বিনোদন

এফডিসি একটি পবিত্র স্থান: অপু বিশ্বাস

ডেস্ক রিপোর্টঃ একটা সময় ঢালিউডের প্রায় সবটাই নির্ভরশীল ছিলো বিএফডিসির উপর। প্রতিটি ফ্লোরে আলাদা আলাদা ছবির শুটিং, ডাবিং ফ্লোরে ডাবিং, ঝরণা স্পটে গানের দৃশ্য, সমিতিগুলোর অফিসে তারকাদের গল্প আড্ডায় মেতে থাকতো এফডিসি।

এই পরিবেশ নিজের চোখে দেখেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাসও। কারণ ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিত বড় পর্দায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তার দিনের বেশিরভাগ সময় কাটতো এই এফডিসিতেই। যার কারণে এফডিসির প্রতি এ নায়িকার আলাদা ভালোলাগা রয়েছে। তবে এখন এফডিসি একেবারেই নীরব। নেই কোন শুটিং, দেখা যায় না তারকাদেরও। শুধু তাই নয়, এফডিসিকেন্দ্রীক তারকাদের মধ্যেও নেই আগের মতো আন্তরিকতা, ভালোবাসার সম্পর্ক। কিছুদিন পর পরই আলোচনায় আসে বিভিন্ন তারকারা কোন্দলের খবর!

অপু বিশ্বাসও এক সময়ের সিনেমার টানা ব্যস্ততায় মুখরিত ছিলেন। বর্তমান সময়ে তিনিও সেভাবে নেই সিনেমার ব্যস্ততায়। তার ব্যস্ততা এখন ব্র্যান্ডের ফটোশুট ও নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে। তবে এত ব্যস্ততার মধ্যেও অপু মিস করেন এফডিসির শুরুর দিকের সময়।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অপু বিশ্বাস । ছবি: ফেসবুক

খানিকটা হতাশা নিয়ে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস। তার ভাষ্য, ‘আমরা যারা অভিনয় করি, সবার জন্য এফডিসি হচ্ছে একটি পবিত্র স্থান। বিশেষ করে এ জায়গা থেকেই আমার জন্ম; কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে জায়গাটি আর আগের মতো নেই। এখন এটি হয়ে গেছে ব্যক্তি রেষারেষির জায়গা। তাই ২০১৬ সালের পর থেকে সেভাবে আর যাওয়া হয় না। এর কারণ সেখানে আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে আলোচনা করে, আমার জীবন বিষাদময় করে তোলে, যা নিয়ে আমি খুবই ব্যথিত হই। এরপর আর সেখানে যেতে ইচ্ছা করেনি। আমাকে নিয়ে যে আলোচনা, তা এখনো চলমান। তাই দেশের সিনেমার এ আঁতুরঘরের এমন পরিণতি আমাকে সবসময়ই ব্যথিত করে। কারণ এখান থেকেই আমার অভিনয় জীবনের শুরু। আমি এ জায়গাটির প্রতিটি কোনা চিনি। কিন্তু সেই জায়গায় এখন সিনেমার চেয়ে মানুষের ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। তাই আগের মতো আর সেখানে যাওয়া হয় না।’

অপু আরও জানান, এটি একটি শিল্পচর্চার স্থান। এখান থেকে দেশের অভিনয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। তাই এ জায়গাটি সুন্দর হওয়া জরুরি।

অপু বিশ্বাস । ছবি: ফেসবুক

এদিকে প্রযোজক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন অপু বিশ্বাস। ভবিষ্যতে পরিচালক হিসেবে তাকে দেখা যাবে কি না জানতে চাইলে এই নায়িকা বলেন, ‘নির্মাতা পরিচয়ে কখনোই আত্মপ্রকাশ করার ইচ্ছা নেই। আমি একজন শিল্পী। আমার প্রথম পরিচয় এটাই। আজকে দেশ ও দেশের বাইরে আমার যত ভক্ত রয়েছেন, সবাই আমাকে এ পরিচয়েই চেনেন। তাই নির্মাতা হওয়ার স্বপ্ন আমি কখনো দেখি না। কারণ এটি খুবই দায়িত্বশীল একটি কাজ। তাই শুধু অভিনয় নিয়েই থাকতে চাই।’

অপু বিশ্বাস । ছবি: ফেসবুক

‘কাল সকালে’ সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক অপুর। এতে তিনি অভিনয় করেন ‘বাসন্তী’ চরিত্রে। খ্যাতিমান নির্মাতা আমজাদ হোসেনের এ সিনেমা দিয়ে তিনি জানান দেন দীর্ঘ সময়ের জন্যই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০৭ সাল থেকে সিনেমায় ব্যস্ততা বাড়তে থাকে অপুর।

অপু বিশ্বাস অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ছায়াবৃক্ষ’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন অভিনেতা নিরব হোসেন। পরিচালনায় ছিলেন বন্ধন বিশ্বাস। বাংলাদেশ সরকারের অনুদানের এ সিনেমায় চা শ্রমিকদের জীবন সংগ্রামের গল্প তুলে ধরা হয়।

অপু বিশ্বাস । ছবি: ফেসবুক

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *