সারাদেশ

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট: বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনতিবিলম্বে রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। 

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের এখন একটাই দাবি, আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) জঞ্জাল পরিষ্কার করুন। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের সুযোগ দিন, যারা সংসদে গিয়ে সংবিধান প্রণয়ন ও পরিবর্তন করবে। তাই অনতিবিলম্বে একটি রোডম্যাপ দিন।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিনা ভোটে নির্বাচিত দুর্নীতিবাজ এমপিদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী নবীণ দল।

অবস্থান কর্মসূচিতে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ইলিশ মাছ তো পাঠালাম। আরও বেশি পাঠালে বেশি বেশি পানি ছেড়ে দিতে পারতো। ভারতকে আমরা প্রতিদিন বলে যাচ্ছি, বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের কাছে গণতান্ত্রিক অধিকার, আপনাদের দেশের মতো নির্বাচন আশা করেছিল। কিন্তু আপনারা বাংলাদেশে এমন এক ব্যক্তিকে, এমন এক দলকে সহযোগিতা করেছেন, যারা এক মিনিটে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে, সকল নির্বাচনকে কুক্ষিগত করেছে, অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রাস্তায় নামায় গুলি করে মেরেছে, আবরারকে খুঁচিয়ে খুচিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন করেছে, বিশ্বজিতকে রাজপথে কুপিয়ে হত্যা করেছে, দেশ থেকে ৯৯ হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়েছে, মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আপনাদের উচিত ছিল শত শত মামলার আসামি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো।

তিনি আরও বলেন, এখনো আবু সাঈদ, খোকন, মুগ্ধর রক্তের গন্ধ নাক থেকে যায়নি। অথচ এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের দুঃসহচর আমাদের প্রিয় খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটিকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তাই ভারতকে বাংলাদেশের মানুষ কখনো বিশ্বাস করতে পারে না। আমরা আশা করেছিলাম শেখ হাসিনাকে আপনারা (ভারত) অবিলম্বে হস্তান্তর করবেন। কিন্তু সেই বিশ্বাস আপনারা এখনো অর্জন করতে পারেননি। যদি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন, বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসেন, তাহলে আপনাদের উচিত বাংলাদেশের যারা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের এক এক করে হস্তান্তর করা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি মনে করেছেন, আবার আপনি বাংলাদেশে ফিরে আসবেন, বাংলাদেশে আবার আপনি রাজনীতি করবেন। যদি এটি সত্যি চাইতেন, তাহলে পদত্যাগ করার পর আপনি পায়ে হেঁটে জেলখানায় চলে যেতেন। আপনার ভাষায়, আপনার কথায় যদি আপনার লক্ষ কর্মী থেকে থাকে, উন্নয়নের কথা বলে যে আস্ফালন আপনি করেছিলেন, সেটা যদি আপনার মধ্যে থাকতো, তাহলে আপনি পালিয়ে যেতেন না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যত অস্থিরতাই তৈরি করুক আওয়ামী লীগ, তাদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র আছে, অজস্র টাকা আছে, তারা এখনো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের চোখ, কান খোলা রাখতে হবে।

জাতীয়তাবাদী নবীণ দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানার সঞ্চালণায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু, জাতীয়তবাদী ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, কৃষক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *