক্ষা আটকে আছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *