সারাদেশ

কুষ্টিয়ায় পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

ডেস্ক রিপোর্ট: কুষ্টিয়ায় পরিবহন শ্রমিকদের মারধর ও বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠকের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা বাস ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসন ও সিএনজি মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কুষ্টিয়া পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের নিয়ে জরুরী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তারা।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোছা. শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল সেলিম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, জেলা বাস মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুল আলম, মিরপুর সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মহিবুল হক, মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক তৌকির আহমেদ প্রমুখ।

জেলা বাস মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুল আলম বলেন, ‘আমরা কেউ কারও শত্রু না। কিন্তু দেখা যায়, যেখান থেকে বাসের যাত্রী তোলার কথা, সেখানেই ভিড় জমান সিএনজি চালকরা। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়, দ্বন্দ্ব তৈরি হয় শ্রমিকদের মধ্যে। বৈঠকে উভয়পক্ষের বক্তব্যে উঠে আসে, মূলত শহরের প্রাণকেন্দ্র মজমপুর গেট ও আশপাশের এলাকায় যাত্রী তোলা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সিএনজিগুলো মজমপুর গেট থেকে আধা কিলোমিটার দূরে আলফার মোড়ে অবস্থান করবে। শুধু রোগী বহনকারী সিএনজি শহরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে। এ সংক্রান্ত সমঝোতা হওয়ার পর উভয়পক্ষ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দেন।’

বৈঠক শেষে শারমিন আখতার বলেন, সন্ধ্যা থেকেই যেসব জায়গা থেকে যান চলাচল শুরু করা সম্ভব, তার ব্যবস্থা করবে মালিকপক্ষ।

এরআগে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে কুষ্টিয়ার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট শুরু করেন জেলার বাস মিনিবাস ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি এবং শ্রমিকরা। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন কুষ্টিয়া থেকে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়া যাত্রীরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে সিএনজি চালক ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে বাগবিতাণ্ডা হয়। এর জের ধরে কয়েকটি সিএনজি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন থেকে কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা এবং কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *