উত্তর গাজার হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণ অকেজো
ডেস্ক রিপোর্ট: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে, উত্তর গাজার হাসপাতালগুলো এখন পুরোপুরি পরিষেবার বাইরে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) আল-জাজিরার সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘গাজার উত্তরের হাসপাতালগুলোর অকার্যকারিতার হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে আশরাফ আল-কুদরা আরও বলেন, ‘ইসরায়েল গাজার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালের কিছু অংশ বোমা হামলা করে ধ্বংস করেছে, যেখানে ৭০০ জনেরও বেশি লোক এখনও অবরোধের মধ্যে বন্দী অবস্থায় রয়েছে।’
এদিকে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালটি জব্দ করে দাবি করে যে, তারা হাসপাতাল কমপ্লেক্সটির নীচে হামাসের একটি টানেল নেটওয়ার্ক এবং কমান্ড সেন্টারের খোঁজ পেয়েছে।
যদিও ইসরায়েলের ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, সোমবার (২০ নভেম্বর) ২৮ জন অপরিপক্ক শিশুকে আল-শিফা হাসপাতাল থেকে সরিয়ে চিকিৎসার জন্য মিশরে নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, গাজায় ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালে হামলার পর ২০০ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
খবরে বলা হয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে অন্যতম বড় এই হাসপাতালে রবিবার (১৯ নভেম্বর) কোনও ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ট্যাংক নিয়ে হাসপাতালটি ঘিরে ফেলে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
এ অবস্থায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত সোমবার (২০ নভেম্বর) জানানো হয়েছে, রেড ক্রসের সহায়তায় ২০০ রোগীকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বাসে করে তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।